অক্ষর-চরিত্র ও জ্ঞাপন-বাণিজ্য : এক অন্তহীন এপিটাফ। পর্ব ১৮। অনন্ত জানা

পোস্টার : সাতকাহন পেরিয়ে
এক : দেয়ালের সখা
কবি শামসুর রাহমান লিখেছিলেন : ‘পথে বেরুলেই পড়ে চোখে। সকাল দুপুর কিংবা / বিকেলের খরচা-হ’য়ে যাওয়া চোখে অত্যন্ত গোচরে / আসে ওরা, যেমন দোকানপাট, রাস্তার কুকুর, / রঙিন সাইনবোর্ড, কৃষ্ণচূড়া, গম্ুজের পায়রা অথবা / ট্রাফিক পুলিশ। বুকজোড়া দাবিদাওয়ার নানা / উল্কি নিয়ে ওরা স্পষ্ট উপস্থিত দেয়ালে দেয়ালে, / প্রগ্্লভ পোস্টার, বারো মাস তেরো পার্বণের লাজ / এই শহরের, রৌদ্রে জলে চেয়ে থাকে অপলক।’
পোস্টারের সর্বজনীনতা শামসুর রাহমানের উচ্চারণে এইভাবে স্বীকৃতি পায় : ‘এবং চলতি পথে বেকার যুবক, বাসযাত্রী কেউ কেউ, / ক্লান্ত কবি, মেজো সেজো কর্মচারী নানা দপ্তরের, / সিনেমাগামিনী তন্বী, ফেরিঅলা, দুস্থ বুড়োসুড়ো / লোক, ভিড়ভাট্টা অপছন্দ যার―সবাই পাঠক / দারুণ মুখর সব পোস্টেরর। জলজ্যান্ত কিছু / অক্ষর নক্ষত্র হয়ে ভাসে তাদের িনজস্ব নীলিমায়।’ ( পোস্টার, আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি : ১৯৭৪)
পোস্টারের যে সর্বজনীন এক কৌলীন্যগত ঐতিহ্য আছে, সে-বিষয়েও সুমনের কোনো সন্দেহ ছিল না।
কিন্তু পোস্টারের সূত্রে শিবেন আর যতীশের হাত ধরে নতুন উদ্্বেজনে আক্রান্ত হলেন তিনি।
মাঝে মাঝে এমন ‘দিয়াল-ফাঁকাতে যাওয়া ছাড়াও যতীশরা আরও সমস্যার সৃষ্টি করে। প্রায়শই পোস্টার লেখার বরাত নিয়ে এসে রাত-বিরেতে চড়াও হতে থাকে সুমনের এই সুপরিসর বারঘরের এক-পল্্লা সিমেন্টের মেঝেতে। তাঁর কাছে শেখা দেশলাইয়ের খাপ ভাঙা বা পুরোনো বাতিল তুলির কোণা কেটে তাই দিয়ে পোস্টার লেখায় বেজায় উৎসাহ তাদের। এসব দিয়ে কম খরচে খুব তাড়াতাড়ি কাগজে অনেক পোস্টার লিখে ফেলা যায়। কলকাতা থেকে লিথোগ্রাফে কিংবা এক কালার অফসেটে অনেক পোস্টার ছেপে আনার পয়সা কোথায়? তাছাড়া স্থানীয় অনুষ্ঠান-টনুষ্ঠানের জন্য বেশি পোস্টারের দরকারও পড়ে না। রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য গোটাকয় ওয়ালিংয়ের পর আর পোস্টার মারার তেমন প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র নানাবিধ দাবি-দাওয়া আর আকর্ষণীয় শ্লোগানগুলো লিখে চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অল্প সময়ে ও খরচে ছোটোমাপের বহুরঙা পোস্টার বেশি পরিমাণে লিখতে শুরু করেছিল শিবেনরা।
আসলে ‘রাস্তার শিল্প’ হিসেবে পোস্টার বলতে গেলে দেয়াললিপির সহোদর। দেয়াললিপি, পোস্টার ও সাইনেজের মধ্যে কেউ যদি অভিধা নির্ধারণে গুলিয়ে ফেলেন তবে তাঁকে খুব বেশি দোষ দেওয়া যাবে না। পোস্টারের বয়সেরও গাছ-পাথর দেয়ালের অনেকটা গভীরে তার শিকড়-বাকড় বিস্তার করে দিয়েছে।
পোস্টারের ঐ শিকড়ের সন্ধানে প্রাকৃতিক অগ্নিরোষে ধ্বংসপ্রাপ্ত সেই দুই নগরী পম্পেই ও হেরকুলেনিয়াম-এর ধ্বংসস্তূপ খননের ফলে উদ্ধার পাওয়া ইতিহাসের কাছেই হাত পাততে হয়। এই দুই শহরের ধ্বংসাবশেষ থেকে পোস্টার শিল্পের ‘সম্পন্ন ঐতিহ্যে’র যে বিপুল-সংখ্যক উদাহরণ তুলে এনেছে তার একটা সংক্ষিপ্ত হিসেব এবং আরও কিছু তথ্য পাওয়া যায় মুহম্মদ সবুর লিখিত একটি নিবন্ধে (২০০৯)। পম্পেই ও হেরকুলেনিয়াম-এ প্রাপ্ত পোস্টারের অধিকাংশই নির্বাচনী পোস্টার। এছাড়া আছে বিজ্ঞপ্তি বা নোটিশ জাতীয় প্রজ্ঞাপন, বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন, প্রদর্শনী, সরাইখানার বিজ্ঞাপন, জমিভাড়া বা বিক্রির বিজ্ঞপ্তি, গণস্নাগারগুলির দেয়ালে হারানো-প্রাপ্তি-নিরুদ্দেশজাতীয় পোস্টারে হারানো বস্তু উদ্ধার করতে পারলে উদ্ধারকরীর জন্য পুরস্কার ঘোষণা ইত্যাদি নানা ধরনের পোস্টারে ছয়লাপ ছিল এই দুই বাণিজ্য-নগরীর দেয়াল। পম্পেই নগরীর একটি বাড়ির দেয়াল পোস্টার লাগানোর জন্য এত ঘনভাবে ব্যবহৃত হয়েছে যে অনুমান করা যায় যে, এখন বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য যেমন স্পেসের ভাড়া দিতে হয়, তখনও তা দিতে হতো। আবার এমনও হতে পারে ইংলন্ডে ফ্রান্সে যেমন বিজ্ঞাপনের বাড়াবাড়ি রোধের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, তেমনই প্রাচীন এইসব নগরীতেও বিজ্ঞাপন সাঁটানোর জন্য স্থান নির্দিষ্ট ছিল। নিশ্চিতভাবে পোস্টারের জন্য জনবহুল স্থানই নির্দিষ্ট ছিল। ‘পম্পেই অ্যান্ড হেরকুলেনিয়াম : এ সোর্সবুক’ গ্রন্থে নির্বাচন ও পোস্টার বিষয়ক তথ্যাবলী মুখ্যত ‘পলিটিক্স অ্যান্ড পাবলিক লাইফ’ অধ্যায়ে এবং ‘পম্পেই : ইটস্্ লাইফ অ্যান্ড আর্ট’ গ্রন্থে গুরুত্বপূর্ণ পোস্টারের কথা দি অ্যাম্ফিথিয়েটার’ (উন্মুক্ত স্থানে বিনোদন খেলাধুলার জন্য বসার ব্যবস্থাসহ বৃহৎ গোলাকার বা ডিম্বাকৃতি সংরক্ষিত প্রদর্শনক্ষেত্র। পম্পেই-এর অ্যাম্ফিথিয়েটারকেই প্রথম অ্যাম্ফিথিয়েটার বলে মনে করা হয়) অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে। আর পোস্টার তো ফর দি পিপ্্ল অব দি পিপ্্ল !
নেপলসের জাতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ‘পম্পেইয়ের রাস্তাগুলি শহরের প্রধান ধমনী বরাবর সরকারি ও বেসরকারি ভবনের দেয়ালে, যার মধ্যে রয়েছে সমাধিসৌধের কাছাকাছি, তুলি এবং লাল বা কালো রঙ দিয়ে তৈরি হাজার হাজার লিপি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এই লেখাগুলির মধ্যে ২,৬০০ টিরও বেশি, এখন আমরা যাকে নির্বাচনী প্রচারণা বলব তার একটি আশ্চর্যজনক দলিল।’ নির্বাচনী পোস্টারগুলি পম্পেই শহরের রাষ্ট্রীয় ও নগরব্যবস্থার প্রাণবন্ততা এবং সীমিত হলেও গণতান্ত্রিক প্যাটার্নের পরিচয় দেয়। কেউ কেউ সঙ্গতভাবেই অনুমান করেছেন এই সমস্ত যত্নশীল হরফ নির্মাণের রূপকারেরা পেশাদার সাইনশিল্পী ছিলেন। (আন্তোনিও মার্কো মার্টিনেজ : ২০১৪)
পোস্টার শিল্পের শুরুর যুগের সম্ভবত সবচেয়ে স্বীকৃত শিল্পী ছিলেন ইতালিয়ান শিল্পী এমিলিয়াস সেলের (পুরো নাম পাবলিয়াস এমিলিয়াস সেলের) পম্পেই-এর সুপরিচিত শিল্পী ছিলেন। নির্বাচনী পোস্টার লিখেছেন তিনি, দেয়ালে, বিজ্ঞপ্তিও। সেসময়ে পোস্টারে টেক্সটের পর্যাপ্ত ব্যবহার ছিল। সেলেরের পোস্টারেও। সেলের অঙ্কিত গ্ল্যাডিয়েটর শো-এর পোস্টারে বয়ান ছিল এই রকম : ‘টুয়েন্টি পেয়ারস অব গ্ল্যাডিয়েটরস ফার্নিশড্ বাই ডেসিমাস লুক্রেটিয়াস স্যাট্রিয়াস ভ্যালেন্স, পার্মানেন্ট প্রিস্ট অব নিরো, সন অব দি এম্পেরর, অ্যান্ড টেন পেয়ারস্্ অব গ্ল্যাডিয়েটরস ফার্নিশড্ বাই ডেসিমাস লুক্রেটিয়াস ভ্যালেন্স হিজ সন, উইল ফাইট অ্যাট পম্পেই এপ্রিল ৮, ৯, ১০, ১১ অ্যান্ড ১২। দেয়ার উইল বি এ বিগ হান্ট অ্যান্ড অনিং। এমিলিয়াস সেলের রোট দিস, অল অ্যালোন বাই দি মুন।’ (অগুস্ত মাও : ১৮৯৯) অর্থাৎ সেলের চাঁদের আলোয় একা এটি রচনা করেছিলেন। এখানে নিরোর উল্লেখ দেখে অগুস্ত মাও অনুমান করেছেন যে, এই ঘোষণাপত্রটি ৫০ খ্রীস্টাব্দ থেকে ৫৪ খ্রীস্টাব্দের মধ্যে রচিত। কেননা নিজের চতুর্থ স্ত্রী এগ্রিপ্পিনা দি ইয়ংগারের পুত্র নিরোকে রোমান সম্রাট ক্লডিয়াস দত্তক নিয়েছিলেন খ্রীস্টীয় ৫০ খ্রীস্টাব্দে এবং ক্লডিয়াস মারা গিয়েছিলেন ৫৪ খ্রীস্টাব্দে।
সেলের তাঁর সৃষ্টিকর্মের সঙ্গে নিজের নাম লিখে দিতেন, কখনও কখনও ঠিকানাও। অগুস্ত মাও-এর মতে সেলের ছিলেন একজন উদ্যোগী পেইন্টার। হয়তো সেই কারণেই তিনি গ্রাহক বা খরিদ্দারদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নিজের নাম ও কখনও কখনও বাড়ির অবস্থানের কথাও উল্লেখ করেছেন পোস্টারে। অগ্নিগ্রাসিত পম্পেই-এর ধ্বংসস্তূপ খননের ফলে শহরের নবম রিজিয়নের উত্তর-পূর্ব কোণে সেলেরের বাড়িটি আবিষ্কৃত হয়েছে যার দেওয়ালে লেখা আছে―‘এমিলিয়াস সেলের এই বাড়িতে বাস করেন।’ (অগুস্ত মাও : পৃ. ৪৭৬)
দুই : গঞ্জদেশে পোস্টারের দুই কাহন
কিন্তু এই গঞ্জে বহু-সংখ্যক পোস্টার বলতে সিনেমার পোস্টারকেই বোঝায়। এখানে একটিই মাত্র সিনেমা হল। হল ঠিক নয়, আগে ছিল আলুর গুদাম। সদরের আলু-কিং কমল গুছাইত সদর আর মহকুমার মাঝামাঝি এই গঞ্জের গুদামে বর্ধমান আর হুগলি থেকে আনা আলু মজুত করে দশটা হাটে, সাবেক বিহার বা এখনকার ঝাড়খণ্ডে সাপ্লাই করতেন। এখন এই রাঢ়ীয় অঞ্চল এবং সংলগ্ন মল্লভূমে প্রচুর আলু উৎপাদিত হওয়ায় মাঝারি ব্যাপারিরাও স্থানীয় আলু ছোটাহাতি বা ম্যাটাডোরে করে দিনের-দিন নিয়ে এসে খুচরা কারবারিদের দিয়ে দেয়। কমল গুছাইত পয়সাওয়ালা উদ্যোগী মানুষ। বিপাক বুঝে গুদামটাকে ঝেড়ে-ঝুরে তিনি সিনেমা হলে পরিণত করেছেন। হাটের দিনে ম্যাটিনি, পুজোপার্বণের দিনে ইভনিং, আর প্রতিদিনই নেশাড়ুদের নিয়ে নাইট শো-এর ‘শীলা কী জওয়ানি’-মার্কা ছবি মোটামুটি ভালোই চলতো। মাঝে বাজারের পাশে ঝাঁপের ঘরে একটা ভিডিও হল গজিয়েছিল―তখনই সেটা গেছে। ঘরে ঘরে টিভির প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও তখনও গুছাইতবাবুর সিনেমা হল (হাটুরেদের ভাষায় ‘সিনেমিনা’) চলেছে, এখনও চলছে। পুরোনো প্রজেক্টারটা আছে কীনা কে জানে! এখনও ভ্যানে মাইক লাগিয়ে গঞ্জের একমাত্র মাইকের দোকান ছড়িদার সাউন্ডস্্-এর মালিক কাম কর্মচারি কাম অ্যানাউন্সার ফটকে ছড়িদার ইয়ারলি ‘কনটাক্’-অনুযায়ী প্রত্যেক দিন সকালে গঞ্জ এবং তার দিগড়ের পাঁচটা গ্রামে সামাজিক বাংলা ছবি বা ‘নাচে গানে দুর্ধর্ষ ফাইটিং-এ ভরপুর’ হিন্দি ছবির ঘোষণা দিয়ে যায়। প্রত্যেক বেস্পতিবার বিকাল নাগাদ বাজারের দোকানপাটের ঝাঁপের গায়ে, রেলগুদামের ইটের বা গ্রামগুলোর দোকানপাট ও গৃহস্থবাড়ির মাটির দেয়ালে ফটকে, হাটতলায় ফটকে ছড়িদারের চেলা গলু সেনাপতি ছাপানো পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়ে যায়। পোস্টারগুলো পুরোনো পদ্ধতির লিথোগ্রাফে বা কাঠের ব্লকে ছাপানো বলে মনে হয়। কদাচিৎ সস্তার অফসেটে। কখনও হঠাৎ করে বহুবর্ণ হাতে আঁকা পোস্টার দুটো-একটা এলে সেগুলো হাটতলার পুটে বর্মনের মশলা পেষাই কলের বিস্তৃত দেয়ালের গায়ে মেরে দেয় গলু সেনাপতি। ঐ দুটো-একটা পোস্টারেই একশো পোস্টারের কাজ হয়ে যায়। পোস্টারগুলো ফিল্মের রোলের সঙ্গেই কলকাতা থেকে আসে, সম্ভবত ডিস্ট্রিবিউটারের কাছ থেকে সিনেমার রোলের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো আনানো হয়। এছাড়া ভোটের মরশুমে দলের প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক দিয়ে ছাপা পোস্টার আসে কলকাতা থেকে। বাবু লালার মতো বড়ো দোকানপাটে নানা কোম্পানির লোক বা সদরের ডিলার-ডিস্ট্রিবিউটাররা ছাপানো বিজ্ঞাপন দিয়ে যায়।
এই ধরনের পোস্টার ছাড়া গঞ্জের স্থানীয় প্রয়োজনে প্রায় সব পোস্টারই শিবেনদের লিখতে হয়―চণ্ডীমাতা বয়েজ ইস্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান থেকে জিনিয়াস টিউটোরিয়াল সেন্টারে ভর্তির আবেদন। কিন্তু রাজনৈতিক শ্লোগান ও বার্তা-সমন্বিত জ্ঞাপনীই হলো শিবেন-যতীশদের কাছে আসল পোস্টার!
প্রথম প্রথম যতীশ আর শিবেন পোস্টারের বরাত নিয়ে এলে সুমনের রাতের ঘুমের দফারফা হতো। দুটিতে লিখতে লিখতে সমানে বকবক করে যেত। নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি। এদের উৎসাহ দেখে সুমন রাগের বদলে মজাই পেতেন। কথা প্রসঙ্গে বাংলা পোস্টারের জন্মক্ষণের চেহারার কথা বললেন পরে।
তিনি নিজেই একদা কত পোস্টার লিখেছেন, স্টেনসিল কেটেছেন। তিনি জানেন―পোস্টারের আলাদা মজা ও শক্তি আছে। পোস্টারের ইতিহাসেরও নেই সূচনাক্ষণের হদিশ, বৈচিত্র্যের হিসেব। নেই আকরণিক ও প্রয়োগগত কলাকৌশলের পথবদলের দীর্ঘ, শ্রমবহুল ইতিকথার সীমানা।
(ক্রমশ)
…………………………..
(রচনার সঙ্গের ডিজাইনগুলি শিল্পীর দ্বারা অঙ্কিত বা পুনরঙ্কিত, আন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত ও সম্পাদিত এবং বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে গৃহীত। রচনার শেষে একটি বিস্তারিত সূত্র পরিচয়ে তা উল্লেখিত হবে)