উড়নচণ্ডীর পাঁচালি। পর্ব ৯। লিখছেন সমরেন্দ্র মণ্ডল

0

গত পর্বের পর

রসিকজনের পদাবলী

সবুজ সংস্কৃতির শস্যে পরিপূর্ণ এ শহরের কথা বোধহয় ফুরোয় না। তরী ছোট হলেও, সোনার ধানে ভরে গেলেও, ‘ঠাঁয় নাই ঠাঁয় নাই’ বলা যাবে না। সকলে তো থাকেন না। নানা কারণে নানাজন ঠাঁয় নাড়া হলে শূন্যস্থান ভরিয়ে দেয় নব্যজনে। শহরের সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তিও তো কম নয়। এ শহরেই তো একদা জন্মেছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, দিলীপ কুমার রায়, রামতনু লাহিড়ীর মতো বিদ্বৎজন। শহরের পথে পথে হেঁটেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম, অন্নদাশঙ্কর রায়, শিশির ভাদুড়ী। ছিলেন গোবিন্দ গোপাল মুখোপাধ্যায় থেকে সুবীর চক্রবর্তী। সে ইতিহাসও তো কম নয়। জীবনের দেখা তো শুধু দেখা নয়, অনেক শোনাও তো দেখা। উড়নচণ্ডীর এই ছড়ানো-ছেটানো জীবনে কতই তো দেখা হলো, শোনা হল। তার বহরও তো কম নয়। সব কথা যায় না বলা, বলতেও নেই। আবার কত কথা হারিয়ে যায়। শুধু আপন কথারা ঘুরে ফিরে আসে। আবার কত মানুষও তো হারিয়ে যায়। আবার কোনও কোনও মানুষ থেকেই যান। থেকে যান শহরের কথায়। জনমানসের চিন্তনে। এই যে মানুষের থাকা-না থাকা, এই নিয়ে মাঙ-জে-দংয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ বচন আছে : ‘কোনও কোনও মৃত্যু পাখির পালকের মতো হালকা, কোনও কোনও মৃত্যু পাহাড়ের মতো ভারী’। পাখির পালকের মতো কেউ উড়ে যায়, হারিয়ে যায়, আবার পাহাড়ের মতো ভারী যাদের কর্ম সাধনা, তারা চিরন্তন হয়ে যান। দ্বিজেন্দ্রলাল, রামতনু লাহিড়ীরা যেমন শহরের সঙ্গে জুড়ে আছেন, তেমনই আছেন সুধীর চক্রবর্তী। এই নামেই খ্যাত তিনি এই বঙ্গে, যদিও নামের মধ্যে একটি ‘প্রসাদ’ ছিল।

অধ্যাপকীয় জীবনে কত যে তাঁর ছাত্র ছিল। সেইসব ছাত্রদের কেউ কেউ তাঁর বন্ধুর মতো হয়ে গিয়েছে পরবর্তী সময়ে। তাদের মুখে ‘স্যার’ শব্দটি তো থাকবেই। কিন্তু অনেক অছাত্র, যাদের সঙ্গে গড়ে উঠেছিলে সখ্য, তারাও ডাকতেন ‘স্যার’ বলে। কেন যে বলতেন, তা তারাই জানে। এই উড়নচণ্ডীও তার প্রত্যক্ষ ছাত্র না হয়েও ‘স্যার’ সম্বোধন করত। প্রত্যক্ষ ছাত্র বললাম কেন? ছাত্র না হয়েও তো কত কিছু শিখলাম তার কাছ থেকে। সে ঋণ কি শোধ করা যায়? আসলে এমন এক-একজন থাকেন, যাদের সান্নিধ্যও মানুষকে বড় করে তোলে। এই উড়নচণ্ডীর কাছে সুধীর বাবুও তেমনই একজন। সে সব কথা তাঁর প্রয়াণের পর লিখেছিল দু-এক জায়গায়। তাতে কী। বারবার বললে তো আয়কর হানা দেবে না। তাই বলাই যায়।

তার সঙ্গে প্রথম আলাপ বিগত শতকের সত্তর দশকের প্রথম দিকে। তখন সদ্য ঢুকেছি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ে। রানাঘাটের দুজন বন্ধু একটি পত্রিকা বের করবে ঠিক করল। তখন আমার কবিতা মকসো করার কাল। রানাঘাট স্টেশনে চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিতে দিতে বেশ কয়েকদিন ধরে চলল পত্রিকা নিয়ে নানা কথা। নাম দেওয়া হল ‘দ্বন্দ্ব’। আমার উপর ভার পড়ল সুধীর বাবুর কাছ থেকে একটা লেখা জোগার করা। তখন মিনি পত্রিকার যুগ। দিকে দিকে মিনি পত্রিকা বেরোচ্ছে। ‘দ্বন্দ্ব’ও হবে মিনি। ছোট্ট লেখা। নিশ্চয় সুধীরবাবু দেবেন। বুক ঠুকে চললুম লেখা সংগ্রহে। তখন তিনি থাকতেন কৃষ্ণনগর কলেজের কাছেই একটি ভাড়াবাড়িতে। বাড়ির সুলুক সন্ধান জেনে এক সকালে কড়া নাড়লাম। তিনি বের হলেন। কৌতূহলী চোখে প্রশ্ন করলেন, কি ব্যাপার?

উদ্দেশ্য বলতেই কারা পত্রিকা বের করছে, পত্রিকার নাম, কি করা হয় ইত্যাদি এক ঝাঁক প্রশ্নের পর সস্নেহ উত্তর, নিয়ে যেও।

দিন চারেক পর একটা দিন দিলেন। রবিবার ছিল। হাজিরা দিলাম সকাল সকাল। কড়া নাড়তেই লেখা হাতে বের হলেন। মিনি পত্রিকার লেখা। তাঁর মুক্তাক্ষরে এক পাতা। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত। লেখকের নাম চিত্তপ্রিয় সিংহ। বললাম, স্যার আপনার নাম?

উনি উত্তর দিলেন, এটাও আমার নাম। ছোট পত্রিকায় এই নামেই লিখি। লেখা হাতে বারান্দা থেকে নেমে এলাম। বিষণ্ণ। সুধীর চক্রবর্তী নামটার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কী আর করা যাবে। তবে ওই যে সেদিন স্যার ফেলেছিলাম, ওটা বরাবর রয়ে গেল। আমি তো বলতেই পারতাম সুধীর দা কিংবা সুধীর কাকু – সেসব তো বললাম না। মুখ দিয়ে স্যার বেরিয়ে এলো সম্ভবত তাঁর ব্যক্তিত্বের কারণেই। প্রথম দিনেই সে সস্মিত আহ্বান পেয়েছিলাম, সেটা রয়েই গেল। ক্রমশ ঘনিষ্ঠতা হল। সে অবশ্য আরও পরে। কিন্তু যোগাযোগ রয়েই গেল নানা আছিলায়।

কৃষ্ণনগর ক্যাথিড্রাল চার্চে যুবকদের একটি সংগঠন ছিল – ‘যুব সমাজ’। ইতালিয়ান পুরোহিত ফাদার লুচানো ছিলেন ‘যুব সমাজ’-এর মূল পরিচালক। অবশ্য চার্চের সমস্ত যুবক-যুবতিদের মধ্যে নির্বাচন করে একটা পরিচালন সমিতি তৈরি করা হয়েছিল। প্রতি বছর নির্বাচন করে পদাধিকারীদের বদলে দেওয়া হতো। তা সেই ‘যুব সমাজ’ নানা বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করত। এই সভায় রবীন্দ্রনাথ বা অন্যান্য বিষয়ে বলার জন্য সুধীর বাবুকে কয়েকবার আহ্বান করা হলে তিনি আসতেন। সেই সুবাদে পরিচয় আরও কিছুটা পাকা হল।

তারও পরে যখন লেখরাজদার চায়ের দোকানে আড্ডা শুরু হল, তখন থেকে সম্পর্কটা গাঢ় হতে শুরু হল। তখন ছোট পত্রিকায় লেখালেখি করি, কয়েকজন বন্ধু মিলে বের করছি ‘আজ’। না, আমি নই, সম্পাদক ছিলেন বন্ধু মহাদেব সাহা, ভাল গল্প লিখত। প্রকাশক ছিল নন্তু দে। ও লিখত না, পড়ত শুধু। আর ছিল স্নেহাশিষ শুকুল। সুধীর বাবুর সঙ্গে সেই পর্বে মত বিনিময় হতো। না, তিনি চায়ের দোকানে বসতেন না। বসতেন ওই দোকানের দেওয়ালের উল্টোপিঠের ‘আলেখ্য’ স্টুডিওতে। আলোকচিত্রী সত্যেন মন্ডলের স্টুডিও। ওখানেই বসতেন মান্যজনেরা। আমরা চায়ের দোকান ঘুরে স্টুডিওর সামনে দাঁড়িয়ে, কখনো বা ভিতরে চেয়ার দখল করে কথালাপে মত্ত হয়ে যেতাম।

তখন তিনি লোকসংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করছেন। চলছে বারোদোলের মেলা। সুধীরবাবু দল গুছালেন মেলায় যাবেন। দলে সুবীর ছিল, আমিও ঠাঁয় পেলাম, আরও যেন কেউ কেউ ছিল। মেলা ঘুরে জিলিপি খেয়ে ফিরে এলাম। ঘুরতে ঘুরতেই তিনি কাজ সারছেন। দোকানিদের প্রশ্ন করছেন তাদের জীবিকা নিয়ে। নোট করছেন। সুবীরও নোট করছে। আর আমি, এই উড়নচণ্ডী বিন্দাস ঘুরছি ফিরছি নিজের মতো করে। আমার কাঁধে তো আর প্রশ্নকর্তার জোয়াল চাপেনি। তবে মেলায় যাওয়া আসা ছিল পদব্রজে।

এমনই ছিল তাঁর ঘোরাঘুরি। হাঁটতেই যেন ভালবাসতেন তিনি। একজন মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে কত ঘটনাই তো ঘটে যায়, কাল সেইসব স্মৃতির গায়ে নোনা ধরিয়ে দেয়। রেকর্ডে এতো ধুলো-ময়লা জমে যে পিন আর সরে না। শুধু ঘ্যার ঘ্যার শব্দ করে। উড়নচণ্ডীর অবস্থাও এখন তেমনি। সব কি আর মনে পড়ে? সব স্মৃতি কি আর ফিরে আসে? অবরে-সবরে কেউ কেউ যখন উঁকি দিয়ে যায়, তাকে ধরে রাখতে গেলেও পিছলে যায়। তবুও কেউ কেউ পোষ মানে। বাধ্য পোষ্যর মতো ঘুমিয়ে থাকে উড়নচণ্ডীর ঝোলায়। তাকে ঘুম থেকে জাগাতেই সাড়া দেয়। যেমন এখনই সাড়া দিল ঘটনাটা। এক গ্রীষ্মের সকাল। তখন তো উদোম বেকার। আড্ডা মারছি লেখরাজদার দোকানে। কিছুক্ষণ পর আলেখ্যর সামনে। চেয়ার জাঁকিয়ে সুধীরবাবু বসে। আশেপাশে ছড়িয়ে ক’জন। সত্যেনদা ফিল্ম গোটাচ্ছেন তো গোটাচ্ছেন। সুধীর বাবু বললেন, বিকেল চারটের সময় চিত্র মন্দিরের সামনে চলে এসো।

–ঠিক আছে। কোথায় যাবো?

উনি মৃদু হেসে বললেন, রহস্য। অভিযানে যাবো।

এলেম চিত্রমন্দিরের সামনে। অপেক্ষা করছি। দেখি ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত স্যার নিজস্ব চালে এগিয়ে আসছেন। আমি রাস্তার এপারে, উনি ওপারে। হাতছানি দিলেন। রাস্তা পার হয়ে ওপারে যেতেই বললেন, চলো।

নিশ্চুপে অনুসরণ করছি। উনি গৌর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের সামনে বেঞ্চিতে বসে পড়লেন। দুটো করে সিঙাড়া আর একশো করে বোঁদে। সেসব গলাধঃকরণ করে একটা রিক্সায় চেপে বসলেন। বললেন, বসো।

রিক্সা চালককে নির্দেশ দিলেন, শক্তিনগর।

এবার মুখ খুললাম, কার বাড়ি যাচ্ছেন?

মৃদু জবাব দিলেন, ক্ষুদিরাম দাসের বাড়ি।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ক্ষুদিরাম দাস। খুবই নামী মানুষ। সপ্তাহান্তে তিনি কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগরে ফেরেন। তার পুত্র-কন্যাদের সঙ্গেও কিঞ্চিৎ পরিচয় আছে। কনিষ্ঠপুত্র অপূর্ব কবিতা লেখে, ছবি আঁকে। সখ্যতা আছে তার সঙ্গেও। আর সব চেয়ে বড় কথা ক্ষুদিরাম দাসের মনন সমৃদ্ধ আলোচনা শোনার সৌভাগ্য হবে। সুধীরবাবু যখন যাচ্ছেন, নিছক আড্ডা মারতে তো যাচ্ছেন না। আর আড্ডা মানেই তো জ্ঞানের গভীরে ডুব দেওয়া।

সেই বিকেল-সন্ধ্যে বড় মধুর কেটেছিল। কি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল আজ আর মনে নেই, তবে নিঃসন্দেহে সমৃদ্ধ হয়েছিলাম। ফাঁকে উঠে গেছিলাম অপূর্বর সঙ্গে গল্প করতে। সন্ধ্যা গড়াতেই আবার রিক্সাবাহিত হয়ে ফিরে এলাম জজ কোর্টের মোড়ে; আমাদের নির্দিষ্ট গুলতানিতে।

এমনই ছিলেন মানুষটা। কোথায় যাবেন বা যাচ্ছেন আগে জানান দেবেন না, মাঝ পথে বলবেন। মাঝে মাঝেই উধাও হয়ে যেতেন দিন কয়েকের জন্য। যখন ফিরে আসতেন জানতে পারতাম, কোন্য খনির সন্ধানে গিয়েছিলেন। লোকসঙ্গীত ও লোকশিল্পের সন্ধানে তিনি ছিলেন অক্লান্ত ভ্রামণিক।

মাঝে মাঝে অন্যরকম আড্ডাও হতো ‘আলেখ্য’-র ঘরে। কথা হতো লেখালেখি নিয়ে। একটা কথা মনে গেঁথে আছে। বলেছিলেন, তিরিশ বছর কবিতা লিখবে, তারপর পুরোপুরি গদ্যে চলে আসবে। এই দ্যাখো, আমি আর কবিতা লিখি না।

এ কথার ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন তিনি, সেসব আর মনে নেই। তবে মনে আছে গানের আড্ডা। জজ কোর্টের গাছতলায় মাঝে মধ্যেই বসা হতো তার সঙ্গে। কোনও দিন আড্ডা, কোনওদিন গানের আসর। এটা ছিল রবিবারের আসর। একটার পর একটা গান গাইতেন। আমরাও গলা মেলাতাম। চেষ্টা করতাম সুরে লাগানোর। শুধু গান গাওয়া নয়, গানের নানা খুঁটিনাটিও আলোচনা করতেন। এ যেন এক শিক্ষাশিবির। এসবের ফাঁকে ফাঁকে চটুল কথাও হতো। বেশ মনে আছে, এক গ্রীষ্মের বিকেলে, নাকি বর্ষার ভিজে বিকেলে, আড্ডা বসলো জজ কোর্টের বারান্দায়। সেই সময় বোধহয় আদালত ছুটিতে ছিল। এদিকে ইস্কুল-কলেজের পঠনপাঠনও বন্ধ। গ্রীষ্মের সেই আকাশের এক বিকেল। সেদিন আড্ডায় আছে করুণা দা, মানে করুণা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষাতাত্ত্বিক। ফুটবল মাঠের রেফারি ছিলেন একসময়ে। বেশ মান্যি মানুষ। আড্ডায় আমাদের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল সঞ্জীত পরামানিক। বাহাদুরপুরের ছেলে। ব্যাঙ্কের সাধারণ চাকুরে। কবিতা খ্যাপা (সময়ান্তরে ওর কথা বলা যাবে)। করুণদা সঞ্জীতকে প্রশ্ন করলেন, কদম্ব-র প্রতিশব্দ কি? আমরা কৌতূহলী। চেয়ে আছি ওর দিকে। মনে মনে ভাবছি একটা কিছু কেলেঙ্কারি করবে। ঠিক তাই। সে সপাটে জবাব দিল, নিতম্ব। বলে খ্যাক খ্যাক করে হাসতে থাকল। সুধীরবাবু গম্ভীর মুখে বললেন, ঠিকই আছে। দুটোই গোলাকার।

উঠল হো হো হাসির রোল। এরকম সরল মন্তব্য যারা নিত্য আড্ডার সঙ্গী তাদের স্মরণে থাকার কথা। তার গদ্যতেও এরকম অজস্র মুক্তো ছড়িয়ে আছে।

সত্যেন মন্ডলের প্রয়ণের পরেও কিছুদিন ‘আলেখ্য’-র আড্ডা ছিল। পরে কি কারণে যেন তা বন্ধ হয়ে যায়। আমি ঠিক জানি না। কারণ তখন তো আমি আর সেখানে নেই। তবে অনেক পরে একটা নতুন আড্ডা শুরু হলো আমাদের বন্ধু সুবীর সিংহ রায়দের বাড়ি। মূলত লেখালেখি নিয়ে যারা থাকেন, তাদেরই জমায়েত। আড্ডা তো আর নিছক গুলতানি নয়, এ-ওর পেছনে কাঠি করতেও তো কম যান না। এই আড্ডারও মধ্যমণি সুধীর বাবু। তিনি নাম দিলেন ‘কাঠিবন’। সে আড্ডা চলছে আজও। আপন গতিতে। সুধীরবাবু প্রয়াত হয়েছেন সামান্য অতীতে। এখবর বাংলার মানুষের জানা। কিন্তু তিনি এখনও আছেন আড্ডায়। তাঁর নির্দিষ্ট চেয়ারটা ফাঁকাই থাকে। কেউ বসেন না। প্রশ্ন করলেই উত্তর পাওয়া যায়, ওটা সভাপতির চেয়ার। উনি আসবেন।

(ক্রমশ)

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *