ধূসর চিলেকোঠা। পর্ব ২। লিখছেন শেখর সরকার

0

গত পর্বের পর…

শীতের হাওয়া যখন শিবচণ্ডী পাট থেকে গ্রামের দিকে ধাবিত হয়, তার প্রথম ধাক্কা এসে লাগে অবিনাশের বাড়িতে। অবিনাশ ঘরের এক তলার রোয়াকে বসে কমলা লেবু খেতে খেতে সেই শীতের আবেশ গায়ে জড়িয়ে নেয়। দশরথ চক্রবর্তীর মৃত্যুর শেষকৃত্য সেভাবেও সম্পন্ন হয়নি, অথচ নিয়ামতপুর তাকে ভুলে যেতে বসেছে। অবিনাশের বর্তমান ছাড়া সবকিছুই স্মৃতি। নিয়ামতপুরের সবাই স্মৃতি বাহক নয়, এরা স্মৃতি পোষক। একটি মৃত্যুর অযথা বোঝা কেউই নিতে চায় না — আর এই গ্রামে তো কোনও বালাই নেই।

একমাসও ভালো করে কাটেনি সদানন্দ তার স্ত্রীর মৃত্যুস্মৃতি ভুলে গিয়েছিল । সেই দিক থেকে ঊর্মিলা স্বামীর মৃত্যুর জন্য তিন মাস অপেক্ষা করে থাকলেন। বিধবা মহিলাকে আবার দেখা গেল অবিনাশদের দোকানের সামনে। হাতে একটি ভারী ব্যাগ। অবিনাশ দোকান সামলাতে সামলাতে যখন বন্ধুর মাকে ড্যাং ড্যাং করে চলে যেতে দেখল, সে বন্ধুর ব্যাপারে প্রশ্ন না করে থাকতে পারল না। বিনিময়ে ঊর্মিলা দেবীর রুক্ষ শুষ্ক জবাব — “ও অবিনাশ! আজকে তো দিব্যেন্দু স্কুল গিয়েছে। তুমি যাওনি?” অবিনাশ তার স্বভাবসিদ্ধ ভাবে জবাব দিল, “কাকিমা, আজ আমার বাবা কাজের জন্য পাশের গ্রামে গিয়েছেন। আজ আস্তে আস্তে সন্ধ্যা হবে, তাই আজ স্কুলে যেতে পারিনি।” অবিনাশ সবসময়ই তার উত্তর গুছিয়ে দিতে পছন্দ করে। সে আধো আধো কথা বলতে অপছন্দ করে। অবিনাশ তার দোকান সামলানোর ফাঁকে নিজের পড়াটুকু যতটা পারে সামলে নেয়। অবিনাশদের বাড়ির থেকে কিছু দূর হরেন বণিকের রেশনের দোকান। ঊর্মিলা সেখান থেকেই ফিরছিলেন। সাধারণ বিধবা মহিলা যেরকম ভাবে নিজেকে সঙ্কুচিত করে চলে — তাঁর একটুকুও প্রভাব ঊর্মিলার মধ্যে নেই। সবাই দশ কান করে — জটলা পাকায়, ঊর্মিলার চরিত্রের উপর সওয়াল ওঠে — দোকানের সামনের বেঞ্চে বসে খইনি ডলতে ডলতে মুকুল বৈরাগী তার বেড়াল চোখে ঊর্মিলার দিকে তাকিয়ে পাশে বসা রসময় দাসকে বলে “বুঝলা রস, গ্রামে কলিযুগ নামছে।”

সন্ধ্যায় সদানন্দ যখন নিজের কাজ থেকে ফিরে আসে — অবিনাশ তার পড়া থেকে উঠে বাবার যত্ন আত্তিরে লেগে পড়ে। বাবাকে ভাত দেওয়া, পান সাজিয়ে দেওয়া এগুলো সব কাজ তাকে করতে হয়। সদানন্দর কোনও ইচ্ছে ছিল না সে কোনদিন  রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবে — তার সাথে আজ অব্দি যা ঘটেছে তা সবই কাকতালীয় মনে হয়। দেশভাগের সময় পিতার পলায়ন, রিফিউজি ক্যাম্পে মায়ের ওলাওঠায় মৃত্যু, তারপর একদিন সাপের কামড়ে বাবার মৃত্যু, ঊষার সঙ্গে গানের মহড়ায় দেখা এবং অবশেষে বিবাহ। অবিনাশের জন্মের একবছরের মধ্যে আবার প্রসববেদনায় ঊষার মৃত্যুতে পরিবারে মৃত্যুর অমানিশার অবসান হল। এতসব মৃত্যুগাথা — বিরহ-যন্ত্রণা সদানন্দকে ম্রিয়মাণ করে দিয়েছে। সদানন্দর অকস্মাৎ মধ্যবিত্ত হওয়ার পেছনে সে তার  পারিপার্শ্বিক ইতিহাসকে দায়ী করে। নিয়ামতপুরে যখন সদ্য যুক্তফ্রন্ট জমির পাট্টা বিলি করছে, সদানন্দ সেই ঘটনার সাক্ষী ছিল। নিমেষে সে গানের দলের কর্মী থেকে দশ বিঘে জমির মালিক হয়ে গেল। ভাত খাওয়া হয়ে গেলে সদানন্দ সন্ধ্যাবেলা দোকানে ধূপ ধরিয়ে বসে পড়ে।

আজ দিব্যেন্দুদের বাড়ি টিউশন। সপ্তাহে দু’বার পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে পড়াতে আসেন ভূপেন ভট্টাচার্য। অবিনাশ আজ একটু আগেই বেরিয়ে পড়ল কাঁধে ব্যাগ নিয়ে। তাকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ চলতে হবে। মাঝে আছে চণ্ডীপাট। অবিনাশ এগিয়ে চলছে মাটির রাস্তা ধরে। ধীরে ধীরে রাস্তা ছোটো হতে থাকে। অবিনাশ চোখ খুলে দেখে গোটা এলাকা জুড়ে গমগাছ আর মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে আলু গাছ। পাটের যে ধারে দশরথের মৃত্যু হয়েছিল সেখান থেকে হাওয়া ধেয়ে আসছে। তার গোটা শরীরকে শীতল করে দিচ্ছে। সদ্যমাত্র মাধ্যামিক পাশ করে অবিনাশ একাদশ শ্রেণীতে উঠেছে। আজ সংস্কৃত দিয়ে শুরু হবে। পথে যেতে যেতে কত কিছু না ভাবছে সে। কিছুদিন আগে ভূপেনবাবু ঊরুভঙ্গম নাটকের কথা বলছিলেন। উনি বলেন যে সংস্কৃত সাহিত্যে উক্ত নাটকটি ছাড়া আর কোনও বিয়োগান্তক নাটক নেই। এই তথ্যটি তাকে সত্যি বিস্মিত করে। অবিনাশের কাছে কথাটি খুবই খটকা লাগে। জীবনের সুখ- দুঃখ-ক্লেশ এই সব ঘটনাতে গ্রীক বিয়োগান্তক নাটকের কোরাসের কোনও হেলদোল নেই বরং তারা প্রধান চরিত্রের জীবনের অস্তিত্বকেই প্রশ্ন করে। ভূপেনবাবু কিছুটা স্বতঃস্ফূর্ত ভঙ্গিতে চা খেতে খেতে বলেন, “তুই একটু অল্প বয়সে বেশিই শিখে যাচ্ছিস রে অভি।”  জীবন এতটাই অদ্ভুত যে অনেক লোকের উদ্দেশ্যই থাকে না — কিন্তু এই ক্ষেত্রে অবিনাশ অনেকাংশেই ভাগ্যবান।

গ্রামের সমীকরণ যা ছিল তাই আছে বরং আরও খাদ দেখা যাচ্ছে শান্ত ছোটো নদীতে। প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা গ্রামে কারও না কারও বাড়িতে হরিসভার আয়োজন বসে। সেখানে কীর্তন, কূটকচালি, প্রসাদ বিতরণ সবই হয়। আজ অনন্ত দাসের বাড়িতে আয়োজন ছিল। তার স্ত্রী সুবলা বাতাসা আর নকুলদানা চিবোতে চিবোতে গায়ে চাদরটা আরও ভাল করে মুড়িয়ে নিয়ে বলে, “মা গো মা! দেখছো চক্কতি বাড়ির বউডার কাণ্ড! কীরম কইর‍্যা শাঁকচুন্নিডার মত হাডে। সুয়ামিডা বেম্মদত্তি হইয়া মাগিডার ঘাড় মইটকা খায় না ক্যারে ? দেখ আমডার গৌরাঙ্গ আগেই কইছে যে কলি কালে বামুনদের বেম্মত্ব থাকত না।” এসব কথা অবিনাশের কানে আসে।  কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই অন্যকান দিয়ে বের করে দেয়। রাতের বেলা হরিসভার থেকে ফেরার সময় সে সদানন্দকে প্রশ্ন করে “বাবা! আমার দিব্যেন্দুর সাথে বন্ধুত্ব করলে কি তোমার কোনও সমস্যা হবে?” অবিনাশের প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া যায় না বাবার কাছে।

ধর্ম পুরো গ্রামকে শিরা ধমনীর মত জাঁকরে ধরেছে। গ্রামের বেশীরভাগ চাষি সম্প্রদায় তাদের জমির পাট্টা বিলির ঋণ পূরণ করতে পণ নিয়েছে আজীবন কম্যুনিস্ট পার্টিতে ভোট দেবে। আবার তারা গ্রামে নিজেদের ধার্মিক স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার জন্য প্রায় প্রত্যেকেই বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী। অন্যদিকে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের অধিকাংশ নিজেদের জমিদারি খুইয়ে কট্টর কম্যুনিস্ট বিরোধী হয়ে নাম লেখিয়েছেন কংগ্রেস দলে। তার ওপর ঘায়ে নুন হল এই জমির পাট্টা বিলি। কাঞ্চন চক্রবর্তী সদ্য মধ্যবিত্ত হওয়া আলোক সরকারকে খোঁচা মেরে বলে, “বলি এই রে আলোক! দিনের বেলা লাল পতাকা ওড়াস আর সন্ধ্যাবেলা অন্যের বাড়িতে গিয়ে হরিনাম, তোদের লাজ শরম নেই রে? কবে রাজনীতির তত্ত্ব গুলি বুঝবি রে হাভাতের দল।” আলোক উত্তর না দিয়ে চুপি চুপি রেশন দোকান থেকে বেরিয়ে আসে। এদিকে সবার অন্তরালে গ্রামের সাওতাল পল্লিতে একটি ছোট্ট গির্জা প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সদানন্দ অনেকবার রামধিন বেসরাকে বোঝাতে গিয়েও অপারগ হল গ্রামে নতুন ধর্মের আগমন রুখতে। ফলতঃ অবিনাশের নতুন এক উৎসব পালনের ছুতো মিলে গেল। তার স্কুলে পুরনো বন্ধু সুমন একাদশ শ্রেণীতে উঠে নতুন নাম রাখল স্যামুয়েল ওঁরাও। নামও পরিবর্তন হল, তার সাথে দলেরও পরিবর্তন হল।  সাঁওতাল কলোনির উলটো দিকে গুটিকয়েক মুসলিম পরিবারের ঘর। সদানন্দদের তাদের শুধু দরকার হয় দশমী ও কালী পূজাতে পাঁঠার বলিতে এবং গোরুর অবাঞ্ছিত খুড় ও শিং কাটার জন্য। এভাবে গোটা গ্রামে একটি নমনীয় ভারসাম্য বজায় আছে।  দু’বছর আগের মাসান পূজাতে মহিষবলির ভার পরেছিল গ্রামের সুপরিচিত কসাই ওসমান মণ্ডলের ওপর। নিরাশ করেনি ওসমান। কমলাক্ষ চক্রবর্তীর নির্দেশে এক কোপে জ্যান্ত মহিষটার গলাট নামিয়ে দিয়েছিল। রক্ত ছিটকে এসে অবিনাশের গায়ে লেগেছিল। সাদা পাজামার ওপর লাল রক্তের দাগ।

অবিনাশ আর দিব্যেন্দু এখন আর মৃত্যু নিয়ে কোনও কথা বলে না। তাদের কাছে এটি এখন শীতের কমলালেবুর খোসা। বস্তুতঃ একটি প্রয়োজনীয় জিনিসের অবিচ্ছেদ্য অংশ — কিন্তু তার কার্যকারিতা নিয়ে উভয়েই দ্বন্দ্বে। ফলে তাদের আলোচনা এখন আজকাল যান্ত্রিক থেকে যান্ত্রিকতর। পার্টির কাজে সদানন্দ যখন একরাত গ্রামের বাইরে, অবিনাশ একদিন তার বাড়িতে প্লানচেটের আয়োজন করল। কালো কুচকুচে রাত। কাঠের একতলার ছাদের ঘর। মোমবাতির আলো দূর দূর ছড়িয়ে পড়ছে। দিব্যেন্দু তার নিহত পিতার আত্মাকে আহ্বান জানাল। মোমবাতি হঠাৎ করে নিভে গেল। পায়ের গোড়ালিতে আলতো খোঁচার অনুভব পেল সে। ঠিক সেই মুহূর্তে ভূত ভূত চিৎকার করে দিব্যেন্দু একতলার ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পা ভেঙ্গে একমাস পড়ে রইল। পরদিন সকালবেলা চিলেকোঠার ঘরে একটি লোহার আলপিন খুঁজে পাওয়া গেল।

প্রধানের কাজে সদানন্দকে প্রায়ই বাইরে থাকতে হয়। তখন ঘর-দোকান অবিনাশকেই একা সামলাতে হয়। তার ঘরের মধ্যে তার মা’র একটি ছবি। ছবিটিতে ঊষা দাসের শেষ যৌবনের ঝলক চোখে পড়ে। সদানন্দকে বিয়ে করতে হয়েছিল একচল্লিশ বছর বয়সে। গ্রামেগঞ্জে এই ব্যাপারটা একটি প্রশ্নসূচক বিষয়। এক জ্যোতিষীর কথা শুনে পরিবারে পুনর্বার সর্পদংশন জনিত  মৃত্যু রুখতে চল্লিশের ঊর্ধ্বে বিবাহ করতে হয়।

স্কুল ছুটির দিনে অবিনাশ তার বেশির সময়ই কাটায় চণ্ডীপাটে মাছ ধরা দেখতে দেখতে। নিজে সে কোনদিন মাছ ধরেনি। আর যেহেতু কার্ত্তিক মাস নিয়ম মাস, তাদের আমিষ খাওয়া একদমই বারণ। সদানন্দকে সে এই কথাই দিয়েছে। সে গম ক্ষেতের মাঝখানে গিয়ে বসে থাকে নতুন শিষের গন্ধ নেওয়ার জন্য। ঝাঁপিয়ে পড়ে পাটের পাশে খড় বোঝাই করা টিলার উপর। পাশেই সে কেশব দাসের টিলা দেখতে পায়। এখনও কি দশরথ চক্রবর্তীর মৃতদেহ পড়ে আছে কেশব দাসের খড়ের টিলার ওপর? রাস্তা দিয়ে সে সাদা শাড়ি পরিহিত ঊর্মিলা চক্রবর্তীকে দেখতে পায়। অবিনাশ এখনও তার বন্ধুর মাকে এই বেশে দেখে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেনা। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে রেশন দোকান মারফত বিধবাদের মাসিক দশ কিলো চাল আর দুই কিলো মুগ ডাল দেওয়া শুরু হয়েছে। ঊর্মিলা চক্রবর্তী সেটা নিয়েই ফিরে আসছেন। শীতের সূর্যের আলো সাদা শাড়িতে এক মোহময়ী আলোর ঝলকানি সৃষ্টি করেছে। অবিনাশ লুকিয়ে পড়ল খড়ের পাহাড়ের নীচে। তার হৃদস্পন্দন বেড়ে গিয়েছে। সে অপেক্ষা করে আছে এই মহিলাটির রাস্তা থেকে অবতরণ করে স্বামীর হত্যাস্থলে এসে মৃত্যুর স্মৃতিকে পুনঃ জাগরিত করবে। অবিনাশ ইতিহাসের সাক্ষী — ক্ষণের সাক্ষী। অবিনাশ ইতিহাসকে গুছিয়ে নেয় নিজের মত করে। সে পরখ করে অন্যের চশমা দিয়ে। সে শব্দের বেগে ছুটে চলেছে। রাতের কুকুরের ডাক তাকে চাপা সন্ত্রাসের ইঙ্গিত দেয়। এই অসম্ভব বিদ্রোহ চর্বিত চর্বণ করছে এক দুর্বিষহ পিপাসার। সবাই অপেক্ষা করে আছে কীভাবে নদী আবার মোহনার অববাহিকা থেকে উঠে এসে ব-দ্বীপ বানাবে। একটি ফসকে যাওয়া তীর আবার ধনুকের তূণে গিয়ে বসবে। এভাবেই অবিনাশ চায় সবকিছু তার পুরনো স্থান ফিরে পাক। একদিন স্থির হবে সব বেদনার কোলাহলে — সমস্ত দিনের প্রদীপের তেল ফুরালে। কিন্তু তবে কি ঘটনার সাক্ষী হলেই ইতিহাসের আত্তীকরণ সম্ভব? অবিনাশ তার পরিবারের ইতিহাস যাচাই করে দেখে যে কেউই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি। ঊর্মিলা চক্রবর্তী তো নিমিত্ত মাত্র। পূর্ব ধারনা অনুযায়ী, ঊর্মিলা ভর দুপুরে কেশব দাসের টিলার সামনে এসে এদিক ওদিক তাকিয়ে সাদা থান খুলে লাল পাড় সাদা শাড়ি পড়ে ড্যাং ড্যাং করে নিজের পাড়ার দিকে এগিয়ে চলল। অবিনাশ দেখতে পারল একটি প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার দেহ। তার স্ফীত স্তন। ঝুলে যাওয়া তল পেটের মাংস, কোমরের খাঁজ। চলে যাওয়ার আগে ঊর্মিলা একটি চিঠি ফেলে দিয়ে গেল স্বামীর হত্যা স্থলে। অবিনাশ খড়ের আবরণ থেকে বেরিয়ে আসল এবং দীর্ঘশ্বাস নিল।

(ক্রমশঃ)

পরবর্তী পর্ব…

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *