মেদিনীপুর লোকাল। পর্ব ১১ । দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান সার্কাস । লিখছেন আদিত্য ঢালী

0

গত পর্বের পর…

মধ্য বৈশাখে সূর্য তখন আগুন ছড়াচ্ছে চারিদিকে। ঘরে ফিরে বিছানায় দেহ রাখা যায় না। মেঝেকে জল দিয়ে মুছে নেওয়ার পরে কিছু না পেতেই মেঝেতে শুয়ে পড়তে হয়। অফিসের জানলা খোলা রাখা দায় হয়ে যাচ্ছে। দুপুর গড়ালেই আগুনের হলকা আসে। টিফিন টাইমে বেরিয়ে খেতে যেতেও ইচ্ছে করে না। মুড়ি মাখা, চিড়ে মাখা বা কোনোদিন নারানদাকে দিয়ে খাবার আগে থেকে আনিয়ে রেখে সেটাই দুপুরে দু’জনে মিলে ভাগ করে খেয়ে এভাবেই চলছিল। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে আসার সময় খাবার নিয়ে এলে সকাল দশটায় সেই খাবার খাওয়া যায় না। গরমে খাবার নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু খেয়ে নিতে হয়। কারণ বেশ কিছু বছর আগে উজ্জ্বল সাধু আমায় বলেছিল “খাবার নষ্ট হয়ে গেছে বলে সেই খাবার খাওয়া যায় না সেটা আসলে মনের ভুল, না ভেবে খেয়ে নিলেই হয়ে যায়। মনকে আমরা যা বোঝাবো মন তো তাই বুঝবে।” উজ্জ্বল সাধুর সাথে আমার আলাপ হয়েছিল কেন্দুলির মেলাতে। বাংলা লোকগীতি বিশেষ করে বাউল গানের প্রতি বিশেষ ভাবে আকর্ষিত হয়ে পড়েছি তখন। ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরী ঘেঁটে পড়ে ফেলেছি সুধীর চৌধুরীর ‘বাউল ফকির কথা’। কেন্দুলির কথা জেনেছি। আচমকাই এক জানুয়ারি মাসের বিকেলে কলেজ স্কোয়ারের আড্ডায় বন্ধু মৌন বলল আমরা যদি কেন্দুলি যাই কেমন হয়! যেমন ভাবা তেমন কাজ। ততক্ষণে মৌন সব ডিটেলস জোগাড় করে ফেলেছে। সকাল দশটা দশের বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার করে বোলপুর। সেখান থেকে বাস ধরে ইলামবাজার মোড়। আবার বাস বদলে একেবারে অজয়ের পাড়ে কেন্দুলিতে । গীত গোবিন্দের কবি জয়দেবের আখরায়। আমাদের সাথে বন্ধু শুভঙ্করও যাচ্ছে। শুভঙ্কর গান গায়। ওর উদ্যমটা আমাদের থেকেও বেশি। সারারাত ঘুরে ঘুরে গান শোনা। জীবনের আধ্যাত্মিকতার মোহে আবদ্ধ হয়ে অপার হয়ে চেয়ে বসে থাকা। বাঁশির সুরে ভেসে যাওয়া এদিক থেকে সেদিকে। সুরের মূর্ছনায় সে যেন সাক্ষাৎ ঈশ্বর দর্শন। এ আখরা থেকে সে আখরা ঘুরে ঘুরে বেড়ানো। এদিকে ঠাণ্ডা প্রচন্ড। জ্যাকেট পরেও তার উপর দিয়ে কম্বল জড়িয়ে বের হতে হয়েছে। আনাচে কানাচে গাঁজার গন্ধ। ধোঁয়ার কুণ্ডলী। সাধু সন্তদের মৌন মিছিল। আর সাথে দেহাতি মানুষদের ভিড়। এক একটা আখড়া থেকে এক এক সুর ভেসে এসে আকাশে বাতাসে যেন সুরের রামধনু সৃষ্টি করছে। আপাতত কেন্দুলির কথা থাক। কারণ শুরু করলে আমি আর শেষ করতে পারব না। একের পর এক কথা উঠে আসবে। কীভাবে বিদেশী বন্ধু মেরির সাথে আমাদের আলাপ হল, কীভাবে আমরা তাকে কৃষ্ণ ও কৃষ্ণার পার্থক্য বুঝিয়েছিলাম, কীভাবে দেখেছিলাম চিতার উপরে মড়া জ্যান্ত হয়ে যায়, কীভাবে সকালের আলো ফুটে ওঠার সাথে সাথে অজয়ের তীরে হট্ট মেলার ভিড়, গৌড় ক্ষ্যাপার মার্গদর্শন ইত্যাদি। ঐ যে বললাম শুরু করলে শেষ করা যাবে না। তাই এই পরিসরে থাক। একেবারে উজ্জ্বল সাধুর কথায় আসি। যে আখড়ায় আমরা উঠেছিলাম সেই আশ্রমেই উজ্জ্বল সাধু থাকেন। মেলার ঐ ক’দিন ওখানে সকাল রাত দু’বেলাতেই সকলে পাত পেড়ে খেতে পারে।

আমরা যখন পৌঁছালাম তখন দুপুর গড়িয়ে প্রায় বিকেল। আশ্রম উদ্যানে সান্ধ্য আসরের প্রস্তুতি চলছে তখন। আমরাও ক্লান্ত। খড়ের গাদায় একটু গড়িয়ে নিয়ে আবার বেরিয়ে এ আখড়া সে আখড়া ঘুরে যখন সন্ধ্যে পার করে আশ্রমে ফিরে এলাম তখন রাতের খাওয়ার আয়োজন চলছে। দিনেরবেলার তুলনায় রাতের বেলা লোক কম খায়। আমাদের উপর দায়িত্ব পড়ল খাবার পরিবেশন করার। ভাত, ডাল, আলুর দম, চাটনি ও পায়েস। সবই দুপুরে বানানো শুধু ভাত ছাড়া। পায়েস দেওয়ার সময় নাকের কাছে নিয়ে শুঁকতেই কেমন একটা গন্ধ এল, বুঝলাম খাবারটা নষ্ট হয়ে গেছে। উজ্জ্বল সাধু ছিলেন সব কিছু দেখার দায়িত্বে। তাঁর কাছে গিয়ে যখন বললাম পায়েসটা থেকে কেমন একটা গন্ধ বেরোচ্ছে তিনি এক হাতা তুলে মুখে পুড়ে বেশ আয়েশ করে খেয়ে বললেন “কোথায় নষ্ট হয়েছে! দিব্যি তো আছে। ওসব তোমাদের মনের ভুল। মনে করবে সব ঠিক আছে। তখন দেখবে কোনো কিছুই আর মনে হচ্ছে না। মনকে যা বোঝাবে মন তাইই বুঝবে। সবই তোমার হাতে।” উজ্জ্বল সাধু এই আপ্ত বাক্য বলে চলে গেল। রাতের আসরে যত লোক খাওয়া দাওয়া করল সবাই শেষ পাতে চেটেপুটে আয়েশ করে পায়েস খেয়ে বিদায় নিল। আমরাও সবার শেষে খেতে বসে বিনা দ্বিধায় পায়েস খেলাম। খেতে একটু অন্যরকম লাগছিল ঠিকই কিন্তু আর কিছু মনে হয়নি। বলা ভালো আমরা আর কিছু মনে করিনি।

উজ্জ্বল সাধুর সেই আপ্ত বাক্য মনের মণিকোঠায় চিরদিনের জন্য গেঁথে গিয়েছে। জীবনে যতবারই কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হই যেখানে হয়ত নিজের খুব বেশি কিছু করার থাকে না তখন মনকে সেই আপ্ত বাক্যর দ্বারা ভুলিয়েই মানাই। এবারও তাঁর কোনো বিপরীত হল না। সময় দেওয়া ছিল সকাল দশটার মধ্যে পৌঁছাতে হবে কেশিয়ারি সরকারি কলেজে। কেশিয়ারি ব্লকের ডিসি হল কেশিয়ারি কলেজ। সেখান থেকেই ভোটের সরঞ্জাম সমস্ত কিছু নিয়ে ভোট করিয়ে আবার সেখানে ফেরত দিলে তবে ছুটি। ইচ্ছে করেই একদম ভোর বেলায় বের হইনি। কারণ এতদিনের জীবনের অভিজ্ঞতায় বুঝেছিলাম সকাল ঠিক দশটায় ওখানে পৌঁছে বসে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করতে হবে না। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে খড়গপুর লোকালে উঠে দেখি বসার সিট একটাও নেই। এদিকে বাইরে গরমের তাপ বাড়ছে। সুতির জামা ঘামে ভিজতে শুরু করেছে। আমি আবার জপ করার মত উজ্জ্বল সাধুর কথা মনে মনে বলতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর সিট ফাঁকা হল। বসলাম। ট্রেনের অধিকাংশ প্যাসেঞ্জারই যে ভোটের ডিউটিতে যাচ্ছে তা তাদের কথাবার্তা শুনেই বোঝা যাচ্ছে। খড়গপুর ষ্টেশনে যখন নামলাম তখন বেলা প্রায় দশটা। বাইরে বের হতেই গায়ে এমন ছ্যাঁকা লাগল যে বহু বছর পর আমি দিনের আলো থেকে বাঁচতে ছাতা খুললাম। শেষ বোধহয় স্কুলে পড়তে খুলেছিলাম। কেমিস্ট্রি ব্যাচে এক সুন্দরি বলেছিল “তোরা এই যে সারাদিন রোদের মধ্যে সাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়াস তোদের গায়ে ট্যান পরে যায় না? তোরা ছাতা কেন ইউস করিস না?” ট্যান ব্যাপারটা কি জিনিস তখনও জানতাম না। বিকেলে খেলার মাঠে এক বন্ধু ওর দিদির থেকে জেনে এসে বলেছিল ট্যান পরে যাওয়া মানে গায়ের চামড়া পুড়ে যাওয়া। আমরা সবাই নিজেদের দিকে তাকিয়ে সেদিন ভেবেছিলাম এই চামড়া এর থেকেও বেশি পুড়ে কালো হতে পারে? উত্তর পাইনি তাই তারপর থেকে বেশ কিছুদিন আমরা সবাই একহাতে সাইকেল চালাতাম আরেক হাতে ছাতা খোলা থাকত। আমাদের এক স্যার পরীক্ষায় খারাপ ফল হওয়ার পর বলেছিল “ইস যাতা! কী করে আর হবে? সকাল দশটায় ছাতা সাইকেল, বিকেল চারটেয় ছাতা সাইকেল। এই করেই তো কেটে যাচ্ছে।” এসব শুনে অবশ্য আমাদের মধ্যে বিশেষ প্রভাব পড়েনি। আমরা আবার পরেরদিন সকালে ছাতা সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। বেশ কিছু ছাতা হারাবার পর যখন বাড়িতে ঠ্যাঙানি দিল এবং ঘোর বর্ষাতেও ছাতা কেড়ে নিল — সেই থেকে দিনের আলোতে ছাতা ব্যবহারের প্রথা উঠে গেল।

ছাতা টাঙিয়েও যেন তপ্ত প্রবাহের থেকে খানিক আরাম পাওয়া যাচ্ছে না। রাস্তা পেড়িয়ে বাজারের গলি ধরলাম। দু’দিকে খাবারের দোকান। হাতঘড়ি বলছে দশটা পনেরো। খেয়ে দেয়ে যাওয়াই ঠিক হবে ভাবলাম। সেইমত ঢুকে পড়লাম সস্তার হোটেলে। নিরামিষ মিল মাত্র কুড়ি টাকা। ভাত, পাতলা ডাল, একটা তরকারি আর সাথে উচ্ছে ও আলু ভাজা। পেট ভরে খেয়ে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে একজনকে জিজ্ঞেস করাতে সে বলল কেশিয়ারি যাওয়ার বাস নাকি আর নেই এখন। ভোটকর্মীদের যার যার নিজের নিজের ডিসিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিকটবর্তী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু কোনোভাবেই সেই বাসের টাইম জানা যায় না। কানাঘুষো কিছু শোনা যায় ঠিকই তবে তার উপর বিশ্বাস করা বা না করা সবই নিজের ওপর। আমি আমার নিজের উপর বিশ্বাস করে এসেছিলাম। কিন্তু বাস নেই শুনে এবারে ফাঁপড়ে পড়লাম। খুব বেশি রিস্ক নেওয়া হয়ে গেল নাকি? কী জানি কিছুই তো বুঝতে পারছি না। এদিক ওদিক দেখে একেবারে বাসস্ট্যান্ডের শেষে গিয়ে দেখলাম একটা ছোট বাস এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে। জনাকতক লোক তাতে বসেও আছে। বাসের কাচের একেবারে ডানদিক ঘেঁষে লেখা ‘কেশিয়ারি যাবে’। এই তো! হাতে যেন সোনা পেলাম। উঠে পড়লাম। কন্ডাকটরকে জিজ্ঞেস করাতে বলল “ঠিক বাসেই উঠেছেন, এরপর আর বাস নেই।” প্রায় আধ ঘন্টা পর বাস ছাড়ল। যেতে যেতে পথে আরও জনাকতক ভোটকর্মী উঠল। কিন্তু খড়গপুর শহর থেকে বেরিয়ে বাস যখন এবড়ো খেবড়ো গ্রামের পথ দিয়ে যেতে লাগল। সাধারণ মানুষ বাসে ওঠার জন্য বারবার হাত দেখাতে লাগল। এসব অঞ্চলে এতদিন থেকে দেখেছি গাড়ির সংখ্যা খুবই কম। দিনে হাতে গুনে কয়েকটা গাড়ি চলে। তাও একটা বাস বা ট্রেকার চলে যাওয়ার পর বেশ কিছু সময়ের অপেক্ষা তারপর আবার পরের গাড়ি। অফিস যেতে মাঝে মাঝেই যখন ট্রেন লেট করে তখন আর বাস পাওয়া যায় না। পরের বাসের জন্য অপেক্ষা করলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেক লেট হয়ে যায় অগত্যা প্রায়দিনই গাড়ি ভাড়া করে যেতে হয়। ভোটের সময় প্রায় সমস্ত বাস ট্রেকারই ভোটের প্রয়োজনে তুলে নেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের হয় তথৈবচ অবস্থা। সময়ে গাড়ি থাকে না। যাও একটা দু’টো থাকে তাতে এত ভিড় হয় যে দমবন্ধকর পরিস্থিতি থাকে। তাই ভোটের গাড়ি লেখা দেখেও লোকজন হাত দেখিয়ে থামাবার চেষ্টা করছে। কন্ডাকটর ছেলেটি এদিকে বেশ ভালো। মাঝে মাঝে কয়েক যায়গায় থেমে কয়েকজন স্থানীয় লোককে বাসে তুলে নিল। তারা নেমেও গেল কিছু পরে। আর আমরা গরম হাওয়া খেতে খেতে প্রায় ঘন্টা দেড়েক পর পৌঁছালাম কেশিয়ারি কলেজ। নতুন হয়েছে। সব বিল্ডিংই একতলা। মাঝের ফাঁকা যায়গায় ত্রিপল দিয়ে প্যান্ডেল করে বানানো হয়েছে ডিসি। এখান থেকেই আমার টিমের সবাই জড়ো হয়ে ভোট নেওয়ার মালপত্র নিয়ে যাবে। কাউন্টারে গিয়ে ফোন নাম্বার দিয়ে সই করে উপস্থিত যে হয়েছি সেটা সবার আগে জানাতে হয়। সই করে এসে একটা বড় ফ্যানের তলায় বসে হাফ বোতল জল খেয়ে আগে তেষ্টা মেটালাম। স্ট্যান্ড ফ্যান হওয়ায় হাওয়াটা গরম নয়। বাঁশে হেলান দিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি খেয়াল করিনি। ঘুম ভাঙল ফোনের শব্দে। হ্যালো বললাম। ওপার থেকে যিনি কথা বললেন তিনি আমার টিমের প্রিসাইডিং অফিসার। অর্থাৎ তিনি চার্জে। আমরা ওনার অধীনে। আমি যদি সঠিক সময়ে ট্রেনিং করতাম তাহলে গোটা টিমের সাথে আমার আলাপ হয়ে যেত। যেহেতু আমি স্পেশাল ট্রেনিংএ গিয়েছিলাম তাই কারোর সাথেই আলাপ হয়নি। উনি এলেন। এসে বললেন –“কখন এসেছেন?” আমি বললাম “এই মিনিট কুড়ি হবে।” উনি এবারে হেসে বললেন “এত আগে চলে এসেছেন কেন? আমাকে তো কাউন্টার থেকে বলল আপনি এসেছেন তাই আমি ফোন করলাম। বাকি কেউই তো আসে নি। সবাই দুপুরের খেয়ে দেয়ে একেবারে আসবে।” আমি একটু অবাক হয়ে বললাম –

– দশটায় আসতে বলা হয়েছিল। আমি তো বারোটা পার করে এসেছি।

– আরে ওরম তো বলা থাকবেই। এত আগে এসে কী হবে।

– আমার তো প্রথমবার বুঝতে পারিনি। আপনি তাহলে আগে এসেছেন কেন?

– ধীরে ধীরে বুঝে যাবেন। আরে আমি তো আগে এলাম এদিকে শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম বলে, সম্বন্ধী যাওয়ার পথে ছেড়ে দিয়ে গেল। আর আগে এসে ভাবলাম সব কিছু কালেক্ট করে নেব। আপনি খেয়ে দেয়ে এসেছেন?

– সকালে খেয়েছি।

– লাঞ্চ করেননি তো?

– না করিনি।

– যান করে আসুন। আমি মালপত্র সব নিয়ে ওদিকেটায় আছি।

-ঠিক আছে আমি খেয়ে আসছি তাহলে।

উনি মাথা নেড়ে সম্মতি দিলেন। আমি আবার ছাতা খুলে বাইরে খেতে গেলাম। ধূ ধূ প্রান্তরের মাঝে কলেজ। বাইরে কোনো দোকানপাট কিছু নেই। খানিকদূরে ভোটের জন্য টেম্পোরারি একটা হোটেল করেছে। সেখানেই গেলাম। নিরামিষ পঞ্চাশ টাকা আর মাছ ভাত ৭০ টাকা। মাছ ভাত অর্ডার দিয়ে মুখ হাত পা ধুয়ে ফ্যানের তলায় বসলাম। গরমে ক্লান্ত হয়েও দেখলাম ততক্ষণে খিদে পেয়ে গেছে প্রচন্ড। খাবার টেবিলে দিতেই ডাল দিয়ে মেখে মাছের অপেক্ষা না করেই গোগ্রাসে খেতে লাগলাম।

(ক্রমশ)

পরবর্তী পর্ব…

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *