ইতিহাসের পথে পথে : একটি ক্রিকেট আলেখ্য। পর্ব : একত্রিশ। লিখছেন সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
সফরের প্রথম ম্যাচে ২৯ শে অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান একাদশের বিরুদ্ধে মাত্র এক রানে জয়ী হয় ইংলিশ দল। মাইকেল হাসি, ম্যাথু ইলিয়ট আর সাইমন কাটিচ ছাড়া কোনও বড় ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার দলে খেলেনি এদিকে ইংলিশ দল মোটামুটি ৭/৮ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার খেলায়।
৩১ তারিখ পার্থে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ড্র হয়। আয়োজক দল প্রথমে ব্যাট করে কাটিচের ১১৬ ও ল্যাঙারের ৮৫ রানের সাহায্যে ৩৩৪/৮ তোলে। ম্যাট নিকলসন ৭৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ৩২১ রানে আটকে দেয়। রায়ান ক্যাম্পবেল (২০১৫/১৬ সালে হং কংয়ের হয়ে টি টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন) ১৪৬ করলে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ২৬৮/৩ তুলে ইনিংস ঘোষণা করলে ইংলিশ একাদশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮২। তাঁরা ১৯২/৪ তোলার পর ম্যাচ ড্র।
এডিলেটের তৃতীয় ম্যাচে (দ্বিতীয় প্রথম শ্রেণি) ইংল্যান্ড দাঁড়াতেই পারেন প্রথম ইনিংসে (১৮৭)। ব্লিওয়েটের ১৪৩ দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়াকে ৩২৫ এ পৌঁছিয়ে দেয়। কর্ক ৪৫ রানে ৪ উইকেট পান। জবাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। ৮০ রানে ৪ উইকেট থেকে ৪৫৭ ওঠে। থরপ্ অপরাজিত ২২৩ ও মার্ক রামপ্রকাশ অপরাজিত ১৪০ তোলেন।
১৩ ই নভেম্বর কুইন্সল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরু হয়। ফলি ৭১ আর হিলি ৫৭ না করলে কুইন্সল্যান্ড ২০৯ তুলতে পারতো না। এরপর অ্যাডাম ডেল ৩৩ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ১৯২ রানে আটকে দেয়। কেবল স্টুয়ার্ট ৫২ করেন। যদিও জিমি মাহেরের ৫২ রানও কুইন্সল্যান্ডের রান ১২৪ এর বেশি তুলতে দেয়নি, কিন্তু ওই রান তুলতে গিয়ে মাইকেল কাস্প্রভিচ (৬/৩১) ইংল্যান্ডকে ১০৬/৯ এ এনে দেন। ক্রফট ৯১ মিনিটে ৭৬ বলে ১৫ (০×৪) ও অ্যালান মুলালি ৭৮ মিনিটে ৬৫ বলে ২৩ (১×৪) তুলে দলকে জয়ী করান। শেষ উইকেটে ৭৮ মিনিটে ৩৬ রান ওঠে। টেস্ট ম্যাচের আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় দলের একের পর এক ধাক্কা সামলাতে জেরবার ইংল্যান্ড।
ব্রিসবেনে ২০ নভেম্বর প্রথম টেস্ট শুরু হলো। অস্ট্রেলিয়া ১৭৮/৫ থেকে ৩৬৫/৬ হলো স্টিভ ওয় (১১২) ও ইয়ান হিলি (১৪২)-র জন্য। ন’নম্বরে নামা ফ্লেমিং অপরাজিত ৭১ করলে শেষ অবধি অস্ট্রেলিয়া ৪৮৫ করে। মুলালি ১০৫ রানে ৫ উইকেট পান। এরপর বুচার ১১৬, থরপ ৭৭, মার্ক রামপ্রকাশ অপরাজিত ৬৯ ও হুসেন ৫৯ করায় ইংল্যান্ড ৩৭৫ করে। ম্যাকগ্রা ৮৫ রানে ৬ উইকেট নেন। অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৭/৩ তোলে। স্লেটার ১১৩ ও ল্যাঙ্গার ৭৪ করেন। ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল ৩৪৮। তারা নির্দিষ্ট সময়ে ১৭৯/৬ তোলে। ম্যাচ ড্র হয়।
পার্থের দ্বিতীয় টেস্টে ম্যাকগ্রা (৩/৩৭), ফ্লেমিং (৫/৪৬) আর জিলেসপি (২/৪৬) ইংল্যান্ডকে ১১২ রানে অল আউট করে। অ্যালেক্স টিউডোর (৪/৮৯) ও ড্যারেন গফ (৩/৪৩) অবশ্য অস্ট্রেলিয়াকে ২৪০ এর বেশি করতে দেয়নি। টেলর ৬১ করেন। এরপর জিলেসপি (৫/৮৮) ও ফ্লেমিং (৪/৪৫) ইংল্যান্ডকে ১৯০ রানে ফেলে দেয়। তাও হিক ৬৮ করেন বলে। অস্ট্রেলিয়া এক উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান তুলে নেয়।
তৃতীয় টেস্টের আগে মেলবোর্নে ভিক্টোরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র হয় ইংল্যান্ডের। স্টুয়ার্ট (১২৬), রামপ্রকাশ (৭৮) আর হিক (৬৭) ইংল্যান্ড একাদশকে ৩৭৩ এ টেনে নিয়ে যায়। জবাবে ভিক্টোরিয়া ৩০০ তোলে। তাও ৮৭/৫ হয়ে যাওয়ার পর শন ক্রেগ (অপরাজিত ৮৩) আর রোচ (৮০) এর জন্য। ডিন হ্যাডলি (জর্জ হ্যাডলির পৌত্র) ৫৮ রানে ৫ উইকেট পান। এরপর ইংল্যান্ড ২০৭/৫ তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয়। ক্রলি ৬৮ করেন। ২৮১ করলে জিতবে এই অবস্থায় ভিম্পানি (৭২), হজ (৫০) এর জন্য ২৪৫/৮ তোলার পর এডিলেটে ইংল্যান্ডকে যাওয়ার জন্য ম্যাচ ড্র করে দেওয়া হয়।
এডিলেট টেস্টে (১১-১৫ ডিসেম্বর) তৃতীয় টেস্ট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৩৯১ তোলে। ল্যাঙ্গার অপরাজিত ১৭৯, মার্ক টেলর ৫৯ আর স্টিভ ওয় ৫৯ করেন। হেডলি ৯৭ রানে ৪ উইকেট পান। জবাবে ম্যাকগিল ৫৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ২২৭ রানে আটকে দেন। হুসেন অপরাজিত ৮৯ ও রামপ্রকাশ ৬১ করেন। এরপর স্লেটার (১০৩), ল্যাঙ্গার (৫২) ও মার্ক ওয় (৫১) দলকে ২৭৮/৫ তুলে নেয়। এরপর ম্যাকগ্রা (৪/৫০), ফ্লেমিং (৩/৫৬), মিলার (৩/৫৭) ইংল্যান্ডকে ২৩৭ করেন। স্টুয়ার্ট অপরাজিত ৬৩ ও রামপ্রকাশ ৫৭ করেও ইংল্যান্ডের ২০৫ রানে হার আটকাতে পারেনি।
ক্যানবেরায় একটা ট্যুর ম্যাচ হয় প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে। সেটা ইংল্যান্ড ১৬ রানে জেতে। ইংল্যান্ড (২২৫/৮) তোলে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী দল (২০৯) তোলে মূলত ড্যানিয়েল মার্শের ৭৪ এর জন্য।
এরপরের ম্যাচ ছিল ঐতিহাসিক। অস্ট্রেলিয়ার এক দশকের প্রাধান্যের প্রাথমিক রূপ এখান থেকেই বিকশিত হয়। হোবার্টের সেই ম্যাচে (১৯-২২ ডিসেম্বর) ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৪৬৯/৬ তোলে। আর্থারটন (অপরাজিত ২১০) ও হিক (১২৫) দারুন ব্যাট করেন। জবাবে অধিনায়ক গ্রেগ ব্লিওয়েট অপরাজিত ১৬৯ ও ইলিয়ট ৮১ করলে অস্ট্রেলিয়া একাদশ ২৯৩/৪ তোলে। ইংল্যান্ড ৪৬.৫ ওভারে ১৯৯/৩ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। বুচার অপরাজিত ১০৩ ও ক্রলি ৬৩ করেন। অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭৮ ওভারে ৩৭৬ রান। ৩১ রানের মাথায় ইলিয়ট (৮) আউট হয়ে গেলে ব্লিওয়েট অপরাজিত ২১৩ ও কোরে রিচার্ডস অপরাজিত ১৩৮ করে ৫৫.২ ওভারে ১ উইকেটে ৩৭৬ তুলে ন’ উইকেটে জয়ী হয়। ম্যাচটায় প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া একাদশ ৫ জন অতিরিক্ত ফিল্ডার নামায় যার মধ্যে অ্যালান বর্ডার ও ছিলেন।
এই ম্যাচ সারা দুনিয়াকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় যে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় দলের যদি এই ক্ষমতা হয় তাহলে প্রথম দলের ক্ষমতা কতটা!
মেলবোর্নের চতুর্থ অর্থাৎ বক্সিং ডে টেস্টে ফল শুরুর দিকে একই রকম ছিল। ইংল্যান্ড প্রথম দিনেই ২৭০ রানে শেষ। ম্যাকগিল (৪/৬১) ও ম্যাকগ্রা (৩/৬৪) আটকে দেয় ইংল্যান্ডকে। স্টুয়ার্ট ১০৭ ও রামপ্রকাশ ৬৩ করেন। জবাবে স্টিভ ওয় অপরাজিত ১২২ করলে অস্ট্রেলিয়া ৩৪০ তোলে। গফ ৯৬ রানে ৫ উইকেট পান। এরপর হুসেন (৫০) ও হিক (৬০) ইংল্যান্ড কে ২৪৪ অবধি নিয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিল ১৭৫। ১০৩/২ থেকে তারা ১৬২ রানে শেষ হয়ে যায় কেবল হ্যাডলি (৬/৬২) এর জন্য। এটাই ছিল ছিল অ্যাঙ্গাস ফ্রেজারের শেষ টেস্ট।
ব্রিসবেনে কুইন্সল্যান্ড কাউন্টিকে একটা একদিনের দিন রাতের ম্যাচে ইংল্যান্ড হারিয়ে দেয় ৫৩ রানে। যদিও বাউরালে ব্র্যাডম্যান একাদশের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড ৫১ রানে হেরে যায়।
১৯৯৯ সালের ২ জানুয়ারি সিডনির পঞ্চম টেস্টে মার্ক ওয় ১২২ করলে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ৩২২ তোলে। হেডলি ৬২ রানে ৪ উইকেট নেন। ম্যাকগিল (৫/৫৭) ইংল্যান্ডকে ২২০ রানে আটকে দেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে স্লেটার ১২৩ করলেও অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১৮৪ করে। পিটার সাচ (৫/৮১) ও হ্যাডলি (৪/৪০) বিধ্বংসী বোলিং করেন। ২৮৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামলে ইংল্যান্ড মাত্র ১৮৮ তোলে। হুসেন ৫৩ করেন। ম্যাকগিল ৫০ রানে ৭ উইকেট নেন।
শুরু হলো অস্ট্রেলীয় যুগের। ভাবা যায় না, ম্যাকগিল ২৭ আর ম্যাকগ্রা ২৪টি করে উইকেট নেন, ওয়ার্নের অভাব অনুভূত হয় নি। স্টিভ ওয় ৪৯৮, স্লেটার ৪৬০, ল্যাঙ্গর ৪৩৬, মার্ক ওয় ৩৯৩ করেন। মোট ৮টা শতরান করেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। নাসের হুসেন ৪০৭ করেন একমাত্র ইংল্যান্ডের হয়ে। রামপ্রকাশ ৩৭৯ ও স্টুয়ার্ট ৩১৬ করেন। গফ কেবল ২১টি উইকেট নেন।
এটাই ছিল মার্ক টেলরের শেষ টেস্ট। এরপরে অধিনায়কের পদ পান স্টিভ ওয়। অস্ট্রেলিয়া এক নতুন যুগের বার্তা আনলো। পোস্ট কলোনিয়াল যুগের শেষ ও প্রকৃত নয়া উদারবাদী জমানার সূত্রপাত ঘটলো।
শুরুটা কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মোটেই ভালো হয়ে ছিল না। স্টিভ ওয় প্রথম সাতটি টেস্টের মধ্যে, দুটি টেস্ট তিনি জিতে যান, তিনটি টেস্ট তিনি হারেন এবং দুটি ড্র করেন। প্রথমেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চারটে টেস্ট সিরিজ দুই – দুইয়ে ড্র হয় , তার মধ্যে একটা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র এক উইকেটে যেতে, এরপর শ্রীলঙ্কায় খেলতে গিয়ে প্রথম টেস্ট হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া, বাকি দুটো ড্র করে। এরপর শুরু হয় তাদের স্বপ্নের দৌড়। প্রথমেই তারা হারায় জিম্বাবুইকে এক টেস্ট সিরিজে, তারপর নিজেরদের দেশের মাটিতে পাকিস্তানকে ৩-০ এবং ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হারায়, তারপর নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ হারায়, তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাঁচ টেস্ট সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে হারায়।
টানা পনেরটি টেস্ট ম্যাচে জিতে অস্ট্রেলিয়া ভারতে খেলতে আসে। ভারতে তাদের আগের অভিজ্ঞতা ভালো ছিলো না, এবারেও তাদের শুরুটা খুব একটা স্বাভাবিক না হলেও টেস্ট ম্যাচ জিততে তাদের সমস্যা হয়নি। বোম্বের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানের মধ্যেই ফেলে দেয়, তারপর নিজেরা ব্যাট করতে নেমে ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারালেও গিলক্রিস্ট এবং হেডেনের ১৯৭ রানের জুড়ি তাদেকে ২৯৬ পর্যন্ত টানে। তারা ৩৪৯ তোলে , ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২১৯ তোলে, শচীন দুই ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করলেও অস্ট্রেলিয়ার দশ উইকেটে জয় রোখা যায়নি।
টানা ষোলোটি টেস্ট জিতে বিশ্ব রেকর্ড করে অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়ার ঘোড়া এসে পৌঁছায় ইডেন গার্ডেনে। ইডেনের সেই দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ আজও ভোলবার নয়। অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করাতে নেমে ৪ উইকেটে ২৪৫ তোলার পর, হরভজন সিং হ্যাট্রিক করে অস্ট্রেলিয়ার রান ৮ উইকেটে ২৬৯ এ আটকে দেন। এই জায়গা থেকে মাইকেল কাসপ্রভিচ সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলের রান শেষ অব্দি ৪৪৫ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হন। ব্যাট করতে নামলে প্রথম ইনিংসে ১৭১ রানেই অল আউট হয়ে যায়। একমাত্র ভি.ভি.এস লক্ষন অপরাজিত ৫৯ করেন। এরফলে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে এগিয়ে গিয়ে ভারতকে ফলো অন করে। ফলো অন ইনিংসে ২৩২ রানে ৪ উইকেট পরে যাওয়ার পর রাহুল দ্রাবিড় এবং ভি.ভি.এস লক্ষণ পঞ্চম উইকেটে ৩৭৬ রানে ম্যারাথন পাটনারশিপ দিয়ে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ৬৫৭ওঠে । অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে হরভজন সিং এর বিধ্বংসী বোলিং অস্ট্রেলিয়াকে ২১২ রানে অল আউট করে দেয় । ভারত ১৭১ রানে টেস্টে যেতে, অস্ট্রেলিয়া তিন ইনিংসে ২১২ রান করেছিল, হরভজন দুই ইনিংসে উইলিয়ামের ১৩ টি উইকেট নেয় ও শচীন তেন্ডুলকর দুর্দান্ত বোলিং করে তিনটি উইকেট নেন।
১৬ টি টেস্ট টানা জয়ের রথ থামিয়ে দিয়ে ভারত যেমন নতুন ভাবে ভাবতে শিখছিলো যে তারাও বিশ্বের রথী মহারথী দলকে হারিয়ে দিতে পারে টেস্ট ম্যাচে সেইরকম অস্ট্রেলিয়ারও টানা ১৬ টি টেস্ট জয় দেখিয়ে দিয়েছিল এবং ভারতের মাটিতে প্রথম টেস্টের জয় এবং দ্বিতীয় টেস্টের দীর্ঘ সময় ধরে প্রাধান্য দেখিয়ে দিয়েছিল যে তারা আগামী দশকটা শাসন করতে চলেছে।
(ক্রমশ)