পুনর্ভবাপুত্র। ধারাবাহিক উপন্যাস। ষষ্ঠ পর্ব। লিখছেন আহমেদ খান হীরক
ফেরেশতার ঘোড়া–২
নামহীন ঘোড়াটার একটা নাম আমরা দিতে পারতাম।
কিন্তু ঘোড়াটার দিকে তাকিয়ে মনে হলে আমাদের পরিচিত যে ঘোড়া, সেটি আর সে নেই। অদ্ভুত ঘোলাটে চোখ। মুখ ভরা ফেনা। ছটফট করছে। জাহাঙ্গির ভাই বলল, কেমন করতেছে দেখেন!
তার না বলাতেও আমরা দেখে গেলাম। আব্বার মুখটা স্তব্ধ হয়ে আছে যেন। বড় ভাইয়ের মধ্যেও ছটফটানি। বলে যাচ্ছে—কী হইল! কী হইল! অয় এই রকম করে ক্যান?
কেউ জানে না কেন আমাদের ঘোড়াটা এমন করছে। আব্বা এগিয়ে গেল তার কাছে। কী অবিশ্বাস্য! ঘোড়াটা আব্বাকেই তেড়ে এল। আব্বা তাকে ধরতে গেল। কিন্তু পা ছড়িয়ে একটা লাথ দিয়ে ফেলল ঘোড়াটা। বড় ভাইও ছুটে গেল তখনই। বড় ভাইকেও একটা গুঁতো দেয়ার চেষ্টা করল সে।
এমন আজব ব্যাপার আর দেখি নাই আমি।
বড় ভাই বলল, এর মাথা তো নষ্ট হয়া গেছে!
আব্বা কিন্তু ততক্ষণে ঘোড়াটার পেছনে গিয়ে, পায়ের কাছটায় কী যেন দেখছে। আর দেখতে দেখতেই বলে উঠল—সর্বনাশ! সর্বনাশ!
তা আমরা সর্বনাশটা দেখার জন্য আব্বার পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। সাবধানে। কারণ, এই ঘোড়াটা আমাদের আর চেনা না।
আব্বা আঙুল তুলে দেখালেন বড় ভাইকে—এই যে দেখ…
সবাই দেখলাম। ঘোড়াটার পায়ের নিচের দিকে একটা ক্ষত। বেশ গাঢ় ক্ষত। ক্ষত থেকে পুঁজের মতো ঝরছে।
আব্বা বলল, কুকুর!
বড় ভাই বলল, পাগলা কুকুর!
আব্বা বড় করে একটা শ্বাস ফেলল। আমি বুঝলাম না পাগলা কুকুরের কী হয়েছে। জাহাঙ্গির ভাইকে ফিসফিসিয়ে বললাম, কী হয়েছে ভাই?
জাহাঙ্গির ভাই কিছুটা বিমর্ষ হয়ে পড়েছে। বলল, পাগলা কু্ত্তায় কামড়াইছে তার মানে। আর উপায় নাই!
কীসের উপায় নেই, কী নেই কিছুই বুঝলাম না। কিন্তু দেখলাম আব্বা আর বড় ভাই বেশ কিছুক্ষণ ঘোড়াটাকে শান্ত করার চেষ্টা করল; কিন্তু পারল না। ঘোড়াটা তার ঘোলাটে চোখে এদিক–ওদিক তাকিয়ে থাকতে থাকতে মাঝে–মাঝেই নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। কখনো কখনো সামনের দু‘পা তুলে ফেলছে। আর মুখের গ্যাঁজলা তো পড়ছে অনবরত।
ডাক্তার আসল। ভালো করে দেখে বলল, উপায় নাই।
তা এই কথা কত আগে জাহাঙ্গির ভাইই বলছে। সে ডাক্তার, সে নতুন কিছু বলবে না?
ডাক্তার গেলে আব্বা বড় ভাইকে পাঠাল সনু চেয়ারম্যানের কাছে। কেন জানি না।
জানলাম বিকালে।
রাইফেল হাজির। গুলিও রাস্তায়।
রাইফেল নিয়ে গুলি নিয়ে কী হবে কিছুই যখন বুঝছি না, তখনই বড় ভাই বলে উঠল—হীরককে তাইলে পাঠিয়ে দিই নাকি?
আমি বললাম, না না। আমি যাব না।
আব্বা বলল, বাড়ি যাও। আমরা একটু পরেই আসছি।
এই একটু পরের মধ্যে ওরা কী করবে আমার জানতে হবে। জানতে হলে থাকতে হবে এখানে; কিন্তু তার আগেই ওরা জাহাঙ্গির ভাইয়ের সাথে আমার পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে ফেলছে। আমার চোখে পানি চলে আসার দশা। আব্বাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। বললাম, যাবো না আমি।
বড় ভাই বলল, না না। এখন থাকা যাবে না। যা।
আমি বললাম, আব্বা!
আব্বা কী যেন ভাবল, ঘোড়াটার দিকে তাকাল, তারপর বলল, থাকো!
বড় ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল, ব্যাটা ছেলে। দুনিয়ার এইসব জানারও দরকার আছে।
গুলি চলে এসেছে। বন্দুক তো ছিলই। আব্বার হাতে এই প্রথম বন্দুক দেখছি। ঠিক যেন অমিতাভ বচ্চন। খটাখট গুলি ভরল। তার হাত এত দ্রুত গতিতে চলতে দেখে আমার বিস্ময়ের সীমা রইল না। আমার ছো–পোষা আব্বার এই রূপ কীভাবে সম্ভব!
এরপরই বুঝলাম ভয়ংকর ঘটনাটা।
আব্বা বন্দুক নিয়ে দাঁড়াল ঘোড়াটার সামনে। মানুষজন জমে গেছে এরই মধ্যে। কে জানি বলে উঠল, জামালের হাতের টিপ তো খুব ভালো ছিল। কদ্দিন পর বন্দুক নিলি বাপু?
আব্বা বলল, তাও ১৫ বছর।
লোকটা বৃদ্ধ। ফোকলা দাঁত। বলল, তোর হাতে মারা কত পাখি খাইছি আমরা। তাইলে মাইরাই ফেলতে হইবে?
আব্বা বলল, শেক্সপিয়রের একটা লাইন আছে চাচা… I must be cruel only to be kind!
লোকটা বলল, কী?
আব্বা শ্বাস ফেলে বলল, কিছু না জি!
আব্বা বন্দুক তুলে ফেলেছে। মুখটা কেমন ইস্পাত শক্ত হয়ে গেছে এরই মধ্যে। এই আব্বাকে আমি চিনি না। ঘোড়াটার দিকে তাকাতে পারছি না আমি। মুখে গ্যাঁজলা, চোখে উন্মাদনা, তবু তো সে আমাদের ঘোড়া। সেই ঘোড়া। যে আমাকে তার পিঠে চাপিয়ে মৃদুতালে হাঁটত। আব্বাকে দেখলেই হালকাচালে ডেকে উঠত। বড় ভাইকে ভালোবাসত। জাহাঙ্গিরের আদর মাখত সকাল–বিকাল।
এটা তো সেই ঘোড়া, যে ঘোড়ার কথায় আমার সব বন্ধুদের মুখ শুকিয়ে আসত। যার পিঠে চেপে আমি আকাশের দিকে ছুটতাম। মেঘের ভেতর ঘুরতাম, আল্লাহর কাছে পৌঁছে যেতাম।
আব্বা ট্রিগারে টান দেন। একটা গুরুম শব্দ। তারপর আরেকটা। ঘোড়াটার অদ্ভুত একটা ডাক। তারপর সব নিঃস্তব্ধ।
কী প্রবল বিস্ময় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি… আমার প্রিয় ঘোড়াটার শরীরটা মাটিতে পড়ে আছে। একটা ঘোড়া এভাবেও যে মাটিতে পড়ে থাকতে পারে তা আমি কোনোদিন ভাবি নি। ঘোড়াটা ছটফট করছে। আব্বা বলল, বাঁধন খুলে দে।
জাহাঙ্গির ভাই গিয়ে বাঁধনটা খুলে দিলো। ঘোড়াটা প্রবল বেগে পায়ের ধাক্কা দিলো… ব্যস, ওই একবারই!
আব্বা আমার দিকে তাকিয়ে খুব দ্রুত চোখ ফিরিয়ে নিলো।
কদমতলায় ঘোড়াটার কবর হলো। কবর মানে এক ধরনের মাটি চাপাই। আমি আব্বার থেকে দূরে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে শুরু করলাম। বন্দুক হাতে যে আব্বাকে আমি দেখেছিলাম তাকে আর চিনতে পারছিলাম না। আমার তাকে ভয় করছিল। আমার তার ওপর খুব রাগও হচ্ছিল। আমি ঠিক করলাম আমি আর কোনো দিন তার তর্জনি ধরব না। আর কোনোদিন তার সাথে কথা বলব না।
সন্ধ্যার দিকে সবাই ফিরে গেল। আমরাও ফিরব। বড় ভাই আমাকে কোলে তুলে নিয়েছে। আমার একটু একটু ঘুমও পাচ্ছে। সবাই যখন ফিরব তখন দেখলাম আব্বা একটা বদনা দিয়ে ডোবার পানি তুলে ঘোড়াটার কবরে ছিটিয়ে দিচ্ছে। দিতে দিতে তার পিঠ দুলে উঠছে। বেশ কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম আব্বা কাঁদছে। আমার ইচ্ছা হলো আব্বা যেমন আমার পিঠ চাপড়ে দেয়, তেমনই ছুটে গিয়ে আমিও তার পিঠ চাপড়ে দিই। বলে, সব ঠিক আছে… সব ঠিক আছে!
কিন্তু আমি বলতে পারলাম না। শুধু দেখলাম, হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে আব্বা চোখ মুছছে। বড় ভাইও চোখ মুছছে। ফোঁপাতে শুরু করেছে জাহাঙ্গির ভাইও। শুধু আমিই কাঁদছি না। তবে মনে হলো, কেঁদে ফেলব যে কোনো সময়।
×××
এই ঘটনার প্রায় ১৫ বছর পরের ঘটনা। আমি তখন বেশ বড়। লায়েক হয়েছি বলা যায়; এতটাই যে সন্ধ্যা পেরিয়েও বাড়িতে ঢুকতে পারি। বড়জোর একটু–আধটু বকাঝকা শুনি তাহলে। এরই এক সন্ধ্যায় আমরা আটকা পড়েছি আড্ডা নামের একটা জায়গায়।
আড্ডা আমাদের রহনপুর থেকে খুব দূরের জায়গা না। মাইক্রোবাসে মিনিট পনের‘র পথ মাত্র। মাইক্রোবাসের কথা বললাম এই জন্য ততদিনে আমাদের বন্ধু সুমনের একটা মাইক্রোবাস হয়েছে। এবং সেটা নিয়ে মাঝে মাঝে আমরা এদিক–ওদিক যাওয়া ধরেছি। আড্ডার আড্ডাবাজি শেষে যখন আমরা ফিরব তখনই ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি বলে আমাদের আড্ডাও হলো দীর্ঘায়িত। এতটাই যে এক সময খেয়াল করলাম ঘড়ির কাঁটা ১১টা ১০ এ। ভাবা যায় না! বাড়িতে আজাব নেমে আসবে! আমি সুমনকে গুঁতালাম—চল বে! আর থাকা ঠিক হবে না!
‘বৃষ্টি দেখছিস! দুই হাত বাহিরের জিনিস দেখা যাবে না রাস্তায়!’
প্রমাদ গুনলাম। আসাই ঠিক হয় নি। আম্মা কী বলবে সেটা ভাবতে ভাবতে মাথা গরম হয়ে গেল। আমি বললাম, তোরা থাক তাইলে, আমি ভুটভুটি নিয়ে চলে যাবো!
পারভেজ বলল, তোর জন্য কোন শালা ভুটভুটি নিয়া বসে আছে বে?
কথা সত্য। পারভেজের দোকানেই আমাদের আড্ডা। আর দোকানটা রাস্তার ওপরেই। রাস্তায় কোনো যানবাহন নাই। আমি এবার সুমনকে গুঁতায়—দোস্ত চল! তোকে কালকে কালাইয়ের রুটি খাওয়াবো হাঁসের মাংস দিয়ে!
খাওয়া–দাওয়ার প্রতি সুমনের দুর্বলতা ছিল। কালাইয়ের রুটি আর হাঁসের মাংসের ওপর সেই দুর্বলতা ছিল তীব্র। সুমন বলল, চল তাইলে!
আমরা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বের হলাম।
মোড়টা পার হতেই বুঝলাম সুমনের কথাই ঠিক… দুই হাত সামনের কিছুই দেখা যাচ্ছে না বৃষ্টিতে। হেডলাইট কি ওয়াইপার…কিছুই কাজ করছে না। সুমন বলল, দেখছিস বে… ওই দিক থেকে কিছু আসলেই মরব!
মরার ভয় আমারও যথেষ্ট! বললাম, কী করবি? ফিরা যাবি পারভেজের দোকানে?
সুমন বলল, শালা! এই করি এখন!
সুমন অদ্ভুতভাবে আরো জোরে চালিয়ে দিলো গাড়ি। আমি বলে উঠলাম, করিস কি!
সুমন বলল, এমনিও মরব অমনিও মরব! টাইনা যাবো এখন!
আমি দোয়া–দুরুদ পড়তে শুরু করলাম। সামনে কী আছে কী হচ্ছে কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না। বৃষ্টি কি আরো বাড়ল?
সুমন টান দিয়েই যাচ্ছে… রাস্তা থেকে যে কোনো সময় পড়ে যাব নিচে এরকম মনে হচ্ছে। আশে–পাশে গাছ–গাছালাও যেন এসে ধাক্কা মারছে মাইক্রোবাসের জানালায়! ১৫ মিনিট কি হয় নি? এতক্ষণ তো খোয়াড়মোড়ে চলে আসার কথা… আসছি না কেন?
আমি বললাম, আসছি না ক্যান বে?
সুমন বলল, কী জানি বাল!
আমি বললাম, রাস্তা ঠিক আছে?
সুমন বলল, রাস্তা তো একটাই!
সুমনের কথা শেষ হতে পারল না হঠাৎই কিছু একটা লাগল মাইক্রোর সামনে। সুমন কড়া একটা ব্রেক করল। বলে উঠল—কী ওইটা? ওইটা কী?
আমিও দেখার চেষ্টা করলাম ওটা কী! একটা যন্তু যেন…সুমন আবার স্টার্ট দেয়ার চেষ্টা করল, পারল না। আবার এবং আবার! ইঞ্জিন স্টার্ট নিচ্ছে না।
সুমন বলল, দোস্ত! অবস্থা ভালো না!
আমি বললাম, মানে?
সুমন বলল, এইগুলা ভালো লক্ষণ না! পারভেজের দোকানেই থেকে যেতে হতো রাতে বাল!
আমি বললাম, আরেকবার দে না…স্টার্ট নিবে না!
সুমন বলল, নিবে না। এইগুলা অরা করছে!
সুমন ‘অরা‘ শব্দটা এমন বিশেষভাবে বলল যে আমার শরীর শিউরে উঠল। বুঝে গেছি আমি। মানে এসব ঘটনা অশরীরি। আমরা ম্যাচ জ্বালাতে জ্বালাতে নেমে এলাম। একটা সিগারেটও জ্বালালাম। আগুন থেকে নাকি ‘অরা‘ দূরে থাকে।
নিচে নেমেই আমরা একটা অভাবিত দৃশ্যের মুখোমুখি হলাম। দেখলাম আমাদের গাড়িটা একটা খালের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে। কিনারে মানে একদম কিনারে। আর একটু চললে গভীর খাদে পড়তাম আমরা। আমি বললাম, আমরা এইখানে ক্যান?
সুমনও বুঝে উঠতে পারছে না। দুজনই এখন বৃষ্টিতে ভিজছি। সুমন কাঁপা গলায় বলল, ভাগ্যিস গাড়ি স্টার্ট নেয় নাই বে… নিলে কেউ বাঁচতাম না!
গভীর রাত, বৃষ্টি, খালপাড় এইসব আমার কাছে হঠাৎ করেই কেমন যেন অসম্ভব কিছু মনে হলো। এমন সময়ই আমাদের মুখোমুখে একটা যন্তু এসে দাঁড়াল। খুবই অল্প সময়ের জন্য। খুবই অল্প। যন্তুটার দিকে ভালো করে তাকালে বোঝা যায় এটা একটা ঘোড়া… এবং ওই অল্প সময়ের মধ্যেই মনে হলো ঘোড়াটাকে আমি চিনি… তার কত স্মৃতি আমার ভেতরে।
সুমন বলল, দোস্ত পালা…
সুমন পিছিয়ে গেল। গাড়ির ভেতর হুড়মুড় করে ঢুকে গেল। আমি পিছাতে চাইলাম। পারলাম না। আমার হাত স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এগিয়ে গেল ঘোড়াটার দিকে। ঘোড়াটা খুব অল্পস্বরে ডেকে উঠল। মাথাটা নামিয়ে ফেলল। আমি তাকে ছুঁলাম কিনা ঠিক যেমন বুঝে উঠতে পারলাম না। তার আগেই ঘোড়াটা একছুটে নেমে গেল খালের দিকে।
সুমন চিৎকার করে উঠল—দোস্ত, স্টার্ট নিছে…
আমি উঠে বসলাম গাড়িতে। ব্যাক গিয়ারে নিয়ে আমরা মেইন রাস্তায় উঠে এলাম কয়েক মিনিটে। বৃষ্টি থেমে গেছে। কিছুক্ষণ যেতে যেতে অদ্ভুতভাবে আকাশে চাঁদও পেয়ে গেলাম। যেভাবে খুব অল্প সময়ের জন্য যেন সেই ঘোড়াটাকে আমি পেয়ে গিয়েছিলাম।
কিন্তু সত্যিই কি সেটি আমাদের সেই ঘোড়া ছিল? কে জানে… কত ঘোড়াই তো দেখতে আমাদের ঘোড়াটার মতো হতে পারে… অথবা আমাদের ঘোড়াটাও তার জগত থেকে আমাদের জগতে আসতে পারে!
জগতে আসলে কত কীই তো হতে পারে!
তবে গাড়িতে বসে বসেই আমি আমাদের ঘোড়াটার নাম দিলাম—ফেরেশতার ঘোড়া!