উড়নচণ্ডীর পাঁচালি। পর্ব ২০। লিখছেন সমরেন্দ্র মণ্ডল

0

(গত পর্বের পর)

কফি হাউজের মৌতাত

না, কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউজ নয়। এ ছিল কৃষ্ণনগর জর্জ কোর্টের মোড়ে লেখরাজদার চায়ের দোকান। আমরা বলতাম কফি হাউজ। কেন না, নামে চায়ের দোকান হলেও, চরিত্রে ছিল কফি হাউজ। আড্ডার মেজাজও ছিল তেমনি। পাওয়া যেতো মাখন টোস্ট। দুধের সরের টোস্ট, ডিম টোস্ট, ওমলেট। আর চা তো ছিলই। আমরা ছিলাম চা বিলাসী। কখনো সখনো দুটো চা চার-পাঁচজন ভাগ করে খাওয়া। কারণ তখন আমাদের পকেটের অবস্থা ছিল নিদারুণ দুখী, এখনকার বয়ানে দারিদ্র্যসীমার নীচে।

লেখরাজদার দোকানটা ছিল ইংরেজি এল অক্ষরের মতো। দু দিকে দুটো লম্বা টেবিল। টেবিলের দুদিকে দুটো তাক। বাইরের দিকে যাওয়ার রাস্তায় দু পাশে দুটো ছোটো তাক। ভিতরের দিকে টেবিলে আমরা বসতাম। মূলত সন্ধ্যের পর আড্ডা জমত। রবিবার বা ছুটির দিনে দুবেলা। দুটো টেবিলের পালিশ ক্রমশ কালো রঙের হয়ে গিয়েছিল। যে টেবিল থেকে রাস্তা দেখা যেতো, তারই এক প্রান্তে লেখরাজদা ক্যাশ বাক্স নিয়ে বসে থাকতেন। দোকানে একজন কর্মচারী থাকত, সেই চা করত। ডিম টোস্ট করত। বৃদ্ধ লেখরাজদা ক্যাশ বাক্স আগলে রেখে চারদিকে নজর রাখতেন। তাকে কখনো রাগতে দেখিনি। খুব উঁচু স্বরে কথা বলতেন এমনও নয়। প্রাচীন বৃক্ষের মতো তিনি অবলোকন করে গেছেন বিচিত্র মানুষের বিচিত্র চরিত্র। শহর বা শহরের বাইরের বহু নামী মানুষ ওই দোকানে এসে এক গেলাস চা পান করে গেছেন। ছোটো কাচের গেলাসে তখন চা দেওয়া হতো। এখনও কোনও কোনও দোকানে এই ব্যবস্থা রয়ে গেছে।

তা ওই লেখরাজদা যে টেবিলে বসতেন সেখানে নিয়মিত আসতেন দুই ববিদা। পদবিই আজ আর মনে নেই। দুজনেই সরকারি কর্মচারী ছিলেন। একজন মাঝারি মাপের, অন্যজন দীর্ঘাঙ্গ। এরা আসতেন সকালের দিকে। দুজনে মুখোমুখি বসতেন। দু গেলাস চা নিয়ে কোনও বিষয় নিয়ে শুরু মতো আলোচনা, তারপর তুমুল তর্ক। এবং তর্কের শেষে ঘড়ি দেখে উঠে যেতেন। সন্ধ্যের সময় সাড়ে সাতটার দিকে আসতেন, রাত নটা পর্যন্ত তর্ক পর্ব সমাধান করে উঠে যেতেন। এই টেবিলে প্রায়শই আসতেন নাটকের মানুষজন। তারা নাটকের কথাবার্তা বলে চলে যেতেন। কখনও কখনও শহরের দু-একজন মান্যজনকেও আসতে দেখা যেতো। এক সন্ধ্যায় মাথা ভর্তি কোঁকরা চুল, ফর্সা দেখতে সাদা শার্ট গায়ে এক ভদ্রলোক এলেন। কারো সঙ্গে এসেছিলেন, নাকি একাই এসেছিলেন, আজ আর মনে নেই। পরিচয় হল। তিনি চিত্রপরিচালক শচীন ভট্টাচার্য। কৃষ্ণনগরের জামাই। বোঝা গেল লেখরাজদার  দোকানে তার আগমন আগেই ঘটেছে। তবে হয়তো আমাদের ঠেক গড়ার আগেই। তখন তার উত্তম-অঞ্জনা  অভিনীত ‘রৌদ্রছায়া’ ছবিটা মুক্তি পেয়েছিল। মারকাটারি চলেছিল ছবিটা। পরে আরও ছবি করেন, কিন্তু পাবলিক খায়নি।

অন্য টেবিল, যেটা ভিতরের দিকে ছিল, সেটাই বসতাম আমরা। অবশ্য অন্য খরিদ্দার বসে থাকলে, আমাদের একটু এদিক ওদিক করে বসতেই হতো। আমাদের মতো উড়নচন্ডীদের জন্য তো আর লেখরাজদার ব্যবসা মার খেতে পারে না। আমাদের সকাল-সন্ধ্যার আড্ডায় নিয়মিত ছিল স্নেহাশিস শুকুল। অসম্ভব ভালো কবিতা লিখত। সাতের দশকে ‘প্রাশ্নিক’ নামে একটা মিনি পত্রিকা বের করে। তখন সে কৃষ্ণনগর কলেজে পড়ত সংস্কৃত নিয়ে। পরে কলকাতা থেকে পত্রিকাটি বের হতে থাকে। সে যখন স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়ত, সেই কলেজের বন্ধু বরেণ ভট্টাচার্য আর হেমন্ত আড্যর সঙ্গে প্রান্তিক বের করত স্নেহাশিস। ওই পত্রিকাতেই পড়েছিলাম স্বর্ণমিত্রর গল্প। পরে ছদ্মনামের খোলস ছেড়ে স্বনামেই লিখত উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। পরে অবশ্য গল্পের উঠোন ছেড়ে সিনেমা তৈরিতেই মন দেয়। উৎপলেন্দু ‘চোখ’ ছবি করার পরেই বিখ্যাত হয়ে ওঠে। ঠিক সেই সময় তার সঙ্গে আলাপ। সূত্রটা ছিল কাগজের অফিসের চাকরি। পরে নানা কথায় ‘প্রাশ্নিক’ প্রসঙ্গ থেকেই ওর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ল। সম্পর্কটা তুই পর্যায়ে চলে যায়। এর ‘দেবশিশু’র পর একদিন জিজ্ঞাসা করলাম, গল্প লিখছ না কেন?

বলল, আগে কেউ আমার লেখা ছাপতে চাইতো না। এখন একটু নাম করেছি তো। এখন সকলেই গল্প চাইছে। দু একটা কাগজ ছাড়া কোথাও লিখব না ঠিক করেছি।

–স্বর্ণ মিত্রকে মেরে ফেললে?

–আরে স্বর্ণ মিত্র নামে লিখলে ওরা ছাপবে না। ওরা উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর গল্প চায়। আমার নামটা নিয়ে ব্যবসা করবে।

কয়েকটা ছবি করার পর তো অসুস্থ হয়ে পড়ল। ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী বসবাস করছে।

হ্যাঁ, বলছিলাম স্নেহাশিসের কথা। লেখরাজদার দোকানে তরুণ কবিদের মধ্যমণি হয়ে রইলো সে। বাড়িতে সে একা থাকত। বাপ-মা-ভাইয়েরা থাকতো অন্যত্র। ফলে সে অনেকটা সময়ই দোকানে কাটাতো। অনেক সময় দেখেছি সে একাই বসে আছে।

তখন তো সকলেই পড়াশুনো করছে। একা আমি সদ্য কলেজ ছেড়ে চাকরির দরখাস্ত লিখছি। সন্ধ্যের সময় আড্ডার সঙ্গী বাড়ত। কে কখন, কীভাবে এসেছিল মনে নেই, তবে নতুন পল্লী থেকে আসত মহাদেব। মহাদেব সাহা। গল্প লিখত। আসতো নন্তু দে। লিখতো না, পড়তো। মহাদেব বের করতো ‘আজ’ পত্রিকা। অবশ্য ‘আজ’ প্রথম বের করে মহাদেব, শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস আর নারায়ণ নামে এক যুবক। ওরা তিনজন কয়েকটি সংখ্যা বের করার পর মহাদেব একাই বের করতো। ওদের পাড়ারই নন্তু ছিল প্রকাশক। পরে অলিখিতভাবে আমি আর স্নেহাশিস জুটে গিয়েছিলাম।

লেখরাজদার দোকানে আরেক নিয়মিত সদস্য ছিল শরীফ। এস এম শরীফ। ইংরেজি নিয়ে পড়তো কৃষ্ণনগর কলেজে। ভালো গল্প লিখতো। আসতো গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। সেও কৃষ্ণনগর কলেজে পড়তো। পরে ইঞ্জিনীয়ারিং পড়তে চলে যায়। আর ছিল সুবীর। সুবীর সিংহরায়। সে হাজারিবাগ কলেজে পড়তো। গৌতম, শরীফ আর সুবীর বের করতো ‘অনুস্বর বিসর্গ’ পত্রিকা। আসতো সুশিত। পদবিটা মনে নেই। তার ঝোঁক ছিল প্রবন্ধ লেখায়। পরবর্তী সময়ে এদের অনেকেই লেখার ভুবন থেকে সরে যায়। মহাদেব পুরোপুরি ব্যবসায়ী হয়ে ওঠে। ও নাটকও করতো। নাট্যচক্র দলে। ব্যবসার চাপে লেখার জগৎ থেকে সরে যেতে হয়, কিন্তু অনেকদিন পর্যন্ত নাটকের সঙ্গে জড়িত ছিল। শরীফও জেলা পরিষদে চাকরি পাওয়ার পর লেখার জগৎ থেকে অপস্রিয়মাণ হয়। কিন্তু লেখক বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো। গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাইরে চলে যায়। এসব কারণে ‘অনুস্বর বিসর্গ’, ‘আজ’ বন্ধ হয়ে যায়। স্নেহাশিস কলকাতায় চলে যায় এম এ পড়তে। পড়াশুনোর পরেই সে চাকরি পেয়ে গেলে কলকাতাতেই থিতু হয়। তবে কবিতা লেখা ছাড়েনি। সে কাব্য নাটক লেখার দিকে মন দেয়। এক সময় তো নিয়মিত নাটক লিখতো। ‘প্রাশ্নিক’ প্রত্রিকায় বেরিয়েছিল ওর প্রথম নাটক ‘চতুর্থ সন্তান’। সেটি আকাশবাণীতে প্রচারিত হয়। তার আরেকটি নাটক ‘দিব্যি রইলো’-ও প্রচারিত হয় আকাশবাণীতে। সেই সময় বেরিয়েছিল ‘নিশ্চুপ রাজা’। সেই বই আমরা সমবেতভাবে বিক্রি করেছিলাম। নয়ের দশকের কলকাতা থেকে বের করল ‘বর্ণমালা’। প্রথম কয়েকটা সংখ্যায় প্রচ্ছদে তিনজন সম্পাদকের নাম থাকত – স্নেহাশিস শুকুল, সমরেন্দ্র মন্ডল, শিখা শুকুল। পরে সে একাই বের করতো। লেটার প্রেসে ছাপা হতো সে পত্রিকা। এই পত্রিকার নামাঙ্কন করে দিয়েছিলেন চিত্রশিল্পী নিতাই ঘোষ। বেশ কিছু সেট করে দিয়েছিলেন নানা সময়ে প্রচ্ছদে ব্যবহার করার জন্য। বেশিদিন বের করা যায়নি সেই পত্রিকা। মূলত অর্থাভাবের জন্য। এই পত্রিকাতেই বেরিয়েছিল বিদ্যাসাগর অনূদিত কাহিনী নিয়ে ‘তামস ইম্ফল ও ইয়ারিকো’, মহাভারত অবলম্বনে অর্ধসত্য, ক্ষত্তা। বই আকারে বেরিয়েছিল ‘তামস ইম্ফল’, আর ‘অর্ধসত্য’। নিতাই ঘোষ প্রচ্ছদ করে দিয়েছিলেন। এর আরও কয়েকটি নাটকের পাণ্ডুলিপি কোনও এক সুধীজন গ্রন্থাকারে প্রকাশ করবেন বলে লিখেছিলেন। কিন্তু হয়নি। বেশ কিছুদিন পর জানতে পারা গেছিল তিনি আর ইহজগতে নেই। তার পরিবারও ফেরত দিতে পারেনি। সম্ভবত এইসব বাজে কাগজ বিক্রিওয়ালার কাছে চলে যায়। অনেক পরে আরেকটি নাটক খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। তার বেশ কিছু অংশ উঁইপোকা গলাধঃকরণ করে। সেই নাটক স্নেহাশিসের সাহায্যে পুনরুদ্ধার করে ছাপা হয়েছিল ‘অন্তরীক্ষ’ পত্রিকায়। কবিতা বইয়ের একটা পাণ্ডুলিপিও সে প্রস্তুত করেছিল ছাপার জন্য। কিন্তু সেসব আর হয়ে ওঠেনি। তার শরীরের মাত্রারিক্ত শর্করা আর বিকল কিডনি তাকে সমস্ত সৃষ্টি থেকে সরিয়ে নেয়। তারপর একদিন চলে যায় নেইলোকের বাসিন্দা হয়ে।

লেখরাজদার দোকানে আসতেন সমর ভট্টাচার্য। আমার নানুদা। চাকরি করতো বিডিও অফিসে। একটু বেশি বয়সে কৃষ্ণনগরে কলেজে ভর্তি হয়ে স্নাতক হয়েছিল। তারপর চতুর্থ থেকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়ে যায়। তার মাকে ডাকতাম মাসিমা বলে। কত দুপুর কেটেছে নানুদার বাড়িতে আড্ডা দিয়ে। সকলের সঙ্গে যতটা পারা যায় যোগাযোগ রাখতো। সমরদা বিয়ে করলেন। সন্তানের জনক হলেন। ওর স্ত্রী বামপন্থী মহিলা সমিতির প্রথম শ্রেণির কমরেড ছিলেন। হঠাৎই তার প্রয়াণ ঘটল। ততদিনে মাসিমাও আর নেই। আমরাও চলে গেছি অন্যত্র। লেখরাজদার দোকানও বিক্রি হয়ে গেছে অনেক বছর। ফলে সকলেই একক ভাবে অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছে। সমরদা বদলি নিয়ে স্বগ্রামে চলে যায়। সেও কিডনি বিকল হয়ে দেহ রাখে। পরবর্তী সময়ে তার সমস্ত লেখা একত্র করে প্রকাশ করেছে ‘সুপ্রকাশ’। এক বিস্মৃত প্রায় লেখককে দু-মলাটে ধরে রেখে বাঁচিয়ে রেখেছে ‘সুপ্রকাশ’। শতঞ্জীব রাহার আন্তরিক সম্পাদনায়। আসলে সমরদা আমাদের সকলেরই তো প্রিয় মানুষ ছিল।

আর আসতো গৌতম মুখোপাধ্যায়। সাতের দশকের প্রথম দিকে ও হলো গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী হয়ে। গল্প লিখত। উকিলপাড়ায় বাড়ি। ওদের বাড়িটা উকিল বাড়ি নামে পরিচিত ছিল। শ্যামনগরে থাকত পড়াশুনোর জন্য। স্নাতক বওয়ার পর কৃষ্ণনগর ফিরল, তারপরেই লেখরাজদার দোকান। ও যেমন ঝড়ের মতো এসেছিল, তেমনি ঝড় তুলে চলে গেল। গৌতম মুখোপাধ্যায় ছিল ভাল সংগঠক। কোনও দল না করলেও বামপন্থার দিকে ঝোঁক ছিল তীব্র। ওর মাথায় নানা পরিকল্পনা ঘুরতো। সেই পরিকল্পনার ফলশ্রুতি ‘কৃষ্ণনগর সাংস্কৃতিক মেলা’। শহরের তাবৎ লেখক শিল্পীদের জড়িয়ে তিন দিনের উৎসব করা চাড্ডিখানি কথা নয়। কিন্তু তা সফল হলো। পরপর চারবছর সে মেলা চলেছিল। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে একটা সেটা কিভাবে সফল করা যায়, তা সে দেখিয়েছিল। এ নিয়ে পরে সময় পেলে বলব। শুধু মেলা নয়, ও একটা চলমান সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলল। নাম হল ‘প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলন’। শহরের বিভিন্ন জায়গায় শিল্পীরা বসে যেতেন ছবি আঁকতে। কবিরা কবিতা পাঠ করতেন, শিল্পীরা গাইতেন খোলা গলায় গান। ভিড় করতো পথচারীরা। পাশে টাঙানো থাকত কাপড়ের ব্যানার। কোনও শব্দযন্ত্রের ব্যবহার করা হতো না। প্রায় বছর খানেক চলার পর সে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে গেল কুশীলবদের জীবিকার তাগিদে অন্যত্র চলে যাওয়ার ফলে। গৌতমও সরকারি হিসাব পরীক্ষা দপ্তরে চাকরি সূত্রে কিছুদিন বাইরে চলে যাওয়ায় লেখা ও আন্দোলনও বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম মেলা করার সময়েই সে চাকরি পেয়ে গিয়েছিল। তখন তার চাকরি ক্ষেত্র ছিল কৃষ্ণনগর। এদিক ওদিক বদলি হওয়ার পর আবার কৃষ্ণনগর যায়। পরে চলে আসে কলকাতায়। তখন সে সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল থেকে অনেক দূরে। সে দুর্মূল্য পয়সা সংগ্রহ ও তার ইতিহাস নিয়ে চর্চা করছিল। কিন্তু কর্কট ওকে আক্রমণ করল। বছর দুয়েক চিকিৎসা করিয়েও সফল হলো না। অকস্মাৎ চলে গেল সে।

(ক্রমশ)

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *