“দ্বিজেন্দ্রলাল রায় : অনালোকিত ভুবন”। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্মদিবসে প্রকাশিত হলো নির্মুখোশের পক্ষ থেকে।
দ্বিজেন্দ্রলালের রচনার পাণ্ডুলিপি যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি পাওয়া সম্ভব নয় তাঁর সমস্ত গানের সঠিক সুরের সন্ধান। তাঁর রচনার সঠিক ও সমতাধর্মী পাঠ কিংবা তার পূর্ণাঙ্গ বংশলতিকাও অমিল প্রায়। তাঁর জন্মস্থান কৃষ্ণনগরে একটি রাস্তার নাম, একটি কলেজ, একটি পাঠাগার, জলঙ্গী নদীর উপরে একটি সেতু, একটি ক্ষুদ্রাকার দ্বিজেন্দ্র-ভবন, রেললাইনের পাশে অনাদৃত তার জন্মভিটা চিহ্নিতকরণ, রেল স্টেশনে একটি ছবি– এসব বহিরঙ্গের ছোটোখাটো প্রচেষ্টা ছাড়া নেই তাঁর স্মৃতিরক্ষার প্রকৃত কোনো ব্যবস্থা।
বাংলার অন্যতম প্রধান কবি-নাট্যকার-সঙ্গীতকারের ক্ষেত্রে এমন উপেক্ষা অস্বাভাবিক ঠেকলেও যারা দ্বিজেন্দ্রজীবন ও কর্মের সঙ্গে পরিচিত তাদের কাছে এই উপেক্ষাকে অস্বাভাবিক বলে নাও মনে হতে পারে। কেননা, নিজের চাকুরিক্ষেত্র থেকে শুরু করে সাহিত্যক্ষেত্র পর্যন্ত– সর্বত্র তিনি ছিলেন আপসহীন। চাকরিক্ষেত্র সংগ্রাম করেছেন ইংরেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে, সামাজিক ক্ষেত্রে সংগ্রাম করেছেন কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে, সাহিত্যক্ষেত্রে তাঁকে সংগ্রাম করতে হয়েছে সংখ্যাগুরুদের উচ্চকিত কলরোলের সঙ্গে।
মাত্র পঞ্চাশ বছরের আয়ুস্রোতে বাংলা কাব্য-নাটক-সঙ্গীত অবশ্য দ্বিজেন্দ্রলালের স্বর্ণমুষ্টি দানে এতটাই সমৃদ্ধ যে, তাঁকে পিছনে ফেলে যাওয়া বঙ্গসংস্কৃতির পক্ষে সম্ভব হয়নি, এ হলো সময়ের নিরপেক্ষ দেবতার দান।
আজ ১৯ জুলাই। দ্বিজেন্দ্রলালের ১৫৮ তম জন্মদিবস। এই উপলক্ষে প্রকাশিত হলো পুস্তিকা “দ্বিজেন্দ্রলাল রায় : অনালোকিত ভুবন”। সাম্প্রতিকে প্রকাশিত হয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বই। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও বাংলার কৃষক। লিখেছেন শতঞ্জীব রাহা। এই পুস্তিকায় রয়েছে বইটি নিয়ে আলোচনা। সঙ্গে থাকছে কৃষিবিদ দ্বিজেন্দ্রলালের বহু দুর্লভ তথ্য ব্যবহার করে লেখা আমাদের দেশের কৃষি-ফসল সংক্রান্ত আকর গ্রন্থ দি ক্রপস্ অব বেঙ্গল্। সঙ্গে দ্বিজেন্দ্রলাল সম্পর্কে দুটি দুর্লভ লেখা। আপাতত এটুকুই বিনম্র আয়োজন নির্মুখোশের।
এখান থেকে ডাউনলোড করে পড়তে পারেন, যত খুশি মানুষকে পড়াতে পারেনঃ দ্বিজেন্দ্রলাল রায় : অনালোকিত ভুবন