গো…ও…ও…ও…ল। স্মৃতিকথনে বরুণদেব

0

‘জ্যোতি,বক্সে ঢোক্‌…… জালাল, অশোককে পাস্‌ দে……বুলা,ওপরে ওঠ্‌…

টিভির পর্দায় ‘সব খেলার সেরা বাঙ্গালীর তুমি ফুটবল’-এর আসরে, ২২ জোড়া পায়ের পাশাপাশি সাইডলাইনের ধারে জোয়াকিম লো, দেশঁদের অস্থির পদচারণা,হাত পা নেড়ে নির্দেশ দেওয়া, উল্লাস, হতাশার ক্লোজআপ দেখতে দেখতে, সাত বা আটের দশকের মাটিয়ারির শিশু-কিশোর-যুবকরা, স্মৃতিতে ডুব দিলে, ফুটবল মাঠের সাইডলাইনের ধার থেকে ভেসে আসা এক কণ্ঠস্বরে সচকিত হয়ে উঠবেই,  –

‘স্বপন,দশ নম্বরটাকে মার্ক কর……নন্টু, গোল ছেড়ে বেড়ুবি না’……

সে দৃশ্য কখনও ক্যামেরাবন্দী হয়নি, স্টিল বা ভিডিও। কিন্তু সে ছবি ঐ যুগের মাটিয়ারিবাসীর মনক্যামেরায় আজও রিলবন্দী হয়ে আছে, সেটা হলফ করে বলাই যায়।

এ ছবি, সাদা-কালো, ধূসর বা অমলিন রঙিন, যে রূপেই ধরা দিক্‌ না কেন, সে ছবি শুধু যে এক জনপদের, তা নয়। ঐ সময়ের  সব জনপদেরই। কুশীলবরা বদলে যায়, ভৌগোলিক অবস্থান বদলে যায়, কিন্তু সময়ের গীতি আলেখ্যের মূল সুর একই থাকে।

সাত বা আটের দশকে যখন বিশ্বফুটবলের স্বাদ যুগান্তর, অমৃতবাজার পত্রিকায় পেলে গ্যারিঞ্চা, ফ্রান্সিসকোলির ছবি ও খবরে, যখন রেডিওর সিগনেচার টিউন হাত বা টেবিল ঘড়িতে দম দেয়, যখন মানস-বিদেশ-প্রসূন বা মজিদ-জামশিদ- খাবাজীর দৌড় অজয় বসুর ভোকাল কর্ডে তরঙ্গায়িত হয়ে উল্লাস বা যন্ত্রণার ঢেউ তোলে রামসীতা বাড়ির সিঁড়ি, বাজারের দোকানের সামনে বা পাড়ায় পাড়ায় ছোট ছোটো জটলায়, যখন ফেড কাপের অমীমাংসিত ফাইনাল ম্যাচের মীমাংসার জন্য পরের সকালে মোহন-ইস্ট মুখোমুখি হয় আর মর্নিং স্কুলের শেষ প্রহরের স্টাফরুমে বেজে ওঠে ট্রানজিস্টার, বাইরে পুঁটুদা, শঙ্করদা, বাহাদুরদার ‘টানা-চেয়ারে’ বসে গুটিকয় ছেলের কান খাড়া করে ধারাবিবরণী শোনা স্যারেদের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় পায়…… সেই যুগে হাইস্কুলের একজন শিক্ষককে কেন্দ্র করে মাটিয়ারির খেলাধুলার জগত আবর্তিত হয়, যিনি মাটিয়ারির ভূমিপুত্র না হয়েও, আপামর মাটিয়ারির কাছে ‘আমাদেরই লোক’।

নদীয়া জেলার মাটিয়ারি নামক জনপদের কাছে  আসাম থেকে আসা সেই মাস্টারমশাই ‘আমাদের বিভূতিবাবু’। আর স্কুলের ছেলেমেয়েদের  ‘বঙ্গলিপি’ খাতার রুটিনের খোপে ‘বি বি কর’। সাত- আটের দশকের জনপদ  আড়ালে আব্‌ডালে সেই মাস্টারমশাইয়ের চেহারার সঙ্গে সিনেমার বিশ্বজিতের মিল খুঁজত।  অধুনা দক্ষিণ কলকাতা নিবাসী সেই মানুষটির পুরো নাম – বিভূতিভূষণ কর। সে নাম উচ্চারিত না হলে খেলা শুরুর বাঁশি বাজে না, শব্দেরাও ক্ষুণ্ণ হয় এই জনপদে, অন্ততঃ যতদিন সেদিনের সবুজ পাতারা গাছের ডালে হাওয়ায় হাওয়ায় মাথা দুলিয়ে যাবে।

ঘটি অধ্যুষিত জনপদে বেশ কিছু বাড়িতে শোনা যেত বিশুদ্ধ বাঙাল ভাষা। ‘হাড়ভাঙা ক্লাবের’ টুর্ণামেন্টে ‘বগলা, বাইরে মার, আমরা পেনাল্টি থেকে গোল করি না’-র (ধন্যি মেয়ে) ম্যাচ দেখতে মাটিয়ারি ভিড় জমাতো ‘বুড়ো বাবাজীর সিনেমা হল’ ‘কালিকা টকিজ’-এ।  মোহন-ইস্ট ম্যাচে ‘গোওওওওল’ শব্দ বিস্ফোরণে কিশোরদের ডিগবাজী, দাদা-কাকা-জেঠুদের উল্লাস আর রেডিওসেটের মেকানিকের উপার্জন বৃদ্ধি।  বিভিন্ন ক্লাবের দেওয়া লটারির টিকিট যারা কাটতো তাদের চোখ চক্‌চক্‌ করত পুরস্কারের লিস্টের প্রথম লাইনে- ‘প্রথম পুরস্কার- সাদা কালো টিভি’।

‘হ্যাণ্ড অফ গড’ আর ‘গোল অফ দ্য সেঞ্চুরি’-যুগে, গুটিকয় ছাদে সাদাকালো টিভির অ্যান্টেনা হনুমানের জলসা ও পড়শীর ঈর্ষা। টিভি-বাড়ির দাদা-কাকা-জেঠুদের বারান্দা বা ঘড়ে, লোডশেডিং-এর হিসেব কষতে কষতে, খেলার সময় ‘জ্যোতিবাবু থাকবেন না চলে যাবেন’,এই দোদুল্যমানতায় দুলতে দুলতে, খুলিট-বাস্তেন-রাইকার্ডদের নিয়ে রাত্রি জাগে মাটিয়ারি।

সেই যুগে, স্কুলের রুটিনের খোপে বিভূতিবাবু জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক, তিনিই আবার গেমস টিচার, শুধু স্কুলের নয়, গোটা জনপদের। তাঁর নজরদারিতে বিকেলের ফুটবল মাঠ মুখর- ‘এ’ টিম, ‘বি’ টিম, ‘সি’ ও ‘ডি’ টিম। মূল মাঠ ‘এ’ টিমের দখলে, সেখানে স্কুলের প্রাক্তনীরা এবং উঁচু ক্লাসের কিছু ছেলে। গোলপোস্টের পিছনে ধান-জমি ঘেঁষা আয়তক্ষেত্রে ‘বি’ টিম। ‘বি’ থেকে ‘এ’ টিমে ডাক পাওয়া ছাত্রটি আলোচনার কেন্দ্রে। সাইডলাইনের ধার ঘেঁষে, বাস-রাস্তার দিকটায় যে আয়তক্ষেত্র, তা দুভাগে ভাগ- ‘সি’ ও ‘ডি’ টিমে। ‘সি’ থেকে ‘বি’তে উত্তরণ ঘটলে, বন্ধুরা একটু ট্যারা চোখে দ্যাখে তাকে।

স্কুল শিক্ষকতার পেশায়  এ জনপদের বাইরে থেকে আসা এক ঝাঁক তরুণ মাস্টারমশাই  বিকেল হলে নেমে পড়েন স্কুল বোর্ডিং এর মাঠে। অফিস ফেরত ভূমিপুত্ররা সময় ম্যানেজ করতে পারলে ফুটবলে পা লাগায়। রামসিতা মাঠ, কার্তিক সেনের মাঠ, মুসলমান পাড়ার মাঠ, জাগরণী ক্লাবের মাঠ, পাড়ায় পাড়ায় ছোট ছোট মাঠগুলি বিকালবেলা ফুটবলের দাপাদাপিতে মুখর, যদিও এ সাম্রাজ্যে কূলীণ ও অভিজাত হল গ্রামের শুরুতে হাইস্কুলের ফুটবল মাঠ, যেখানে হাইস্কুলের সেই মাস্টারমশাই বিভূতিবাবুর কড়া নজরদারি।

একদিন সেই মানুষটির হাত ধরেই জন্ম নিল ফুটবল ক্লাব- মৌসুমী ক্লাব। মাটিয়ারির বাইরে থেকে এসে যিনি কোচিং করাতে এলেন, তিনি সকলের কাছে হয়ে উঠলেন – পৃথ্বীশদা। আর মাটিয়ারির শিশু কিশোররা দেখল, ফুটবল মাঠেও ঢুকে পড়েছে চক, ব্ল্যাকবোর্ড। সাইডলাইনের চুনের দাগ ধরে লেফট বা রাইট উইং এর বল নিয়ে বক্সে হানার অঙ্ক।

মৌসুমী ক্লাবের তত্ত্বাবধানে ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু হল। রানাঘাট, শান্তিপুর, শিমুরালি, চাকদহ, দেবগ্রাম, কাঁচরাপাড়া, কৃষ্ণনগর ………লম্বা টুর্নামেন্ট। সাইডলাইনের ধারে ভিড় জমালো মাটিয়ারি ও আশপাশের গ্রামগুলি। ক্ষিরুদা, জয়নালদা, আলোকনাথদারা লাল-হলুদ কার্ড পকেটে পুরে বাঁশি- ফ্ল্যাগ নিয়ে নেমে পড়ল মাঠে। সাইডলাইনের ধারে ছাতা মাথায় প্রৌঢ়রা, বল মাঠে গড়াতেই ‘দাদুর ছাতা’ বগলদাবা করে লাফালাফি, সাইড লাইনের ধার ধরে ছোটাছুটি, যেমন অমরকালী মাষ্টার। পড়ন্ত বেলার কেষ্ট মিত্র কোন এক দলের হয়ে পা বাঁচানো ফুটবল খেলতে মাঠে নামার আগে আস্রাফীয় মাইকিং এ সচকিত হয় চর্তুদিক।  সে শব্দতরঙ্গ তখন  রীতিমত  পাল্লা দেয় মোহন-ইস্ট ম্যাচের আগে ইথার তরঙ্গে ভেসে আসা অজয় বসু-গৌড়চন্দ্রিকার সাথে।

সেই যুগে উয়াড়ি, জর্জ টেলিগ্রাফ এর মত ছোট দলগুলির ফুটবলার মোহন-ইস্ট-মহামেডানের জালে বল জড়ালে, ‘খেলার আসর’-এ পাতা জোড়া ছবি। দেবগ্রাম থেকে উঠে আসা এমনই এক ফুটবলার মিঠুদার (বাবাজী) বন্ধু,  প্রসাদ, লাইব্রেরির শতরঞ্চির ওপর পড়ে থাকা ‘খেলার আসর’-এর পাতা থেকে মাটিয়ারি ফুটবল মাঠে নেমে পড়লে, কৌতূহলের সৃষ্টি । তারকা হয়ে ওঠে।  ভিড় জমে সে খেলা দেখতে।

শুধু ফুটবলই নয়, হাইজাম্প, লংজাম্প থেকে  ডিউস বলে ক্রিকেট, জ্যাব্‌লিন থ্রো থেকে ব্রতচারী- খেলাধুলা জগতের আলম্ব সেই মাস্টারমশাই। আবার সংগঠক হিসেবে হাল ধরেন যাত্রা-থিয়েটার জগতের। রামনবমীর যাত্রার আসর বা আট-নয়ের দশকে নাট্যজগতের ঢেউয়ে, নাট্যদল ‘কৃষ্টি সংসদ’ ও ‘অঙ্গীকার’ এর উত্থান পর্বে এই মানুষটি ‘বাড়িয়ে দাও তোমার হাত’।

স্যারের বাড়ির দ্বার অবারিত। যে যখন খুশি প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে –  ‘দিদিভাই,মাস্টারমশাই আছেন নাকি?’ দিদিভাই, আসলে মাস্টারমশাই এর স্ত্রী, একেবার আদর্শ যুগল, দিদিভাইও নানা কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন মহিলা গোষ্ঠীতে সতত বিরাজমান। আশপাশের গ্রামগুলি, সাধুগঞ্জ, কামদেবপুর, কাঁড়ালিয়া থেকে আসা ছাত্ররা এ বাড়িতে সাইকেল রেখে চলে যায় স্কুলে, টিউশুনিতে, বাজারে বা  ফুটবল মাঠে। গীতি আলেখ্যর রিহার্সাল বা নাটকের মহড়া, শতরঞ্চি পাতে স্যারের ভাড়াবাড়ির রোয়াকে। গ্রামীণ সেই সংস্কৃতিতে মঞ্চের সাদা টিউবলাইট, লাল নীল সবুজ আলোর চলমান ফোকাসে   ‘এবারে রবীন্দ্রনৃত্য পরিবেষণ করবে’ ঘোষণা কদাচিত শোনা যেত, কেননা মেয়েদের নৃত্যে ঐসব দশকের জনপদের সংস্কৃতিতে চোঁয়া ঢেকুর, প্রশিক্ষণের সুযোগও ছিল না। উজ্জ্বল ব্যতিক্রম যে দু চারটে বাড়ি, তাদের মধ্যে মাস্টারমশাই-এর বাড়িটি অগ্রগণ্য। যে কোন অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেষণায় মাস্টারমশাই এর মেয়ে এমিলি কর, প্রশিক্ষণে তার মা, সর্বজনীন ‘দিদিভাই’।

গ্রামীণ জীবনের খেলাধুলো, সংস্কৃতির সাথে, সেই যুগে যে কোন গ্রামের স্কুল, অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিল। মাটিয়ারি তার ব্যতিক্রম নয়। স্কুলের অ্যানুয়াল স্পোর্টসে ছাত্রদের সাথে সার্ট-প্যান্ট এবং মালকোঁচা ধুতি,স্যাণ্ডো-গেঞ্জির শিক্ষকদের ফুটবল ম্যাচ দেখতে ভিড় জমাত গ্রাম। ম্যাচ শেষে গুরুপ্রণাম, ছাত্র-শিক্ষক বণ্ডিং। এ দৃশ্য আজও দেখা যায় ঠিকই তবে স্কুলের অ্যানুয়াল স্পোর্টসের  আকর্ষণীয় ইভেন্টের সেই দর্শকের ভিড়টা, কালের স্রোতে ধীরে ধীরে অন্তর্হিত হয়ে হারিয়ে গেল কোথায়, সেটা সময়ের স্রোতই জানে।

আমরা, যাদের ‘হৃদি ভেসে যায়’ ভাগীরথীর জলে, তারা শুধু জানি, পৃথিবীটা ‘ছোট হতে হতে / স্যাটেলাইট আর কেবেলের হাতে /ড্রয়িং রুমে রাখা বোকা বাক্সে বন্দী’ হল যখন, সেই ‘চিত্রহার’ আর ‘ম্যয় সময় হুঁ’-র যুগে, জাগরণী ক্লাবের মাঠে ব্রজদা শিশিরদাদের পা ছুঁয়ে, অগ্নিবীণা ক্লাবের গেঁড়ুর যাদুদণ্ড বেয়ে, সময়টা একদিন ক্লান্ত হয়ে পড়ল। স্কুল বাড়িটার পাশের মাঠ- বালিচর ধরে হাঁটতে হাঁটতে, সেই বৈকালিক কোলাহল স্তিমিত হয়ে যাওয়ার আয়োজন শুরু করল একদিন। কবে যেন বইয়ের ব্যাগটা ভারী হতে হতে, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিটগুলো ধনী হতে হতে, পেতলের অভিজাত গালাই-ভাটিগুলির অহংকারী অ্যাসিড বাষ্পে নিঃশ্বাস নিতে নিতে, ক্রমবর্ধমান জনঘনত্বের চাপে, জনবসতির সাথে কারখানার সহবাসের দাবিতে,  মাঠগুলো উবে গেল।  যেটুকু রইল তাও যেন ধূসর পাণ্ডুলিপি।

আমরা, সেই আট বা নয়ের দশকের দখিনা বাতাস, শুধু জানি, ‘মিটার যাচ্ছে বেড়ে এই পাবলিক টেলিফোনের/ জরুরি খুব জরুরি দরকার’ বেলা বোসদের খবরের জন্য ‘দশ বারোবার রঙ নাম্বার পেড়িয়ে’ সময়ের তীব্র স্রোতে ভেসে আসা মুঠোফোনের অঙ্গীকারের কথা  -‘দেব না কিছুতেই আর হারাতে’। সেই স্রোতে স্কুল-কলেজ বেলার ফুটবল মাঠের কলরব অন্তর্জালের ঐন্দ্রজালিক মেঘের কাছে আত্মসমর্পণ করল। কোলাহল বারণ হল।

এরই মাঝে গঙ্গার ধারে হনুমান মন্দির ঘিরে কিছু উৎসাহী ছেলের উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। বাচ্চাদের পার্ক, সকলের জন্য খোলা মঞ্চ, কেরিয়ারের ভাবনায় দলছুট কিছু ছেলের বিস্তৃত চরের মাটি আর বালির গালিচায়,  ‘হাউস দ্যাট’ বা ‘গো…..ও……ল’ এর সীমিত  বৈকালিক  কলরব।   তাসের চট গুটিয়ে রেখে আমরা–ওরা-র বহুধাবিভক্ত সমাজ একটু এগিয়ে এলে, এইসব টুকরো টুকরো প্রয়াস প্রশাসনিক সহায়তা কিছুটা পেলে, বোধহয় সুজিতের মত ছেলেদের গলায় আক্ষেপ ঝরে পড়ত না –  ‘দাদা, ফুটবল কোচিং শুরু করেছিলাম, বন্ধ করে দিতে হবে’। বিশ্বায়ণের দুনিয়ায় এসকেপ ভেলোসিটি পাওয়া খেলার মাঠগুলির ভৌগোলিক  অসহায়তায়  যখন এইসব হাহাকার ঝরে পড়ে তখন যেন আরও বেশি করে ভেসে ওঠে কোন এক দশকের ফুটবল মাঠের সেই ছবি, ঠিক যেন  রূপকথা। আবার ‘এখন সময় সকাল বিকেল দীর্ঘশ্বাস ফেলে/ মেয়ের খেলা বন্ধ বলে চড়াই পাখি খেলে’ যে সময়, তার কাছে  চুপকথাও।

 

শুধু সাইডলাইনের ধার ধরে এক  কণ্ঠস্বর আয়নিত মেঘপুঞ্জে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে-

‘লুকা, কীর্তিকে বাড়া… দিব্যেন্দু, সেন্টার কর… মানব, ম্যান মার্কিং এ যা……’

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *