খড়কুটোর জীবন : ঝড়ের পাখি। পর্ব ১৮। লিখছেন সুপ্রিয় ঘোষ
ঝড় এলেই ঠাকুমা বারান্দা থেকে একটা কাঠের পিঁড়ি নামিয়ে দিতেন উঠানে। তারপর ক্ষুদ ছড়িয়ে দিয়ে বলতেন -- ' হে পবন,...
ঝড় এলেই ঠাকুমা বারান্দা থেকে একটা কাঠের পিঁড়ি নামিয়ে দিতেন উঠানে। তারপর ক্ষুদ ছড়িয়ে দিয়ে বলতেন -- ' হে পবন,...
কুমোর পাড়া থেকে ভেসে আসা হাঁড়ি পেটানোর আওয়াজে ঘুম ভেঙে যেতো। বুঝে যেতাম ভোর হয়েছে। পাখির ডাক, আজানের সুর আর...
রাস্তার পাশেই মাটির দেওয়াল আর খড়ের ছাউনির দোকান। দোকানের মুখটা গুড়ের বা তেলের টিন কেটে বাঁশের কাঠামোর উপর পেরেক ঠুকে...
মাঝে মাঝেই দেখতাম তিনি গেরুয়া পোশাক পরে এক কাঁধে গেরুয়া ঝোলা অন্য কাঁধে বড়ো করাত দোলাতে দোলাতে হন হনিয়ে হেঁটে...
পিঠোপিঠি দুই ভাই হওয়ার কারণে আমি জ্যেষ্ঠ তাই মায়ের দুধের ভাগ ছেড়ে দিতে হয়েছিলো শৈশবেই। রুগ্ন মায়ের তাতে কিছুটা হয়তো...
ডোবার পাশে ছোটো ছোটো অসংখ্য তাল গাছ। কোনোটা সোজা হয়ে হাত পাঁচেক উঠেছে। কোনোটা বেঁকে গেছে ডোবার জল খাবে বলে।...
ছোটো বেলাতে হরেন কাকা আদর করতে গিয়ে মাঝে মাঝে উপরের দিকে তুলে ধরে বলতেন --- 'মামার বাড়ি দেখতে পাচ্ছিস?' আমিও...
স্কুলে বন্ধুরা মিঠুন নামের এক বন্ধুকে ক্ষ্যাপাতো --- 'ঘরে নেই নুন / ছেলের নাম মিঠুন।' আবার তাপস নামের ছেলেদের শুনতে...
'পথের পাঁচালী'র হরিহরের মতো কথকঠাকুরেরা গ্রাম জীবন থেকে কবেই বিদায় নিয়েছেন। একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে গেছে। তাই গল্পদাদুর আসর আর বসে...
সর্ষের তেল মাখিয়ে নরম রোদ্দুরে শুইয়ে দেওয়া হতো আমাকে। তখন আমি ক্ষুদ্র শিশু হাত-পা নেড়ে খেলতাম আপন মনে। চুষিকাঠির বদলে...