ধূসর চিলেকোঠা । পর্ব ৫ । লিখছেন শেখর সরকার

0

গত পর্বের পর…

এরকম নয় যে শুধু ইতিহাসের চাকা মাটিতে ঢুকে গিয়েছে, মনে হল যেন সমস্ত পৃথিবী সময়ের সাথে অসমান্তরাল ভাবে এগিয়ে চলছে। নব্য মানবতাবাদ সমস্ত চিন্তাকে আটকে ধরেছে। পৃথিবীর রদবদল যেন একদম নৃতাত্ত্বিক ভাবে ব্যাখ্যা করা যায় এবং তার সমীকরণ নিয়ামতপুরে দেখা যায়। তার প্রত্যেকটি প্রভাব সমাজের মানবিক সম্পর্কের মধ্যে পড়েছিল। এই পরিবর্তন হয়তোবা হওয়ারই ছিল। অবিনাশ স্মৃতি মেদুরতার সঙ্গী হয়ে সেই দলে যোগদান করতে চায় না, কারণ সে জানে – তার অতীত প্রজন্ম এই প্রশ্নের সাথে রীতিমত যুদ্ধ করেছে তার সাথে পরাজিতও হয়েছে। জীবনের ছোটো ছোটো প্রশ্ন নিয়ে সদানন্দরা ভাবত। অবিনাশ জানে না বর্তমান পরিস্থিতিতে সে কী নিয়ে কথা বলবে? কার সাথে কথা বলবে? যা ঘটার কথা ঘটে গিয়েছে, অল্পস্মৃতির মানুষের জন্য ইতিহাস লেখা হয়েছে – সুতরাং অবিনাশ মনে করে মাঝে মাঝে সে শুধু প্রথম পুরুষে তার গল্প বলবে। জীবন চোখের সামনে দিয়ে উবে যাচ্ছে। সবথেকে ভয়ানক যদি কিছু থাকে এই সময়ে নিয়ামতপুরে তা হল  ইতিহাসের পঞ্জিকরণ, ইতিহাসের মাঝে মাঝে মনে করা উচিত তাকে নিয়ে অনেক দোল খেলা হয়। যা চলমান, যা চলে যাচ্ছে এবং যা আগের প্রজন্মে আটকে আছে তাই-ই উপজীব্য বিষয় হওয়া উচিত। চিলেকোঠার ঘরে বসে অবিনাশ মনে করে সে তার পূর্ব প্রজন্মের সমস্ত আত্মা-প্রেতাত্মাকে একসঙ্গে এনে প্ল্যানচেট করবে, দোষ দেবে তাদের ভুলের জন্য, কিন্তু সে জানে না যে ইতিহাস কাউকে মাফ করে নি। হয়ত তাকেও মাফ করবে না। রাতের বেলা অবিনাশ ঘরের মধ্যে বসে রয়েছে। নীচের ঘরের থেকে তার বাবার নাক ডাকার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। চিলেকোঠার ঘরে বসে জানালা খুলে তাকালে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুধু সবুজের আস্তরণ, অদূরে অন্য পাড়াতে কিছু বাড়ির নিবুনিবু করা হ্যারিকেনের আলো, কচুরি-পানার ফুলের বেগুনী আভা যা রাতের বেলা চকচক করে, শেয়ালের ডাক আর হাওয়ায় আন্দোলিত জানালার শব্দ সবই এক সান্নিপাতিক চিত্ররূপময়তা সৃষ্টি করে। অবিনাশের চেতন ও অচেতন শক্তিসমূহ এক অলোক-সম্ভব মুহূর্তে তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে সংহত আকার লাভ করে। মানুষের অনুভূতির যে জগত ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করা অসম্ভব, তার চরমতম দিগন্ত যে অবিনাশ স্পর্শ করতে অপারগ সে তা বোঝে। তাই সে মাঝে মাঝে চুপটি করে বসে থাকে, নিজের সাথে আমতা আমতা করে।

সকাল সকাল অবিনাশ ঘুম থেকে উঠে গোয়াল ঘরে গোরুগুলো বের করে নিমের দাঁতন মুখে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে, গোরুর গলায় রশিগুলো মাটিতে ঘষতে ঘষতে এগিয়ে চলে। গোরুগুলো সব একসাথে এগিয়ে চলছে। চণ্ডীপাট ও তার পর দু’টি গ্রাম পেরিয়ে বুড়িতোরসা নদী। শীতকালে জলের অভাবে শীর্ণ ও জীর্ণ হয়ে গিয়েছে। নদীতে সকাল সকাল জেলে পাড়ার লোকজন মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে, অনেকে পাম্প মেশিন লাগিয়ে নদীর পাড় বরাবর বীজতলা সেচনের কাজ করছে। নদীর কিনারায় আসা মাত্রই গোরুগুলি বিপরীত দিকে দৌড়তে লাগল। অবিনাশ বাঁশের খুঁটিগুলি ধরে সব গোরুগুলিকে টেনে নদীতে নামাল। শীতে অবিনাশ সকাল সকাল স্নান করেনা সাধারণত; কিন্তু কেন যেন গোরুগুলি আজ তাকে বাধ্য করল। নদীর ওপারে যাওয়ার একমাত্র সম্বল আধা ভাঙ্গা বাঁশের সাঁকো। গোরুগুলি নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ল, সাঁতার এখনও ভালো করে রপ্ত হয়নি অবিনাশের। সে গোরুর লেজ ধরে নদীতে নেমে পড়ল। নদীর মধ্যে ভেসে ভেসে এগিয়ে চলল। এভাবে অবিনাশ নদীটি পাড় করল। নদীটাকে তার মৃত ঠাকুমার শাড়ীর আঁচল বলে মনে হয়। যাকে সে কক্ষনো নিজের চোখে দেখেনি। এভাবেই হয়ত পুরনো লোকেরা ঘোরা ফেরা করে – ফিরে আসে বারে বারে। নদীর ওপারে গিয়ে সে আর এদিকে আসতে অপছন্দ করে। নদীর ওপারে যেন সবকিছু জাদু, সব দুঃখের অবসান। এখানে কেউ কাউকে গোপনে চিঠি পাঠায় না, ইতিহাস চক্রব্যূহর মত ঘোরে না। দিব্যেন্দু তার পাশে নেই এখন। তার মা ফিরে আসার পর সে তার মামা বাড়িতে গিয়েছে তার দাদুর ঘোর আপত্তি থাকা সত্ত্বেও। অবিনাশ সকাল সকাল শিশির ভেজা ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটতে পছন্দ করে, কোন নাম না জানা ফুলের গন্ধ নিতে পছন্দ করে। নদী পাড় হওয়ার পর গোরুগুলিকে আর কোনও দিক নির্দেশ করে দিতে হয় না, যে যার মত চলতে থাকে। এভাবেই হয়ত কেশব দাসেরা অদূর কোনও শহরে চলে গিয়েছে। তারা কি কোনও দিন এই গ্রামে ফিরে আসবে? অবিনাশ নদীর ওপারে জঙ্গলে গাছের ছায়াতে বসে থাকে, আলো-আঁধারই তার সামনে শুধু খেলা করছে। সবকিছুই তার ভ্রান্ত মনে হয়, বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে কত কিছুই না চলছে অসমান্তরাল ভাবে, কত মানুষই না কত মানুষকে জড়িয়ে ধরছে, কত মানুষই না কত জনকে ব্যবহার করে কমলার খোসার মত ছুঁড়ে ফেলছে – সে যে বারে বারে ফিরে আসে এই প্রকৃতির কাছে এই হল জীবনের উপজীব্য, জীবনের শাশ্বত সত্য। চারিদিকে মিঠে রোদ, গোরুর খুড়ে উড়তে থাকা ধুলো, অচেনা পাখির কলতান, পলাশ গাছ ভর্তি ফুল সবই আজ তার কাছে নতুন লাগছে, যদিও এগুলো তার কাছে নিত্যনৈমিত্তিক দৃশ্য। আজ তাকে স্কুল যেতে হবে। সদানন্দ হয়ত এতক্ষণে দোকান খুলে বসে পড়েছে। তাকে বাড়ি জলদি যেতে হবে। বাড়ির যাওয়ার পথ খুব আঁকাবাঁকা, অনেক কিছু অতিক্রম করতে হয়, অনেক লোককে ভুলতে হয়। যতক্ষণে নদীর ওপরে বসানো বাঁশের সাঁকোর ওপরে বসে পা রেখে জলের মধ্যে রাখা বেলে মাছের ঠোকর খেল ততক্ষণে সূর্য মধ্য আকাশে। বাড়ি ফিরে এসে দেখে তার বাবা নেই।

নতুন করে আর কী অভিজ্ঞতা নিতে চায় ঊর্মিলা? ঊর্মিলা আর দিব্যেন্দু দুপুর বেলা উপস্থিত হল অবিনাশের বাড়িতে। দিব্যেন্দুকে দেখা মাত্র অবিনাশ আঁতকে উঠলো — “কী হল, হঠাৎ? আমি তো ভাবলাম তুই তোর মামাবাড়ি চলে গিয়েছিস? কাকিমা আপনিও বসুন।” অবিনাশ একটি কাঠের টুল এগিয়ে দিল। ঊর্মিলা তাতে বসে হলুদ রঙের শাড়ীর আঁচলটা মাথায় দিল। ঊর্মিলা তার স্বভাবোচিত ভঙ্গিতে বলল, “এই ছেলে, তোমার বাবা কোথায় গেল সকাল সকাল?” সাধারণ ভাবেই দিব্যেন্দু আর অবিনাশ দু’জনে কানাকানি শুরু করে দিল। কিছুক্ষণ বাদে অবিনাশ ঘর থেকে একটা পান এনে ঊর্মিলার মুখের সামনে এসে দিল। পানটি মুখে পুরে, বাড়ির এদিক-ওদিক উঁকি মেরে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। সাথে দিব্যেন্দু। গেট পার হওয়ার সময় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আবার মুখ পেছনে ফিরিয়ে বলল “আমি এই গ্রামে এসেছিলাম আমার নিজের হিসাব বুঝে নিতে। আমার কাজ হয়ে গিয়েছে। আমি ফিরে যাচ্ছি। তোমার বাবাকে বল সম্ভবত আমি শিলিগুড়ির দিকে যাব। সেদিকে চা বাগানের এক ম্যানেজারের সাথে আমার কথা হয়েছে। বলে দিয়ো সব ঠিক আছে।” দিব্যেন্দু আর অবিনাশের মধ্যে যা কথা হয়েছে তা সব গোপন।  অবিনাশ জানতে পেরেছে এই মহিলাটি তার নিজের শ্বশুর বাড়িতে ফিরে গিয়েছিল। সেখানে তাকে দেখা মাত্রই দয়াময় তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছে। কিছু বিয়ের পুরনো শাড়ী, যৌতুকে দেওয়া এক ভরি সোনা আর দশরথের একটি পুরনো ছবি — এইসবই নিয়ে আসতে পেরেছে অবশেষে। তবে দিব্যেন্দু নিজের গ্রামেই থাকবে। ঊর্মিলা নিয়ে যেতে পারেনি তার ছেলেকে। দয়াময় তার নিজের নাতিনকে একটি বারের মতও তার নিজের চোখের আড়াল করতে পারে না। অবিনাশ ঠিক ভাবে আন্দাজ করতে পারে না কীভাবে, একটি মহিলা কীভাবে একটি অজানা শহরে গিয়ে থাকবে। কিন্তু এটা একদম নিশ্চিত, ঊর্মিলা এই গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছে। কেশব দাস একই পথে হেঁটেছিল। অবিনাশ কান পাতলেই গ্রাম পতনের ডাক শুনতে পারে। সে গ্রামকে আঁকড়ে বড় হয়েছে। এখানে কেউ নতুন কোনও আলোচনা করে না, এখানে সব চর্বিতচর্বণ হয় সময়ের। সদ্যমাত্র কৈশোরে পা দেওয়া অবিনাশের জীবন রসময় দাসের বিড়ির শেষ টানের মতও শুরু হয়ে যাবে আবার কখন শেষ হবে কেউ টের পাবে না — সব গোপন থাকবে। অবিনাশ আর দিব্যেন্দু ঊর্মিলার পিছু পিছু বেরিয়ে পড়ে। অবিনাশ ঘরে তালা লাগিয়ে বেরিয়ে পড়ে সাইকেল নিয়ে, পেছনে দিব্যেন্দু। সামনে শীতের হাল্কা রোদে হাঁটছে ঊর্মিলা। যদিও এ রোদের সেরকম তেজ নেই, তবুও সামনে হাঁটতে থাকা ঊর্মিলাকে অনেকটা মরীচিকার মত লাগছে অবিনাশের। এই মহিলাই কি সেই রাতের ছায়া? দিব্যেন্দু তার মা-র পিছু পিছু একটু দুরত্ব বজায় রেখে চলছে। সব দেনা চুকিয়ে গেছে নিয়ামতপুরের সাথে ঊর্মিলার। অন্তত সে তো তাই মনে করছে। কিছু দূর গিয়ে মাঝরাস্তায় ঊর্মিলা হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে পড়ল। দূর থেকে গম খেতের উপর দিয়ে একটি হাওয়ার ঢেউ আসছে — তাতে ঊর্মিলার চুল উড়ছে। সাইকেল থেকে দু’জনে নীচে নেমে গেল। ঊর্মিলা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে গম খেতের দিকে তাকিয়ে সোজা চলে আসল  দিব্যেন্দুর দিকে, “দিব্য! তোর কি মনে হয় আমি একজন ডাইনি? তোর কি মনে হয় আমি একজন খারাপ মা?” দিব্যেন্দু কোনও উত্তর দেয় না। সে অবিনাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। ঊর্মিলা একটি ছোটো হাতব্যাগের মধ্যে সবকিছু নিয়ে চলছে। দয়াময় তাকে বাড়িতে পাঁচ মিনিটেরও বেশি থাকতে দেয়নি। সব শেষ হয়ে যায় — তবু শেষ হয়না।  ঊর্মিলা কি আর ফিরে আসবে না এই গ্রামে? অবিনাশ বেশ ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে তার বন্ধুর মা-কে? এখন তিনি কোনও বিধবা ভ্রষ্টা রমণী নন, তিনি এক সূত্র — গ্রামের ভূত আর ভবিষ্যতের সূত্র। কেউ আটকে ধরে রাখার কেউ নেই। ঊর্মিলার চোখের মধ্যে এক শশব্যাস্ততা, চলার মধ্যে এক নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার প্রবণতা। সবই বিদ্যমান। যেটা তার বাবা আগেরদিন রাতে তাকে বলেছিল, “বেশি দিব্যেন্দুর বাড়ি যাবিনা। আর ওই মহিলার সাথে কথা বলবি না।” যদিও সে এখনও অব্দি মানেনি কক্ষনো। অবিনাশের সাথে ঊর্মিলার কী সম্পর্ক? তাদের সম্পর্ক কোথায় শুরু হয়েছে? কোথায় শেষ হয়েছে? ঊর্মিলার কোনও আক্ষেপ নেই গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার। সব আক্ষেপ যে ঘুরে ঘুরে এসে গ্রামে কেন্দ্রীভূত হবে — তার কোনও মানে নেই। সব মেঘ সেই স্থানেই বৃষ্টিপাত করেনা। পাশের পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা লেগেও বৃষ্টিপাত ঘটায়। ঊর্মিলার শেষ স্থান কোথায়? কেউ জানে না। ঊর্মিলা চলে যাচ্ছে। শাড়ী আর চুল গুছিয়ে ভাল করে। পেছনে অবিনাশ আর দিব্যেন্দু দাঁড়িয়ে আছে। দিব্যেন্দুর কিছু বলার নেই। দিব্যেন্দু ছোটো থেকেই এসব দেখে বড় হয়েছে। ফলে বিচ্ছেদ তাকে আর এতো ভাবায় না। তাকে ভাবায় তার বাড়ির বর্তমান মালিক দয়াময় চক্রবর্তী। তার মা-র ওপর তার গভীর আস্থা আছে যে সে কোন একদিন ফিরে আসবে। তবে এখন সেটা নিয়ে ভাবা বৃথা। দিব্যেন্দুর মামা বাড়িতে এখন শুধু একজন দূর সম্পর্কের দিদা থাকে। সেই মহিলার নাম খেমটি বুড়ি। কিছুদিন আগেই খেমটি বুড়ি নিয়ামতপুরে এসে দয়াময় চক্রবর্তীর সাথে ঝগড়া করে গেছে। বাড়ির উঠনে এসে ধর্না দিয়ে বসে পড়ে খেমটি। পরনে সাদা থান, মুখে নস্যির গন্ধ,  ব্লাউজ-সায়া না পড়া উলঙ্গ বুক। দয়াময় দেখা মাত্রই  কাজের মেয়েকে বলে “এই ছোটলোক বুড়িটাকে বাড়ির ত্রিসীমা থেকে দূর করে দে!” বাড়ির বাইরে এসে খেমটি বুড়ি এক মুখ কথা দয়াময়কে শুনিয়ে গেল “দয়া! তুই কিন্তু বেশি বাড় বারছছ। তোর আগের দিনের কথা কেউ জানে না। একবার যদি আমি হাটত হাঁড়ি ভাঙ্গি, ফল কিন্তু ভালা হয়তো না। তুই জলপাইগুড়িতে কিতা করছস আমার সব মনে আছে! তুই মানুষ না, তুই হইছস পিছাস। তোর পাপের ঘড়া পূরণ হইব, আর একদিন পূরণ হয়বই।” এই বলে খেমটি হনহন করে সাইকেলের মত গতিতে নিয়ামতপুরের সীমানা পার করে চলে গেল। দিব্যেন্দুর মায়ের দিক থেকে একমাত্র আত্মীয় শুধু খেমটি দিদা।

সন্ধ্যায় সদানন্দ হঠাৎ উপস্থিত হয় ধুলো কাদা মেখে। যেন কোনও যুদ্ধ জয় করে এসেছে।

(ক্রমশ)

পরবর্তী পর্ব…

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *