দুর্লভ সূত্রধরের ‘আহাম্মকের খুদকুড়ো’। পর্ব ২। পড়লেন অর্দ্ধেন্দুশেখর গোস্বামী
৪. সপ্তকাণ্ড রিপাবলিক
রিপাবলিকের উপাখ্যান – হ্যাঁ, সাত পর্ব যুক্ত এই গ্রন্থের দীর্ঘতম এবং আশ্চর্যতম এই অধ্যায়টিকে উপাখ্যান ছাড়া অন্য কিছু আখ্যা দেওয়া অসম্ভব। আগাগোড়া স্নিগ্ধ কৌতুকে মোড়ানো বর্ণাঢ্য সব চরিত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে এই উপাখ্যান।
একটি ইস্কুলকে সমর-শৃঙ্খলায় আবদ্ধ স্পার্টান রাষ্ট্রের বিপ্রতীপে ঢিলেঢালা জনতান্ত্রিক এথেনিয়ান নগররাষ্ট্রের মহিমান্বিত রূপে দেখতে গেলে কল্পনার যে স্ফুরণ দরকার হয়, বুঝতে অসুবিধে নেই, দুর্লভ সূত্রধরের মধ্যে তা রীতিমতো বিদ্যমান।
ঠিক কীরকম এই ইস্কুলটি? ‘পুরনো ঘর, আদ্যিকালের মতো গড়ন, ভাঙা ভাঙা দরজা, সংকীর্ণ অফিসঘর, …প্রায় ঘাসহীন অতীব ছোটো অঙ্গন, দেওয়ালে দেওয়ালে পরীক্ষায় টুকনক্রিয়ার কালিমা…’
সে এমনই এক ইস্কুল, যার ‘মান নিয়ে শহরজোড়া বাঁকা হাসি’; যে ইস্কুলে শহরের প্রতিটি পাড়ার সমস্ত সরকারি ও মিউনিসিপ্যালিটির প্রাইমারি স্কুলের ছেলেদের ‘ঝেঁটিয়ে’ এনে ভরে দেওয়া হয়; যে ইস্কুলে পাঠ্যসূচির বাইরে বহুতর বিষয় কিছু কম গুরুত্ব পায় না; যে ইস্কুলে ‘ফার্স্টবয় হরিদাস বা গ্রন্থ-বৈরি বুধো ঘোষের প্রতি’ স্কুলের ‘নির্দেশক নীতি’র সমান মনোযোগ; যে স্কুলের ছাত্ররা ‘তুচ্ছ ও মলিন দিনলিপির বাইরেও জীবনের অন্যতর মানে’ শিখতে পারে, যারা ‘জীবনের যাবতীয় অসাফল্য ও অসম্পন্নতাকে’ হেসে উড়িয়ে দিতে পারে; যে ইস্কুলের হেডমাস্টার বাগানের আম চুরির অভিযোগকে সূক্ষ্ম এক স্ট্রোকে অভিযোগকারীদের দিকেই ঘুরিয়ে দিতে পারেন; যে ইস্কুলে একমাত্র শাস্তিযোগ্য অপরাধ হল ‘হিংসুটে টুকলি’; যে ইস্কুলে যেতে পারা প্রতিটি ছাত্রের কাছে ‘মরণপণ সংগ্রাম’ – দু’একদিন যেতে না পারলে ছাত্রদের ভেতরে ছটফটানি জাগে। তেমনই এক স্কুল যদি আদর্শ রিপাবলিক না হয়, তবে তো পাঠককে প্লেটোর নামই ভুলে যেতে হবে।
এই রিপাবলিক বা ইস্কুলের বিশিষ্ট আত্মাটির নির্মাতা ও রক্ষক হলেন ইস্কুলের স্যাররা, লেখক যাঁদেরকে ‘আর্কন’ অভিধা দিয়েছেন।
কী সব স্যার এই ইস্কুলের! দু-চারটি মজাদার রেখার টানেই লেখক প্রত্যেকটি স্যারের চরিত্রকে স্বমহিমায় এঁকে ফেলেছেন। প্রথমত আছেন ‘অল ইন ওয়ান’ হেডস্যার। তাঁর পাণ্ডিত্যের কোনো ‘ছিরিছাঁদ’ নেই। তিনি ম্যাথ ও সংস্কৃত সমছন্দে পড়াতে পারেন। আবার প্রয়োজন হলে অর্থনীতির ক্লাসে ঢুকে ডায়াগ্রাম সহ দুরূহ সব তত্ত্ব বোঝাতেও তাঁর অসুবিধে হয় না। অন্যান্য শিক্ষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অথবা নিজের বাড়িতে উপাদেয় জলখাবারের টোপ দিয়ে এনে সাহিত্য, দর্শন, অর্থনীতি, হিসাবশাস্ত্র ইত্যাকার বিষয়ে তাঁদের জ্ঞানের ভারা পূর্ণ করে দেওয়া তাঁর অবসর সময়ের ব্রত ও বিনোদন।
তারপর আছেন নিজের নামের ‘লক্ষণার্থকে ব্যর্থ করা’ রুদ্রবাবু স্যার। তিনি স্বয়ং এই রিপাবলিকের ‘নির্দেশক নীতি’। তারকাভর্তি সার্টিফিকেট নিয়ে যখন প্রথম তিনি এই ইস্কুলে যোগ দেন, তখন সবাই তাঁকে ‘ক্ষণিকের অতিথি’ ভেবেছিল। কিন্তু বৃদ্ধা মাকে দেখাশুনার অজুহাতে, না কি এই রিপাবলিকের মোহে পড়ে তিনি এখানেই স্থায়ী হলেন তা বোধ হয় স্বয়ং লেখকেরও জানা নেই। ক্লাসরুমের বাইরে বেরোলে তিনি গলায় সাইলেন্সার লাগিয়ে নেন, অথচ তাঁকে অফিসঘরের বারান্দায় দেখলেই ছাত্রদের যাবতীয় হট্টগোল স্তব্ধ হয়ে যায়, এমনই ছিল তাঁর ‘নীরবতার আদেশ’।
মণিবাবু স্যারের কথা বলাই বাহুল্য। তাঁর অনর্গল দর্শনাত্বক উপদেশাবলি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দুর্লভ-সঙ্গি। আছেন ‘হিংসুটি টুকলি’ আবিষ্কারক পুরঞ্জয়বাবু স্যার, যিনি হেডস্যারের মাথাজোড়া টাককেই তাঁর বহুধাবিস্তৃত পাণ্ডিত্যের জন্য দায়ি করেন। আছেন চিরুনির অক্ষয় পরমায়ু-কামী সুধন্যবাবু স্যার, যাঁর ‘কোঁকড়া কোঁকড়া কুড়ো-লাগার মতো’ চুলে তিনি চিরুনি না লাগিয়ে দু-হাতের আঙুল দিয়ে বশে রাখেন।
অতঃপর চুলকে ভরকেন্দ্রে রেখে এক একজন স্যারের বৈশিষ্ট্য উদঘাটন করার দুর্লভ কৌতুকীর সূচনা হল। নীরেনবাবু স্যার নিজের শখের চুল সত্ত্বেও টাকের গুণগান গেয়ে আনন্দ পান। সুমথবাবু স্যার সহশিক্ষকদের চুল দেখে ভবিষ্যবাণী করেন কে হবেন আইনস্টাইন, কে-ই বা রবিঠাকুর। আর নিজের নাতিবিস্তৃত টাক নিয়ে আক্ষেপ করে যান কেন তাঁর টাক হেডস্যারের মতো নির্চুলা হলো না! যার ফলে তাঁর পাণ্ডিত্যও হেডস্যারের মতো বহুধাবিস্তৃত হতে হতেও মাঝপথে আটকে গেল।
আরও আছেন ‘ব্যক্তিত্ববান ও নিষ্ণাত পণ্ডিত’ গোপেনবাবু স্যার, যিনি সর্বদাই নিজেকে গোপনে রেখে রিপাবলিকের সমস্ত অনুষ্ঠানকে সর্বার্থে সফল করে তোলেন। তাঁর অনুপ্রেরণায় বিশ্বকর্মা পূজার প্রদর্শনীতে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির মডেল তৈরিতে নামী ইস্কুলদের ম্লান করে দেয় রিপাবলিকের পাবলিকরা। দুঃস্থ ছাত্রদের এমনভাবে তিনি সাহায্য করেন যে কাকপক্ষীও জানতে পারে না সাহায্যকারীর পরিচয়। জীববিজ্ঞানের শিক্ষক গোপেনবাবুর দৃষ্টির গভীরতা, পড়ানোর ধরন ছাত্রদের আলাদাভাবে ছুঁয়ে যায়। তারা বোঝে, ‘পৃথিবীটা শুধু মানুষের নয় – সব প্রাণীর, সীমাহীন জীববৈচিত্র্যের, বস্তু ও প্রাণ নিয়ে বিরাট এই বিশ্বব্যবস্থা’।
সুধন্যবাবু যথার্থই বলেন, “গোপেনদার ব্যাপারই আলাদা, বাজারের ফিতে দিয়ে ওঁকে মাপা যায় না”।
“আবার এই রিপাবলিক-কমিউনিটিতে চোরা-গোপ্তা অনেক বিপরীত স্রোতও ছিল। স্যারেদের মধ্যে বন্ধুত্ব আর মতভেদের এক চমৎকার মিশেল ছিল।”
স্যারেদের উপাখ্যানের এই হল উপসংহার। কিন্তু রিপাবলিকের গল্প এখনও বাকি।
৫. দাসদের মজারু তত্ত্ব এবং অনাদরের স্বাধীনতা
রিপাবলিকের দাসদের যোগ্য প্রতিনিধি শিবহরি। কেননা দাস দশা থেকে কোনোদিন উত্তরণ ঘটেনি তার। তা সত্ত্বেও সে কিন্তু নিজের জন্য একটি সচ্ছল ও আনন্দময় জীবন নিজের যোগ্যতায় তৈরি করে নিয়েছিল।
তার আগে জানানো দরকার, কারা রিপাবলিকের দাস। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির অগণন ছাত্র যারা রিপাবলিকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ তারাই রিপাবলিকের নীতি অনুসারে দাস শ্রেণিভুক্ত। সপ্তম শ্রেণিতেই ঝরে যাওয়া শিবহরির শিক্ষার ভারা যে অপূর্ণ থাকেনি তার মূলে ‘অনাদরের স্বাধীনতা’। সেই গল্প পাঠক বইটি খুলে পড়ে নেবেন, আমি শুধু এটাই জানিয়ে রাখি যে এই শিবহরিই উপযুক্ত সংজ্ঞা সহযোগে আহাম্মকের চরিত্র তারই সামনে উদঘাটন করতে পেরেছিল।
রিপাবলিকের ‘আর্কন’-রা যদিও অভিজাত শ্রেণি হিসাবেই গণ্য হতেন, তাঁরাও আসলেই ছিলেন এক একটি ‘বুনো রামনাথ’। ফলে সারা বছর ধরে রিপাবলিকে যে ‘সাড়ে সতেরো’ মজার আমদানি ঘটত, তার ভাগ তাঁরা সমান তালে ভোগ করতেন। এই সব মজার বাহক ছিলেন ম্যাজিসিয়ান, ম্যাজিক লন্ঠনওয়ালা, পটুয়া, পুতুল-নাচিয়ে, বাউল শিল্পী, বায়স্কোপওয়ালা, ব্যায়ামবীর ইত্যাদি বিনোদনকারীরা।
ম্যাজিক লন্ঠনওয়ালার নাম রহিমুদ্দি যে ‘হিরণ্যকশিপু বধ’, ‘দুর্যোধনের ঊরুভঙ্গ’ ইত্যাদি হিন্দু পৌরাণিক পালা আস্তিনে নিয়ে ঘোরে। পালাশেষে বিষ্ণু বা কৃষ্ণের নামে তার উচ্চকিত জয়ধ্বনিকে ছাত্ররা সুরসহ সম্পূর্ণ আত্মস্থ করে তার যে প্রয়োগ-বৈচিত্র্য দেখিয়েছিল তাঁকে বিশেষিত করার সাধ্য নেই এই আলোচকের।
পটুয়ারা যমের পট দেখিয়ে সহসা যখন গেয়ে উঠেন –
‘দোষ নিয়ো না, মাস্টাররাও ছাত্তরদের যম।
বেত্র হাতে শাস্ত্র পড়ান, পৃষ্ঠে দমাদ্দম।।’
কিংবা, পুতুল-নাচিয়ে যখন গান ধরেন – ‘ঘণ্টা বাজে ইস্কুলেতে কেলাস শুরু কই?
কেলাসেতেই হাট বসেছে খুশির অন্ত নাই –
তাই রে নাই রে না বাবা, তাই রে নাই রে নাই!’
তখন দাসদের সঙ্গে হাততালি দিয়ে রসগ্রহণ করতে আর্কনদেরও বিন্দুমাত্র বাধে না।
মাণিক্য দ্য গ্রেট (‘দ্য গ্রেট’ উপাধি আলোচকের দেওয়া, লেখক কোনো কারণে সেটা উহ্য রেখে দিয়েছেন) প্রথম থেকেই আহাম্মকের সঙ্গে আছেন। আলোচনায় তাকে টেনে আনার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু ইস্কুলের দেওয়াল পত্রিকার কথা এসে পড়ায় সেখানে প্রকাশিত তার একটি সাহিত্যকর্মের কথা না বললেই নয়। তবে এটা নেহাতই হিম-চূড়ার আভাস, মাণিক্যের আসল রূপ আমি পাঠকের জন্য বাঁচিয়ে রাখলাম।
দেওয়াল পত্রিকায় ‘স্কুলের প্রতি প্রেম নিবেদন করে চার চরণের পয়ার’ লেখার সহজ রাস্তায় তো আর মাণিক্য হাঁটতে পারে না! অতএব সে রচনা করল ‘পিঁপড়ে পোষার উপকারিতা’ শিরোনামে এক মর্মস্পর্শী নিবন্ধ। পিঁপড়ে যে মানবসভ্যতার এক পরম উপকারী প্রাণী, বিভিন্ন উদাহরণ সহযোগে সেই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করেই তাদের প্রতি মানুষের অত্যাচারের বিবরণে সে লেখে – ‘মায়েদের চিনির শিশিতে হানা দিয়ে কয়েক দানা চিনি খায় বলে তাদের তাড়ানো হয়, কেরোসিন তেল ঢেলে মারা হয়, বড়োরা চায়ের চিনির সঙ্গে কত পিঁপড়েকে নিষ্ঠুরভাবে গিলে খান।’ অবশেষে ‘পিঁপড়েদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করে তাদের গৃহপালিত জীবের মর্যাদা’ দেওয়ার দাবি ঘোষণার মাধ্যমে লেখাটি উপসংহার করে সে।
‘এ হেন তত্ত্ব ইস্কুলে সেনসেশন এনে দিল’। সেই সেনসেশনের বর্ণনা দেওয়া আলোচকের সাধ্য নয়। আমি বরং ক্লাস নাইনের এক মেধাবী ছাত্র, অমৃতর ‘ইলিনার তত্ত্ব’ উল্লেখ করি। এই তত্ত্বও দেওয়াল পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু অন্য ধরনের আলোড়ন তুলল। এই তত্ত্বের নাম শুনে পাঠকের যদি দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের কথা মনে পড়ে তবে তাঁকে দোষ দেওয়া যায় না। কারণ এই তত্ত্বের নামেই আছে দ্বন্দ্ব সমাস এবং সমাসবদ্ধ বস্তু দুটির উপাদেয়তা নিঃসন্দেহে, বস্তুবাদের উপাদেয়তা(যদি কিছু থাকেও)কে ম্লান করে দিতে বাধ্য। এই তত্ত্বের সঠিক স্বাদ পেতে হলে অবশ্য পাঠককে খুদকুড়ো ঘেঁটে একে বের করতে হবে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি এই দুটি মৌলিক তত্ত্ব প্রকাশিত হওয়ার পর দেওয়াল পত্রিকায় মৌলিক রচনার বান ডাকে, যেমন – ‘বালিশ-ব্যবহারের নানা পদ্ধতি, ভেকের ডাকের অর্থভেদ, বাংলা প্রবাদের ভ্রান্তি, গৃহপালিত জীবজন্তুদের ডাকের বাংলা অনুবাদ, কবি হওয়ার সহজ উপায়, বেত্র-ব্যবহার বিধি, উন্নত মানের ঘুঁটে প্রস্তুত প্রণালী…’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
এই লেখকের যে-বৈশিষ্ট্য পাঠকদের মুগ্ধ করবে, তা হল হাসি-মজার ভেতর থেকে চকিতেই গভীর দার্শনিকতার একটি ঝলক বের করে আনা। ম্যাজিক লন্ঠনওয়ালার ‘শব্দ প্রক্ষেপণ’ তাঁর আয়ত্বে। তিনি উদাত্ত, অনুদাত্ত এবং স্বরিত স্বরকে অবলীলায় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ফলত, ‘সাড়ে সতেরো মজা’র মধ্যেই তিনি ‘ছোট্ট নগররাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে বৃহত্তর পৃথিবীর দিগন্ত ছুঁয়ে দেখবার আকাঙ্ক্ষা’র কথা বলতে পারেন; বলতে পারেন ‘অনাদরের স্বাধীনতা’র মতো অনন্য দর্শনের কথা; বলতে পারেন রিপাবলিক থেকে সংগৃহীত ‘আঘাত পাওয়ার এবং সহ্য করার উপাদান’ গুলির কথা, যেমন বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ – ‘ভুলগুলো সব আন রে রে বাছা বাছা’…।
(শেষ)
বই : আহাম্মকের খুদকুড়ো
লেখক : দুর্লভ সূত্রধর
প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর্তী
অলংকরণ : দুর্লভ সূত্রধর
মুদ্রিত মূল্য : ২৮০ টাকা
প্রকাশক : সুপ্রকাশ
সুপ্রকাশের পক্ষ থেকে এই বইয়ের অংশবিশেষ নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘আহাম্মকের খুদকুড়ো পড়ার ভূমিকা-পুস্তিকা’।
এই লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন বিনামূল্যে, বন্ধুদের সঙ্গেও ভাগ করে নিতে পারেন।