পুনর্ভবাপুত্র। ধারাবাহিক উপন্যাস। দ্বিতীয় পর্ব। লিখছেন আহমেদ খান হীরক।
ইচিং বিচিং চিচিং চো যাকে পাবি তাকে ধো… বাড়িটা আমাদের ছিল ঢালের ওপর। জংলামতো জায়গায়। বর্ষায় তো জঙ্গলই মনে হতো।...
ইচিং বিচিং চিচিং চো যাকে পাবি তাকে ধো… বাড়িটা আমাদের ছিল ঢালের ওপর। জংলামতো জায়গায়। বর্ষায় তো জঙ্গলই মনে হতো।...
কুমোর পাড়া থেকে ভেসে আসা হাঁড়ি পেটানোর আওয়াজে ঘুম ভেঙে যেতো। বুঝে যেতাম ভোর হয়েছে। পাখির ডাক, আজানের সুর আর...
“পাশের ঝোপে শিব মন্দির খুব গোপনে ফুটছে জবা বাতাস বহে বাঁশের শরীরঃ যাচ্ছে বেঁকে অসম্ভবা নদীর নামটি পুনর্ভবা পুনর্ভবা… পুনর্ভবা…”...
রাস্তার পাশেই মাটির দেওয়াল আর খড়ের ছাউনির দোকান। দোকানের মুখটা গুড়ের বা তেলের টিন কেটে বাঁশের কাঠামোর উপর পেরেক ঠুকে...
মাঝে মাঝেই দেখতাম তিনি গেরুয়া পোশাক পরে এক কাঁধে গেরুয়া ঝোলা অন্য কাঁধে বড়ো করাত দোলাতে দোলাতে হন হনিয়ে হেঁটে...
পিঠোপিঠি দুই ভাই হওয়ার কারণে আমি জ্যেষ্ঠ তাই মায়ের দুধের ভাগ ছেড়ে দিতে হয়েছিলো শৈশবেই। রুগ্ন মায়ের তাতে কিছুটা হয়তো...
ডোবার পাশে ছোটো ছোটো অসংখ্য তাল গাছ। কোনোটা সোজা হয়ে হাত পাঁচেক উঠেছে। কোনোটা বেঁকে গেছে ডোবার জল খাবে বলে।...
গত পর্বের পর... ছোটোবেলায় প্রচণ্ড গরমের পর যখন বিকেলবেলা ঝোড়ো হাওয়ার সাথে খানিক বৃষ্টি হতো তখন যেন আমাদের স্বস্তির নিঃশ্বাস...
ছোটো বেলাতে হরেন কাকা আদর করতে গিয়ে মাঝে মাঝে উপরের দিকে তুলে ধরে বলতেন --- 'মামার বাড়ি দেখতে পাচ্ছিস?' আমিও...
স্কুলে বন্ধুরা মিঠুন নামের এক বন্ধুকে ক্ষ্যাপাতো --- 'ঘরে নেই নুন / ছেলের নাম মিঠুন।' আবার তাপস নামের ছেলেদের শুনতে...