উড়নচণ্ডীর পাঁচালি। পর্ব ১০। লিখছেন সমরেন্দ্র মণ্ডল
মজনুর শিরির গান
আছিই যখন কদিন, তখন শহরের আনাচ-কানাচে একটু উঁকি মেরে যাই। হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে চলেছি। পাত্রবাজারের মধ্যে দিয়ে। তখনই দেখি মজনু এগিয়ে তার স্বভাব-ভঙ্গিমায়। ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত, চোখে চশমা, বাবরি চুল, কপালের ওপরের চুল সরে গিয়েছে অনেকখানি। কাঁধে কাপড়ের ঝোলা। হাঁটছেন, তিনি হাঁটছেন। শহরের রাজপথ মাড়িয়ে এগিয়ে চলেছেন কবি মজনু মোস্তাফা। ওই ঝোলায় হাত দিলে নিশ্চয় পাওয়া যাবে তার কবিতার ডায়েরি।
মজনু নামটা ষাট, সত্তর, আশির দশকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত শহরকে আলোড়িত করেছিল। কবিতায় ছিল সরলতা। আরবি-ফার্সি শব্দ ব্যবহার করতে ভালবাসতেন। পেশায় ছিলেন ইংরেজির শিক্ষক। নেশায় কবি। আরেকটা নেশাও ছিল। রাত একটু বাড়লে অথবা না বাড়লে তিনি আসবাসক্ত হতেন। তখন তিনি উদ্দাম। বয়সের শিকল খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিতেন শহরের পথে। বুকের ভিতর জমে থাকা সমস্ত অভিমান ক্রন্দন হয়ে ছড়িয়ে পড়ত। বামপন্থায় ছিল বিশ্বাস, আবার বামপন্থার তীব্র সমালোচকও বটে। শহরের এক এক মানুষের কাছে তার এক এক গল্প। তার পৃথিবী ত্যাগের চল্লিশ বছর পরেও তিনি একই রকম সজীব শহরের বৃত্তে। একটু উসকে দিলেই শোনা যাবে তার কাণ্ড কারখানা। জাত বোহেমিয়ান। আমি বলি উড়নচণ্ডী। তিনি বলতেন রাঁবো ছিল তার প্রিয়। রাঁবোর মতোই তিনি উদ্দাম।
ভনিতা ছেড়ে গল্পে আসি। পলিটেকনিক কলেজে প্রথম বছরের ছাত্র। কলেজ তখন বামপন্থীদের আতুঁর ঘর। তিন-চার রকম বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। বাম, উগ্রবাম, মধ্যবাম। তা ওই কলেজেরই এক ছাত্র আমায় ধরলে একদিন। সেবার কলেজে নাটক হয়েছিল। তাতে একটা পার্ট পেয়েছিলাম। প্রশংসাও পেয়েছিলাম। অনেকে আমাকে সেই অভিনীত চরিত্রের নামেই ডাকত। তারও আগে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বলেছিলাম কবিতা। ফলে চিনেছিল আমাকে অনেকেই। সুবীরও চিনেছিল। আমার থেকে এক স্তর উঁচুতে পড়ে। লম্বা চেহারা, চোখে মোটা কাচের চশমা। একদিন কলেজে ধরল আমায়, বিকেলের দিকে কি কর?
–কেন?
–আমাদের একটা সাংস্কৃতিক গ্রুপ আছে, এসো না একদিন।
–কি হবে?
–গানের একটা দল হবে, নাটক করা হবে। কবিতা চর্চাও হবে।
একটু ভেবে উত্তর দিলাম, যাবো।
কোনও এক রবিবার বিকালে যাওয়ার কথা বলেছিল, জজ কোর্টের পিছনে একটা হলুদ রঙে বাড়ি। সামনে লোহার ঘোরানা সিঁড়ি। এই সিঁড়ি বেয়ে দোতলায়। বসে আছে জনা দশেক যুবক-যুবতি। সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল সুবীর। সুবীর বোস। বুঝলাম সেই নেতা। নানা কথা হচ্ছে। কিছু শুনছি, কিছু শুনছি না। কথা চলছে, এমন সময় ঝড়ের মতো ঢুকলেন ওই বাবরি চুল, চশমা চোখে মানুষটা। সুবীর বলল, এই তো নির্মাল্যদা এসে গেছে।
মানুষটাকে দেখে মনে হল নাটকের। আবার মনে হল নেতা হতে পারে।
তিনি কিছু শুনলেন, কিছু বললেন। এটুকু জানলাম তিনি নির্মাল্য ভট্টাচার্য। কবিতা লেখেন। অভিনয় করেন। হ্যাঁ, মনে পড়ল ‘নীচের মহল’ নাটকেই সম্ভবত তার অভিনয় দেখেছিলাম। কিছুক্ষণ থাকার পর, যখন সুবীর পরিচয় করিয়ে দিল, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কবিতা লেখো?
–চেষ্টা করি। আলগোছে উত্তর দিলাম।
উনি বললেন, চলো।
সভার মাঝ পথেই তার সঙ্গে বেরিয়ে এলাম। আমারও অস্বস্তি হচ্ছিল। শুধু কথা হচ্ছে। ফিকির খুঁজছিলাম বেরিয়ে আমার। নির্মাল্যবাবু বলতেই এক পায়ে খাড়া। ঘোরানো সিঁড়ি দিয়ে আবার নীচে। শুরু হল হাঁটা। উনি বললেন, এখানে আসার দরকার নেই। এরা সি পি আই করে। এক সময় আমিও করতাম। এখন করি না। আমার দাদা করে। তুমি তো কবিতা লেখো। কবিতা নিয়ে আমার বাড়িতে চলে আসবে। কবিতা শুনব।
একটা চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, চা খাও।
চা পানের পরে বলে ফেললাম, নির্মাল্যবাবু, আমি তাহলে আসি? আসলে আবাল্য মিশনারি স্কুলে পড়ার জন্য এমন সম্ভাষণে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার মুখের দিকে চেয়ে বললেন, বাবু নয়, দাদা বলবে।
তারপর আর কোনও কথা না বলে মুখের দিকেই তাকিয়ে রইলেন। আমি কি বলব বুঝতে পারছি না। উনি হঠাৎ ‘ঘ্যাচ্চো’ বলে হাঁটা দিলেন পাত্রবাজারের দিকে। আমি ভ্যাবাচ্যাকা। কিয়ৎক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে হাঁটা দিলাম ওই পথেই।
তার বেশ কিছুদিন পর ‘দ্বন্দ্ব’ মিনি পত্রিকার লেখা সংগ্রহ করতে যেতেই হলো তার বাড়ি। সম্পাদক শতদল দত্ত বলেছিল, মজনু মোস্তাফার একটা কবিতা জোগাড় কর। কিন্তু আমি তো মজনুকে চিনি না। কোনও কবিকেই তো চিনি না। সুধীরবাবুর কাছ থেকেই কেবল মাত্র একটা লেখা নিতে পেরেছি। মুস্কিল আসান করলেন বৃন্দাবন গোস্বামী। তিনি স্বাস্থ্য দপ্তরে কাজ করতেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা তখন বাড়ি বাড়ি যেতেন কারও কোনও বড় রকমের অসুখ-বিসুখ আছে কি না জানতে। দরজায় লাল-নীল পেন্সিলে পরিদর্শনের তারিখ লিখে রাখতেন। তার সঙ্গে কথায় কথায় জেনেছিলাম, তিনি কবিতা লেখেন। তার কাছ থেকেই হদিশ পেলাম মজনু মোস্তাফার বাড়ি। জানলাম নির্মাল্য ভট্টাচার্য্যই মজনু মোস্তাফা।
একদিন বুক ঠুকে চলে গেলাম। সেও এক রোববার সকাল। এক পাত্র চা পেলাম। সঙ্গে চারলাইনের কবিতা। ক্রমশ বাড়ল ঘনিষ্ঠতা। তারপর রঙিন স্মৃতির কার্পেট পাতা হতে লাগল। মাঝে মাঝেই, কোনও কোনও রোববার চলে যেতাম মজনুদার বাড়ি। ওখানেই আলাপ হয়ে গেল হরিপদ দে আর শ্যামল রায়ের সঙ্গে। আগেই ‘বর্ণিণী’ নামে এক শারদসংখ্যায় হরিপদ দে-র গল্প ‘তিনটি হরিণ শিশু’ পড়েছিলাম। ভিতরে ভিতরে লেখকের সঙ্গে আলাপ করার ইচ্ছে ছিল। হয়ে গেল। শ্যামলদা তখনও বোধহয় অধ্যাপনায় যোগ দেননি। লিখতেন কবিতা, প্রবন্ধ। মজনুদার বাড়িতে জমায়েত হতেন এরা। চলত কবিতা পড়া, গল্পগাছা। তবে বেশিক্ষণ নয়। ঘন্টা খানেক বা দেড়েক। তারপর সদলে বেরিয়ে পড়তেন ওরা। আমি দলছুট হয়ে বাড়ির পথে।
ক্রমশ মজনুদার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ল। যেমন সকলেরই বাড়ে। ব্যাগে থাকত কবিতার ডায়েরি। দেখা হলেই কোথাও না কোথাও বসে কবিতা শোনাতেন। ততদিনে বেরিয়েছে তার কবিতার বই ‘ঊনিশ যন্ত্রণা’। বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল কবিতাগুলি। অনেকেরই মুখে মুখে ঘুরত তার কবিতার পংক্তিগুলো। মাঝে মধ্যেই চলে আসতেন কলকাতায়। কফি হাউস সেরে সটান খালাসিটোলায়। ততক্ষণে সেখানে শক্তি হাজির। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। সুনীল গাঙ্গুলিও থাকতেন অনেক সময়। সেখানে চলত ছোট-বড় কবিদের জলকেলি। সেইসময় প্রায়ই দেখা যেত কলকাতার রাজপথে মধ্যরাতে তিন কবি হেঁটে যাচ্ছে ‘পা টলমল পা টলমল’। মজনুও টলটলায়মান হয়ে রাত মধ্য হওয়ার আগেই ফিরে আসতেন নিজের শহরে।
রাত ঘুরে সকাল হতেই মজনু তখন কর্তব্যপরায়ণ। তার দুই কন্যার পড়াশুনোর তদারকি। স্কুলে যাওয়া। ছাত্র পড়ানো। এমন কি স্কুলের পরেও বিনা বেতনে গ্রামের দু-চারজন ছাত্র পড়িয়ে বা অনুপস্থিত ছাত্রের বাড়িতে খোঁজখবর নিয়ে ফিরতেন শহরে। মাষ্টারি করতেন জেলার শতাব্দী প্রাচীন স্কুল চাপড়া কিংএডোয়ার্ড হাইস্কুলে। সেই স্কুল আজও তাকে স্মরণ করে। এ হেন ছাত্রবৎসল, কর্তব্যপরায়ণ শিক্ষক শহরে পা রাখলেই আদ্যন্ত কবি। কখনও লেখরাজদার চায়ের দোকানে, কখনও পাত্রবাজারে শোভন মুদ্রণীতে পা রাখতেন আড্ডার মেজাজে। বেশিক্ষণ বসতেন না কোথাও। আবার বেরিয়ে পড়তেন অন্য কারো খোঁজে। সন্ধের পর ঈষৎ তরলে অভ্যস্ত ছিলেন। আর সম্ভবত সেই তরলই তাকে ছুটিয়ে নিয়ে বেড়াতো। কখনো একা, একেবারে একা। কৃষ্ণনগর কলেজের সামনের হামুখ মাঠে অন্ধকারে একা বসে থাকতেন। উপভোগ করতেন অন্ধকারের সৌন্দর্য। আবার কখনো আমাদের মতো দু-একজন উড়নচণ্ডীকে পাকাড়াও করে চলে যেতেন কলেজ মাঠে, কখনও কারবালার মাঠে। বসে থাকতেন। অন্ধকারের মধ্যে ভেসে থাকা প্রকৃতির আলো গায়ে মেখে বলতেন কবিতার কথা, কবিদের কথা। বেশিরভাগই ইংরেজ কবিদের কথা বা ফরাসি কবিদের কথা। কেটে যেতো অনেকটা সময়। দূরে কোথাও কুকুর ডাকলে উঠে ধুলো ঝেড়ে হাঁটা দিতেন বাড়ির পথে দ্রুত পায়ে।
জাত বোহেমিরান ছিলেন মজনুদা। আমাদের লব্জে উড়নচণ্ডী। স্কুলের দীর্ঘ ছুটির সময়গুলো তিনি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতেন। ভর দুপুরে তালের রস খেলে যে মৌতাত তৈরি হয়, তেমনই মৌতাতে বাদশার মেজাজে থাকতেন। চলে যেতেন এদিক সেদিক দু-চারজন কবিকে সঙ্গে নিয়ে। এভাবেই একদিন চলে গিয়েছিলেন দেবগ্রামে দুই কন্যার বাড়ি। কোথাও বুঝি আলাপ হয়েছিল। সম্ভবত কোনও কবি সভায়। দুই বোনের সৌন্দর্য মজনুকে মাতাল করে দেয়। যে কোনও আছিলায় চলে যেতেন। দু-একবার উড়নচণ্ডীও সঙ্গে গেছে। ওদের একজন লিখতেন কবিতা, অন্যজন গল্প। বড়টির প্রতি মজনুর তীব্র আকর্ষণ তাকে দিয়ে লিখিয়ে নিল কবিতা। সিরিজ কবিতা, ‘শিবানী শিরিন গান’ নামে সেই কবিতা জেলার কবিদের অনেকখানি তাজা বাতাস দিয়েছিল।
আড্ডায় মজনুর ঢুকে পড়া মানেই একমুটো মিঠে বাতাস ছড়িয়ে দেওয়া। সে তিনি চা পানেই থাকুন বা মদ্যপানেই থাকুন। বিরক্ত তো দূরের কথা, নতুন কবিতা শোনা, কবিতার কথা শোনার নেশাটা বেড়ে যেতো। কোথাও কবি সভার আমন্ত্রণ পেলেই দল জুটিয়ে নিয়ে চেল যেতেন। কবিতা পড়তে নয়, যেন প্রমোদ ভ্রমণে যাওয়া হচ্ছে।
তখন বাংলা জুড়ে জনমুক্তির লড়াই চলছে। একদিকে সদ্য গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের চাপ, অন্যদিকে বাতাসে বারুদের গন্ধ। এমনই একদিনের প্রথম প্রহরে হন হন করে হেঁটে যাচ্ছেন রাস্তা দিয়ে। রাস্তার অপর পাড় দিয়ে হাঁটছি উল্টোমুখো। দুজনের গতি একই রেখায় আসতেই রাস্তা টপকে মজনুর মুখোমুখি। খুব সর্ন্তপণে বললেন, এপাশে সরে এসো। কথা আছে।
মুখে ভয়ের ছাপ। বললেন, ওরা ডেকেছিল। কেন ডেকেছিল বল তো?
–কারা ডেকেছিল?
–ওই যে ওরা। আহা বিপ্লবীবাবুরা।
–কি বলল?
–ওরা আমার কবিতা পড়ে, বুঝলে? বলল এসব কি লিখছেন ? শুধু প্রেমের কবিতা লিখলে হবে? ঠিক করেছি। এখন বিপ্লবী কবিতা লিখবো। দুটো লিখে ফেলেছি। শুনবে?
পথের পাশে এক বন্ধ দোকানের ছায়ায় দাঁড়িয়ে তার বিপ্লবী কবিতা শোনা হল। কবিতার খাতা বন্ধ করে, ব্যাগে রেখে বলল, চলি। কলকাতায় যাচ্ছি।
আবার হন হন করে হাঁটা দিলেন তিনি। আমি দাঁড়িয়ে দেখছি। তিনি হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লেন। এগিয়ে এলেন। দাঁড়ালেন। ‘ঘ্যাচ্চো’ বলেই আবার পিছন ঘুরে চলে গেলেন। এই ঘ্যাঁচ্চো শব্দ প্রায়শই প্রয়োগ করতেন। কোনও কিছু অপছন্দ হলেই ঘ্যাঁচ্চো বলে হাঁটা লাগাতেন।
শহর মাতিয়ে রাখা মজনুকেও চলে যেতে হল অকস্মাৎ। তখনও তিনি অবসর নেননি। কবি বন্ধুদের সঙ্গে কোনও এক গ্রামে বেড়াতে গিয়ে সেখানেই নিজের দেহ ছেড়ে অন্য কবিতার জগতে চলে গিয়েছিলেন। তার আত্মজনেরা, গুণগ্রাহীরা, কবিরা আয়োজন করেছিল স্মৃতিবাসরের। গঠন করা হয়েছিল মজনু মোস্তাফা স্মৃতিরক্ষা কমিটি। বেরিয়েছিল একটি সংকলন গ্রন্থ। শান্তিপুর কলেজের অধ্যাপক প্রসূন মুখোপাধ্যায় ছিলেন সেই স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি। তিনিই মূলত সংকলন গ্রন্থটির সম্পাদক ছিলেন। তবে সমগ্র কাজটি করেছিল তরুণ কবি শতঞ্জীব রাহা। শতন তখন তো কবিতাই লিখত। মাঝে মাঝে গল্প লিখত। শতন একদিন বলল, মজনুদার লেখাগুলো দিয়ে একটা প্রচ্ছদ করো তো।
প্রেস থেকে মুদ্রিত কবিতা, গদ্যের প্রুফ নিয়ে এসে করেছিলাম প্রচ্ছদ। শতন তার উপর আঁকিবুকি করল। মজনুদার ছবি আটকালো। বঙ্গরত্ন মেসিন প্রেস থেকে ছাপা হলো বই। বিক্রিও হল ভালো। কথা ছিল, অর্থ সংগ্রহ করে মজনু সমগ্র বের হবে। মজনুদার স্ত্রী শান্তি ভট্টাচার্যও ছিলেন সেই কমিটির শীর্ষে। কিন্তু জানি না, কার বা কাদের অবহেলায় সব কাজ স্থগিত হয়ে গেল। ক্রমশ অবলুপ্ত হয়ে গেল স্মৃতিরক্ষা কমিটি। কিন্তু মজনু হারিয়ে যাননি। আজও তিনি পরিচিত ভঙ্গিতে হেঁটে যান কবিতার পথ মাড়িয়ে।
(ক্রমশ)