মেদিনীপুর লোকাল। পর্ব ৬ । জমা-তোলা সংলাপ । লিখছেন আদিত্য ঢালী

0

ঊনবিংশ শতকে হিব্রু থেকে ইংরাজিতে একটি শব্দ ঢুকে পড়ে। আমরা যারা ইংরাজিতে কাঙাল, ভয়ে ডরে নিজেকে একটু পিছিয়ে রাখি ইংরাজি থেকে তাদের সেসব জানারও কথা নয়। কিন্তু কোন এক সুরেলা ভোরে হঠাৎ ঐ ইংরাজি শব্দটি আমাদের নিজস্ব শব্দকোষেও ঢুকে পড়ল। ভোরটি সুরেলা ছিল কারণ আমার বরাবরই মনে হয় কোন একটি নির্দিষ্ট দিনে কোন কিছুর দরুণ যদি আমার কোন ভালো অনুভূতি হয় তবে সেইদিনের ভোর নিশ্চিত সুরেলা ছিল। কারণ দিনের শুরুতে যদি কোন সুর না থাকে তবে গোটা দিনটাই মেলানকলিতে কেটে যায়। এখনও মনে আছে সেইদিনের সুরেলা হওয়ার কারণ। শুধুমাত্র সেই শব্দটির সাথে পরিচয় হয়েছিল বলে নয়, যার মাধ্যমে সেই শব্দটির সাথে পরিচয় হয়েছিল সেই মাধ্যমটি এক প্রগাঢ় সুখের অনুভূতি সৃষ্টি করেছিল অন্তরে।  আসলে যা কিছুই কঠিন ও কষ্টের এবং যার সাথে প্রতিবাদ লুকিয়ে চুরিয়ে গোপনে খেলা করে তা আমাদের খুব সহজেই নাড়িয়ে দিয়ে যায়। শুধু আমাদের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে আমরা কোন দিকে সরে দাঁড়াব। একদম ডানে না একদম বামে। যাক গে সেই শব্দটির নেপথ্যে ফিরে আসি আবার। ঘুম ভেঙে দাঁত মেজে গরম ভাত আলু সেদ্ধ দিয়ে মেখে আমি যখন ষ্টেশনে পৌঁছালাম দেখলাম আমার বন্ধুরা তখন ফিটফাট হয়ে অফিসে চলছে। আর আমি চলছি মর্নিং শো দেখতে। তখনো কে জানত আরও বেশ কিছু বছর পরে এভাবে ট্রেনে না হলেও গ্রামের এবড়ো খেবড়ো পথ দিয়ে বাসে দুলতে দুলতে আমাকেও অফিসে যেতে হবে! শুধু তাই নয় সেই মর্নিং শো দেখে বেরিয়ে সদ্য শেখা শব্দটি যখন আমাদের প্রতিবাদের ট্যাগলাইন হবে আগত দিনে এবং সেই সোনালি সময় পার করে এসে দুলকি চালে বাস থেকে নেমে অফিসে পৌঁছে প্রায় রোজই আমি নিজে সেই কাঙ্ক্ষিত শব্দের আক্ষরিক অর্থের শিকার হব।

এবারে সরাসরি সেই শব্দে চলে আসি। প্রথমে বলি মাধ্যমটির কথা। ঘুম থেকে উঠে মর্নিং শোতে আমি যে ছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম সেটা ছিল বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ‘হায়দার’। আর প্রথমবার শোনা শব্দটি ছিল ‘চুতস্পা’। যদিও ইংরাজি উচ্চারণ হয় ‘হুতস্পা’। কিন্তু বিশাল তাঁর ছবিতে ‘চুতস্পা” ব্যবহার করেছিলেন। যদিও শব্দটি এইভাবে উচ্চারণের একটি বৃহৎ উদ্দেশ্য ছিল। আসলে ইয়েদ্দিশ ভাষায় এই শব্দটি ব্যবহৃত হয় সম্পূর্ণ ঋণাত্মক অর্থবহনকারী হিসেবে। কাশ্মীরের পটভূমিকায় নির্মিত ছবিটিতে সেখানকার আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থার সরকারি পক্ষপাতিত্বের এককথায় প্রকাশ হল ‘চুতস্পা’। যার আক্ষরিক অর্থ হল চরম আত্মবিশ্বাস বা দুঃসাহসিকতা। এবারে প্রশ্ন আসতেই পারে যে এই ‘চুতস্পা’ নিয়ে আমি এত পড়লাম কেন? পড়লাম এই জন্যই যে অফিসে যোগ না দিলে আমি জানতামই না মানুষের আত্মবিশ্বাস এত বেশি হতে পারে।

রাতেরবেলা লাল টকটকে লঙ্কাগুড়ো দেওয়া ডিমের ঝোল খেয়ে ভোর হতে না হতেই প্রকৃতির ডাক এসে যাওয়াতে উঠে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু মুশকিল হল ঘরে ফিরে আসার পর বুঝলাম এই ডাক একবারে শেষ হবে না। বারবার ডাক আসবে আর আমাকে যেতে হবে। ভোর থেকে সকালে বেরনোর সময় অবধি পাঁচ ছয় বার ডাক এসেছিল। ক্লান্ত শরীরে ফিরে এসে যখন বিছানায় দেহটাকে রাখলাম ঘুমে চোখ জুড়িয়ে আসছে। কিন্তু মুশকিল হল ঘুমালে চলবে কী করে? ভল্টের চাবি আমার কাছে থাকে। আমি না গেলে ভল্ট খুলবে কে? আর এই একার সংসারে কেইই বা আছে যে আমায় ঘুম পাড়িয়ে চাবিটা অফিসে পৌঁছে দিয়ে আসবে? অগত্যা উঠতেই হল। স্নান করে এলাম। পিজি থেকে সকালে খাওয়ার রিস্ক নিলাম না। বেরিয়ে এক প্যাকেট মেরী বিস্কুট নিয়ে চিবোতে চিবোতে বাস স্ট্যান্ডে পৌছেই মনে হল না এ যাত্রায় আমি বাস উঠতে পারব না। পেটে বিস্কুট পৌঁছেছে কিনা সন্দেহ আছে কিন্তু প্রকৃতি আবার ডাক দিয়ে দিয়েছে। আর এত জোরে দিয়েছে যে আমি দে ছুট একদম সোজা বাথরুম। ফিরে এসে দেখলাম বাস আর আমার জন্য অপেক্ষা করেনি। আসলে কেউই কখনও কারোর জন্য অপেক্ষা করে না। তাই বাসও সময়ে ছেড়ে গেছে। এদিকে আমার তাড়া আছে পৌঁছানোর। আবার যখন তখন প্রকৃতির ডাকও চলে আসতে পারে। বাস ট্রেকারে উঠলে সময়ও লাগবে বেশি আর একবার ডাক এলে সেই ডাক উপেক্ষা করে অপেক্ষা করাও অনেক বেশি কষ্টের। কাজেই আর কিছু তালবাহানা না করে সোজা উঠে বসলাম মারুতি ওমনিতে। এই চত্বরে ভাড়ার গাড়ি বলতে এটিই চলে। কড়কড়ে তিনটে নোট দিয়ে খুব কম সময়ের মধ্যেই অফিসে পৌঁছে গেলাম। পাছে আর বিপদে না পড়তে হয় সেই আশায় দু-চারটে ট্যাবলেট অর্ধেকটা চিবিয়ে অর্ধেকটা গিলে অফিসে ঢুকলাম। ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ। এ যে দেখি এখনই সিঁড়ি অবধি লাইন চলে এসেছে। কত লোক আসবে আজ? আজ নিশ্চয়ই সমস্ত ভাতার টাকা, ১০০ দিনের মজুরি সব ঢুকিয়ে দিয়েছে অ্যাকাউন্টে। আমার মনে হয় এই সরকারি সমস্ত ভাতা, ১০০ দিনের কাজের মজুরি এইসব আসলে সরকারের মানুষকে নিজেদের পক্ষে রাখার এক একটা টুল। যখনই দেখেছি কোনো দিকে সরকার একটু বেসামাল ঠিক তখনই সবার টাকা একসাথে ঢুকে যায়। আর বিপদে পরতে হয় আমাদের। যদি ২৪ ঘন্টা ব্যাঙ্ক খোলা রাখা যায় তবে মানুষ এই সময়ে মনে হয় ২৪ ঘন্টাই আসবে। এদিকে সবে চেয়ারে বসে মেশিন অন করতে যাব ঠিক তখনই আবার ডাক এল। সকাল  এতবার যাতায়তের ফলে শরীর প্রায় একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছে। এদিকে পেটেও তেমন কিছু নেই। কিছু যে দেব সে উপায়ও নেই। আবার বিশ্রাম নেওয়ারও জো নেই। কারণ আমার কাজে সাহায্যের হাত বলতে শুধুমাত্র আমার দুটোই। এই হাত বসে গেলে আর কেউ নেই চালানোর মত। ক্লান্তি, রাগ, হতাশা নিয়ে বসেই গেলাম চেয়ারে। শরীর সুস্থ থাকলে হাত খুব দ্রুত চলে কিন্তু আজ যেন হাত একেবারেই চলছে না। ধীরে ধীরে কাজ করতে লাগলাম। আর বেলা যত বাড়তে লাগল আমার হতাশা আর রাগ যেন তত পাল্লা দিয়ে বাড়তে লাগল। ঠিক সেই সময়ে বেঁটে খাটো একজন ভদ্রলোক লাইনে এসে দাঁড়ালেন। লাইনের দৈর্ঘ্য ততক্ষণে বেশ কিছুটা কমে এসেছে। ফলত ভদ্রলোক লাইনে এসে দাঁড়াতেই আমার চোখে পড়েছেন। ভদ্রলোকের মাথায় দেবানন্দের স্টাইলের টুপি। প্যান্টের সাথে গুঁজে জামা পরা। জামার হাতা গুটিয়ে কনুই অবধি করা। দেখে অন্তত বোঝা যায় একেবারে লেখাপড়া না জানা কেউ নয়। বা মাঠের কাজ ফেলে চলে এসেছেন এমনও নয়। আমার সামনে এসে দাঁড়াতেই একগাল হেসে বললেন  “ভালো আছেন?”। আমি মাথা নেড়ে বললাম “হ্যাঁ।” কাজে বসে আমি কারোর সাথে সেরম কথা বলিনা। কথা বললে গুলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। আর একবার যদি একটা ভুল হয়ে যায় সে ভুলের মাশুল নিজেকেই দিতে হয়। কারণ টাকা আর প্রেমিকা একবার ভুল করে কারোর কাছে চলে গেলে কেউ ফেরত দিয়ে যায় না কখনও। কাজেই ভদ্রলোকের দিকে আর না তাকিয়ে ওনার হাত থেকে রসিদ নিয়ে নিজের কাজ করতে শুরু করে দিলাম। ভদ্রলোক একটা বড় রকমের টাকা তুলবেন। আমি টাকা দেওয়ার ড্রয়ার খুলে দেখলাম সমস্ত বান্ডিল শেষ। আর এদিকে টাকা জমা দেওয়ার ড্রয়ারে নোট যেন উপচে পড়ছে। আমি ধীরে ধীরে ড্রয়ারের সমস্ত নোটকে আলাদা করে ওনাকে দু-তিন রকমের নোট বেশ কয়েকবার হাতে ও মেশিনে গুনে রেডি করে তারপর দিলাম। একজন কাস্টমারকে ছাড়তে আমার প্রায় দশ-বারো জনকে ছাড়ার সময় ব্যায় হল। আর এদিকে সমানে লাইনের পিছনের লোক চেঁচিয়েই যাচ্ছে কেন এত দেরি হচ্ছে? ভদ্রলোক আমার হাত থেকে টাকাটা নিয়ে একবার উলটে পালটে দেখে বললেন “একবার মেশিনে দেখিয়ে দেবেন?” আমি আবার নোট গুলো ফিরিয়ে নিয়ে কাস্টমার ভিউয়িং মেশিনে দেখিয়ে দিলাম। দু-তিন রকমের নোট থাকায় ওনাকে হিসেবটাও বুঝিয়ে দিলাম। উনি নোটগুলো নিয়ে পাশে সরে দাঁড়ালেন। আমি পরের লোককে ছাড়তে লেগে গেলাম। নিজের কাজ করতে করতেই বুঝলাম উনি নোটগুলো নিজের হাতে আবার গুনে দেখছেন। আমি আর ওদিকে না দেখে কাজে লেগে গেলাম। বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে উনি নোটগুলি গুনলেন। গোনা শেষ হওয়ার পরে আমার দিকে সরে এসে বললেন “সব ঠিক আছে স্যার।” আমি মাথা নেড়ে সম্মতি দিলাম। ভদ্রলোক চলে যাওয়ার পর আমি দ্রুত গতিতে লাইনে যতজন ছিল সবাইকে ছেড়ে দিয়ে লাইন একদম ফাঁকা করে দিয়ে সবে চেয়ার থেকে উঠে প্রকৃতির ডাকে আবার সাড়া দিতে যাব বলে প্রস্তুত হয়েছি ঠিক তখনই সেই ভদ্রলোক লাফিয়ে লাফিয়ে আমার কাছে এসে বললেন “স্যার স্যার আমায় একটু ছেড়ে দিয়ে যান প্লিজ।” আমি ভাবলাম হয়ত বান্ডিলে ছেঁড়া নোট থাকতে পারে সেটা বদলে দিতে হবে। তাই আবার কাউন্টারের জানালার ছিটিকিনিটা খুলে চেয়ার বসলাম। ভদ্রলোক হাত বাড়িয়ে আমার কাছে আবার আগের সমস্ত নোট ফেরত দিলেন। এবং শুধু ফেরত দিলেন তাই নয় আমি যেভাবে গুছিয়ে বেঁধে বান্ডিল করে দিয়েছিলাম উনি একেবারে এলোমেলো করে সেই একই নোটগুলো আমায় আবার ফেরত দিলেন। আমি একটু অবাক হলাম। সব কটা নোট কেন ফেরত দিল রে বাবা! দু’জনেই দুজনের মুখের দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর জিজ্ঞেস করলাম “কী করবেন?” উনি আবার ফিক করে হেসে একটা জমা দেওয়ার রসিদ জানালা দিয়ে গলিয়ে বললনে “জমা দেব স্যার।” আমি রসিদটা হাতে নিয়ে দেখলাম একটু আগে উনি যে পরিমাণ টাকা তুললেন ওনার অ্যাকাউন্ট থেকে সেই পরিমাণ টাকা আবার ওনার অ্যাকাউন্ট জমা দিয়ে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয় টাকা তোলার সময় আমি অনেক সময় ব্যায় করে যে নোটগুলো ওনাকে দিয়েছিলাম সেই নোটগুলোই আবার আমায় ফিরিয়ে দিয়েছেন এলোমেলো ভাবে। আমি কিছুক্ষণ যেন কিছুই বুঝে উঠতে পারলাম না। একটু স্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম-

— টাকা তুললেন তো এখুনি?

— হ্যাঁ, এই তো তুললাম।

— তাহলে আবার জমা দিয়ে দেবেন এখন?

— হ্যাঁ, জমা দেব।

— যে টাকাটা আপনাকে আমি এতবার গুনে এত সময় ধরে দিলাম সেটাই আবার জমা দিতে এসেছেন? তাহলে নিলেন কেন টাকাটা?

— আরে না নিলে লিখব কীভাবে কোন নোট কটা আছে?

— দু’টো রসিদ একসাথে দিলেই তো একেবারে তোলা ও জমা হয়ে যেত। আমি এতক্ষণ ধরে সব নোট গুনে গুনে বারবার চেক করে দশজনের সময় নিয়ে আপনাকে ছাড়লাম। তারপর আমায় আবার সেগুলিই ফেরত দিয়ে দিচ্ছেন! তখন একবার বলবেন না যে জমা দেবেন এই টাকাটা?

— ও তো স্যার ঠিক বুঝিনি যে। পরেরবার থেকে আর হবে না। এবারে নিয়ে নিন।

— বান্ডিলগুলো কি আপনাকে এইভাবে দিয়েছিলাম?

— এগুলো তো গুনতে গুনতে এরম হয়ে গেছে।

এরপর কী উত্তর দেবে আমি ভেবে না পেয়ে রসিদের দিকে তাকালাম। দেখলাম কিছুক্ষণ আগে উনি যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাটা তুলেছেন আবার সেই একই অ্যাকাউন্টেই সম্পূর্ণ টাকাটা জমা দিয়ে দিচ্ছেন। আমি এবারে বেশ উত্তেজিত হয়ে বললাম-

— ইয়ার্কি মারছেন হ্যাঁ? এক্ষুনি তো এই অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকাটা তুললেন আবার এই অ্যাকাউন্টেই জমা দিচ্ছেন?

ভদ্রলোক খুব শান্ত গলায় বললেন “হ্যাঁ।” আমি জিজ্ঞেস করলাম “মজা হচ্ছে নাকি? একই অ্যাকাউন্টে একবার তুলে আবার সেখানেই জমা দিচ্ছেন কেন?”

ভদ্রলোক আবার ফিক করে হেসে বললেন “আসলে অনেকদিন ব্যাঙ্কে আসা হয় না। অ্যাকাউন্টটা চালু আছে কিনা ঠিক বুঝতে পারিনি। নারানদাকে জিজ্ঞেস করাতে বলল অ্যাকাউন্টে জমা তোলা করলেই নাকি আবার আগের মত চালু হয়ে যাবে। অ্যাকাউন্ট নাকি বন্ধ হয়ে যায়। শুধু জমা তোলা করতে হবে”।

আমি আর বুঝতে পারলাম না আমার কী বলা উচিত। কী বললে ওনাকে বোঝাতে পারব মাথায় কিছুতেই আসল না। জমা-তোলা মানে যে জমা ও তোলা একসাথে নয় মাঝে মাঝে টাকা জমা ও কখনও টাকা তোলার মাধ্যমে অ্যাকাউন্টটা চালু রাখা এটা ওনাকে কীভাবে বোঝাবো সেই ভাষা ঠাহর করতে পারলাম না। শেষমেশ নারানদাকে ডেকে টাকাটা গুনতে বলে আমি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে চলে গেলাম।

 

(ক্রমশ)

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *