ধূসর চিলেকোঠা । পর্ব ৮ । লিখছেন শেখর সরকার

0

গত পর্বের পর…

সুদর্শন বাড়িতে ফিরে দেখে অবিনাশ দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে চিলেকোঠার ঘরে বসে আছে। সেই ঘর থেকে হ্যারিক্যানের আলো ঠিকরে বেরিয়ে আসছে। ঘরে ফেরার পথে সুবলা বারান্দায় বসে থেকে সুদর্শনকে ভিজতে দেখে তার বাড়ির সামনের জঙ্গল থেকে একটি বড় মানকচুর পাতা নিয়ে দৌড়ে আসল।

— প্রধানদা, কইলাম কি, আজগে তো পুরাডা শরীর ভিজাইয়া ফেলছ। শইলডা খারাপ হইলে কিন্তু দেখার কেউ নেই। এই কিন্তু কইয়া দিলাম।

— তুই আছস কীসের জন্য?

এই বলে সে সময় ব্যয় না করে হাতের থেকে মানকচুর পাতাটা নিয়ে হনহন করে ঘরের দিকে দৌড় দিল। সুবলা এই উত্তরটা শুনে কিছুটা হেসে মাথায় ঘোমটা দিয়ে শাড়িটা হাঁটু পর্যন্ত তুলে ঘরের দিকে এগিয়ে গেল। সুবলা জানে যে যখন সুদর্শন চিন্তিত থাকে, তখন দেখা হলে বেশি কথা বলতে পছন্দ করে না। না জানে কী চিন্তা ভাবনা মাথায় ঘোরে, এই সময় বেশি  শব্দ ব্যয় না করাই উচিত। চিলেকোঠার ঘরে দেখা যায় অবিনাশ বই নিয়ে বসে আছে। যা সাধারণত সে করে না। অবিনাশ এরকম নয় যে সে খুবই  ভালো মানের ছাত্র। সে পড়াশোনাকে জোর-জবরদস্তি হিসাবেই ভাবে। তার অন্যরকম চিন্তা ভাবনা।

কিছুদিন আগে পঞ্চায়েত অফিসে সুদর্শনের সাথে ভুপেনের যখন দেখা হল অবিনাশ সম্বন্ধে দু’-গাল কথা শুনিয়ে তবে সে ক্ষান্ত হল।

— শুনলে হে, সুদর্শন, বলছি তোমার ছেলের দিকে একটু নজর দাও। সব ব্যাপারে মতামত তো ভালোই দেয় ছেলেটা, কিন্তু পড়াশোনার প্রতি কিন্তু নজর কম। মাধ্যমিক তো পাশ করল কোনমতে, উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করলে কিন্তু গ্রামে তোমার কোনও মানসম্মান থাকবে না, বুঝলে?

— ঠিক আছে ভুপেনবাবু, আমি কথা বলব। তবে আপনি তো জানেনই বাড়ির অবস্থা। মা মরা ছেলে। আমি সারাদিন থাকি কাজে, সেরকম কোনও খেয়াল রাখতে পারি না। তাই দেখবেন ভালো করে। আপনার হাতেই তো তুলে দিলাম।

— শোনো আমি কারো দায়িত্ব সেরকম ভাবে নিতে পারব না। আমি প্রচুর ছেলে পড়াই। তবে তুমি গ্রাম-প্রধান জন্য তোমাকে বললাম। নাহলে আমি আগ বাড়িয়ে বলতামও না। বলছি, ছেলে শাসন করতে না পারলে বিয়ে করে নাও আরেক। ঝামেলা মিটে  যাবে। নতুন মা পেয়ে ছেলে আঁচলের তলায় ঢুকে যাবে।

ভুপেন কথাগুলো আসল উদ্দেশ্য নিয়ে বলেছিল নাকি খোঁচা দেবার জন্য বলেছিল সে বুঝতে পারেনি। সে যাই হোক, সে একটু চিন্তিত অবিনাশকে নিয়ে। কিছুদিন ধরে তাকে বাড়িতে খুবই আনমনা দেখা যায়। প্রশ্ন করলে শুধু মাথা নাড়িয়ে উত্তর দেয়। আজকাল কেন জানিনা সে আঁকাতে খুব মনোযোগ দিয়েছে। ঘরের মধ্যে রবি ঠাকুর, বিদ্যাসাগরের ছবি এঁকে দেওয়ালে টাঙ্গিয়ে রেখেছে। সিঁড়ি বেয়ে যখন সুদর্শন উপরে উঠে আসছে, তার পা-এর আওয়াজে কিছুটা প্রস্তুত হয়ে অবিনাশ বিছানাতে ভালো করে বসে রইল। ঘরের একমাত্র আলোর উৎস পুরো ঘরকে আলোকিত করতে পারেনি। বৃষ্টি হলেও একটা ভ্যাপসা গরম কেন যেন থেকেই গেছে। হ্যারিক্যানের সামনে বসে থাকার ফলে কপালে কিছু ঘামের বিন্দু দেখা যাচ্ছে। দেওয়ালে মা-র ছবি ঝুলানো। যদিও  ছবিটি পরিষ্কার নয় — অর্ধেক অংশ হয়ত উইপোকাতে কিংবা ইঁদুরে খেয়ে ফেলেছে। সুদর্শনকে দেখা যাচ্ছে না ছবিটিতে। হয়তোবা সত্যিকারের জীবনে তাই ঘটেছিল। স্ত্রী-র থেকে খুব সহজেই নিজেকে দূরে সরিয়ে আনতে পেরেছিল সুদর্শন। ছেলেকে  তার মাঝে মাঝে মনে হত সগর রাজার শেষ বংশধর ভগীরথ। কত ঝড় ঝাপটা সামলে তবুও এগিয়ে নিয়ে চলছে। খেমটি বুড়ি কিছুদিন আগে সুদর্শনকে বলেছিল — “তুমডার অভি হইল  বংশের ডেডা।”

আজকে সন্ধ্যায় মুড়ি আর চানাচুর খেতে খেতে অবিনাশ চেয়ারে বসে আছে তার সামনে টেবিলের মধ্যে কিছু বই ওলট পালট করে এদিক ওদিক রাখা। বাবার পায়ের শব্দ শোনা মাত্রই  অবিনাশ নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আবার পড়তে বসে গেল। সেদিনের মেলার ঘটনার পর থেকেই তার বাবার সাথে সে কথা খুব কম বলেছে। সামনা সামনি চোখে চোখ রাখতে লজ্জা বোধ করছে। তবে সাধারণত এরকম কোনও আকার-ইঙ্গিত বুঝতে পারেনি। ঘরের ভেতর প্রবেশ করেই দেখে মেঝেতে কিছু আঁকার পৃষ্ঠা পড়ে  রয়েছে যাতে শিবচণ্ডী পাটের কিছু ছবি আঁকা।

— তুই কবে থেকে ছবি আঁকার দিকে মন দিয়েছিস? আমাকে তো জানাস নি?

— না, সেরকম কিছু আঁকছি না। সময় ব্যয় করার চেষ্টা করছি।

— সময় তো বই পড়েও ব্যয় করা যায়। এগুলো হল ধনি লোকের ছেলেদের কাজ। তাই নয় কি?

কথাগুলো তার কাছে একটু বিঁধল। ঘর ছাড়ার আগে সুদর্শন বলল, “ভুপেন কাকুর সঙ্গে দেখা হল। তিনি বললেন যে পড়াশোনাতে কোনও মন নেই।” অবিনাশ জানে যে এরকম কথাবার্তা সে আগে তার বাবার কাছে শোনেনি। হঠাৎ কী পরিবর্তন হয়েছে।

কিছুক্ষণ পর  সে নীচে নেমে আসল এবং সোজা খাবার ঘরে গেল আর সাথে ভাত আর তরকারি নিয়ে আসল। হাত পা ধুয়ে ঘরের মাঝে তুলসী বেদিতে প্রণাম করে খেতে বসল। সে তার বাবাকে খেতে দিয়ে দূর থেকে বলল, “আজ সুবলা কাকিমা খাবার দিয়ে গিয়েছে।” কিছু হুঁ-হাঁ উত্তর দিল না সুদর্শন। হঠাৎ করে অবিনাশ জিজ্ঞেস করল, “বাবা, কয়েকদিন ধরে দেখছি তোমার শরীরটা তেমন ভালো না। কিছু হয়েছে নাকি? কিছু হলে বল। আমি শহরে গিয়ে ওষুধ নিয়ে আসব।

— না না তেমন কিছু হয়নি। কিছু দিন পর নির্বাচন না, তাই সে ব্যাপারে একটু ভাবনা চিন্তা করছি। তুই তোর পড়াশোনা কর। দিব্যেন্দুর কী খবর রে?

— দিব্যেন্দু আছে তার মতো, তার দাদুকে নিয়ে।

কিছুটা নিরাসক্ত ভাবে  কথাটির জবাব দিল। দয়াময় তার নাতির ওপর আরও বেশি করে নিয়ামতপুরের নিয়ম আরোপ করার চেষ্টা করছে এবং তাকে ব্যাক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অবিনাশ  নিজেও জানে এ ব্যাপারে তার কোনও মতামত কাজ করবে না। সবাই নিজস্বতার একটি চাদর পরে বসে আছে। কাউকে যেন ঠিক এক সুতোতে বাঁধা যাচ্ছে না। মালা ছিঁড়ে যাচ্ছে। রাতের বেলা ঘুমোনোর সময় বিনা কারণে সুদর্শনের হঠাৎ করে কেন জানিনা চল্লিশ বছর আগেকার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। মনে পড়ে যাচ্ছে তার জন্মের ক্ষণ। জন্মের সময় প্রসববেদনায় খুব ভুগেছিল তার মা। সবাই বলেছিল যে সুদর্শন বাঁচবে না। কিন্তু মানসিক করার পর বেঁচে যায়। তবে প্রসব বেদনার দরুণ তার মুখে, হাঁটুতে কালো কালো ছোপ হয়ে যায়। সবাই বলতো বানর জন্মেছে। জন্মের কিছুদিন পরই দেশভাগ, ময়মনসিংহ হয়ে বর্ধমান থেকে কুচবিহারে প্রবেশ। যেন কোথাও জন্মের বেদনা দেশ ভাগের বেদনা মিলে গিয়েছিল। থাক সেসব কথা।

অবিনাশ  সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখে একটা ভিড় জমা হয়েছে দোকানের সামনে। কারণ খুঁজে দেখে জানতে পারল নির্মল  মজুমদার এই খবর জারি করেছে যে সমাদ্দার বাবুকে বদলি করা হবে। কী কারণে তাকে বদলি  করা হবে, কোথায় বদলি করা হবে কেউ জানে না। এই বদলিরর পেছনে কি খুনের রহস্য অনুসন্ধানের ব্যর্থতা? কিছুদিনের মধ্যেই নতুন অঞ্চলে নতুন পুলিশ অফিসার আসবে। নির্মল মজুমদার আবার কোনও নতুন কিছুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাকে নিয়ে গ্রামে এখনও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে, নিয়ামতপুর তাকে এখনও পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারেনি। কিছুক্ষণ পর সকাল সকাল বাড়িতে উপস্থিত নির্মল মজুমদার। তাকে দেখে যারপরনাই চমকিত সুদর্শন। নির্মল এসে জলদি জলদি সুদর্শনকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বেরিয়ে গেল।

— উঠুন, উঠুন প্রধানদা। একখানে যেতে লাগবে আমাদের দুজনকে।

— এতো সকাল সকাল কীসের এতো তাড়া? আমাকে তো এসব ব্যাপারে আগে বলা হয়নি।

— দেরি না করে চলুন তো মশাই।

কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেই নির্মল বলল।

— আগে আমাকে বলুন, কোথায় নিয়ে যাবেন? কী মতলব? এগুলো না জেনে আমি কোথাও যাব না।

— আরে আপনি তো দেখছি ক বলতে কলকাতা বুঝছেন। কিচ্ছু করা হবে না আপনার সাথে। আপনাকে শুধু আমার সাথে যেতে হবে এক ঘণ্টার  জন্য।

— আমি বুঝতে পারছি একটা চক্রান্ত চলছে, এই গ্রামের শান্তি ভঙ্গের চেষ্টা চলছে। সমাদ্দারের ব্যর্থতার দায় গিয়ে আমার উপর বর্তাবে।

— আপনি শুধু শুধু জল ঘোলা করছেন।

শেষমেশে তাকে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে তারা দুজন একসঙ্গে রওনা হল। পথে যেতে যেতে তারা থামল চণ্ডীপাটের দিকে। দুজনই তাকিয়ে আছে দশরথের হত্যাস্থলের দিকে। দুজনেই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সুদর্শনকে রাস্তায় রেখেই নীচে নেমে আসল নির্মল। নির্মল যদিও শিলিগুড়ি থেকে এবং তার মধ্যে এক শহুরে আমেজ আছে, কিন্তু একটা গ্রাম্য ছোঁয়া তার মধ্যেও বর্তমান। সে সোজা গিয়ে পুকুরের পাশে গিয়ে খড়ের স্তূপের পাশে গিয়ে স্পর্শ করার চেষ্টা করল। গোটা এলাকাটায় একবার চোখ বুলিয়ে নিল। সে নিজেও জানে এখানে সে বহিরাগত। তবে বহিরাগত দৃষ্টি থাকাও খুব জরুরি যখন অন্তর্গত দৃষ্টি ঘটনার কাচের থেকে কুয়াশা সরাতে ব্যর্থ হয়।  চারিদিকে খেত, পুকুর, উঁচু উঁচু ঘাস, নল আর খাগড়ার বন দেখে মনে হয় না যে এখানে কেউ খুন হতে পারে। এক অসম্ভব কিছুর কারণেই এরকম একটা ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু তার জন্য অবশেষে মৃত্যুই কি শেষ সম্বল? শিলিগুড়িতে নির্মল সাধারণত এসব অনাবিল প্রকৃতির দৃশ্য দেখতে অভ্যস্ত নয়। পুরো বাংলা ঘুরে বেরিয়েছে আমলাগিরির পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে। কিন্তু এই রকম অনামি এক গাঁয়ে এসে সে এমন কিছু অনুভব করছে যে তার জীবনে এক নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চার করছে। সবুজের মধ্যে হাল্কা রক্তের ফিনকি — যেন সবকিছু ধ্বংস করে দিল। তবে নির্মল তার কাজের প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কেও  যথেষ্ট সচেতন। কতটুকু বল প্রয়োগ করলে গ্রামের সমীকরণ ভঙ্গুর হবে না — সবই সে কিছু মাসের মধ্যেই নখদর্পণের মধ্যে এনে ফেলেছে। রাস্তায় উঠে সে কিছুক্ষণ হেঁটে, কিছুটা সুর নরম করে  জিজ্ঞেস করল

— আপনি তো প্রায় দশ বছর ধরে এই গ্রামের প্রধান। আগে তো মনে হয় এরকম জাতীয় কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাই নয় কি?

— না! আমাদের গ্রাম সর্বদাই শান্ত। এখানে  খুন কেন, ডাকাতিও হয়নি। তবে হ্যাঁ, ষাটের দশকে কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিল। খাদ্য আন্দোলনে কিছু লোক মারা যায়। আর নকশাল… আর সে থাক।

এই বলে আর কথা বাড়াতে চায়নি সুদর্শন। সামনে ফাঁকা রাস্তা। তাদেরকে এখনও ভালোই পথ হাঁটতে হবে। তবে ইতিহাসের খোদাই না করাই সে শ্রেয় মনে করে। সুদর্শন তার নোংরা ধুতির কুচিটা আরেকটু শক্ত করে নেয়।

— না না থামলেন কেন? বলতে থাকুন। এই গ্রামের ইতিহাস এখনও পুরোপুরি শুনিনি। জানতে আমার ভালোই আগ্রহ রয়েছে।  আপনি চালিয়ে যান।

কিছুটা অত্যুৎসাহী হয়ে নির্মল একদম সুদর্শনের দিকে তাকাল।

— আমাদের গ্রামের ইতিহাস এক ধারা দিয়ে চলেনি। এখানে কে আসল, কে  নকল তার যাচাই করার ধৃষ্টতা আমি করি না আর করতেও যাইনা। তবে হ্যাঁ, অনেক ইতিহাস এখনও চাপা আছে। কে জানে সেই ইতিহাসের আমিও একজন অংশীদার।

— আপনি কী বলার চেষ্টা করেছেন? আপনি ঊর্মিলা দেবীকে কেমন জানতেন?

— একজন অচেনা মহিলাকে নিয়ে এক অচেনা পুরুষের সাথে আলোচনা করতে রাজি নই। আমাকে আপনি কোথায় নিয়ে যাবেন সেটা কি খোলসা করে বলবেন? না হলে কিন্তু আমি চলে যাব। আশা করি আমি একজন স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। আর হ্যাঁ, যদি ইতিহাস জানতে চান, দয়াময় চক্রবর্তীর সাথে কথা বলুন।

— আমি শুনেছি আপনার সাথে দয়াময়বাবুর সম্পর্ক খুব খারাপ।

— আমি এই ব্যাপারে কোনও কথা বলব না।

 

দুজনে আর বাকি রাস্তায় কথা না বলে পা বাড়িয়ে এগোতে লাগল। সমাদ্দারের বদলে নতুন পুলিশ অফিসার এসেছে। অনিমেষ  ঘোষ নাম। নতুন করে এই কেস খোলার কথা চলছে। সুদর্শন ভাবছে এই সবই দয়াময় আর নির্মলের অঙ্গুলিহেলনে হচ্ছে। সবাই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সামনেই তারা দেখতে পারছে পুলিশ ফাঁড়ি। পুলিশ ফাঁড়িতে ঢোকার আগে নির্মল সুদর্শনের পাঞ্জাবিটা টেনে ধরল।

— জানেন কি জানেন না, কেশব আবার নিয়ামতপুরে ঢোকার চেষ্টা করছে? তার ভাগ্নে সমর দাসের সাথে কিছুদিন আগে কথা হয়েছিল। কেশব নিয়ামতপুরে এসে তার ঘটনা সম্পর্কে সবাইকে বলতে চায়। সে তার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে চায়। আপনার কি মনে হয় ঊর্মিলা কেশবের সাথে যোগাযোগ জারি রেখেছিল?

— আমি কিছু জানি না। ঊর্মিলার সাথে আমার কোনও কথা হয়নি।

 

তারা দুজনেই পুলিশ ফাঁড়িতে প্রবেশ করল ।

(ক্রমশ)

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *