অক্ষর-চরিত্র ও জ্ঞাপন-বাণিজ্য : এক অন্তহীন এপিটাফ। পর্ব ১১। অনন্ত জানা

সাইন, সাইনবোর্ড : ইতিবৃত্তান্ত
দেশের অগ্রণী গ্রাফিক ডিজাইন শিক্ষায়তন হিসেবে স্বীকৃত আমেদাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইনের গ্রাফিক চিত্রণী বিভাগের অধ্যাপক তরুণদীপ গিরধর জানিয়েছেন—সাইনবোর্ড আঁকিয়েদের কাজে তাঁদের নিজস্ব শিল্পধারা বিদ্যমান। (বনকুন্দ্রে) কথাটি নতুন নয়, আশ্চর্যেরও নয়। কিন্তু সাইনবোর্ড লিখিয়েদের সম্পর্কে এমন কথা বললে নতুন নতুন ঠেকে। কেননা, সাইনবোর্ড-লিখিয়ে, রঙ-করিয়ে এবং অন্যান্য হরফ শিল্পীদের চিরকালই কারিগর এবং পেইন্টার হিসেবে দেখা হয়—দেয়াল-লিখিয়েদের তো সরাসরি ভাড়াটে হরফনবীশ হিসেবে দেখতেই আমরা অভ্যস্ত। আসলে সাইনবোর্ড ও দেয়াললিপির উদ্দিষ্ট লক্ষিত-উপভোক্তারা একেবারেই আমজনতা। সকলেরই ধারণা—সেই আমজনতার শিল্পোভোগের ক্ষমতা ও সীমানা নিদারুণভাবে সংকীর্ণ। তারও চেয়ে বড়োকথা ‘সাধারণ’ দেয়াললিপির ক্ষেত্রে লিপিসজ্জা, রংয়ের ব্যবহার এবং রচনার লক্ষ্য সাময়িক উপযোগিতার দিকে পরিচালিত—তার জ্ঞাপিত-বার্তা বা মেসেজেও এক-ধরনের সাময়িকতা এবং সীমাবদ্ধতা আছে। ইশারা-ইঙ্গিত বা ব্যঞ্জনার দিকে তার নজর কম থাকে, নান্দনিকতায় থাকে ঘাটতি। কিন্তু সমস্ত সাইনবোর্ড ও দেয়াললিপির ক্ষেত্রে এমন উন্নাসিকতা চলে না। বহু সাইনেজ তো চিত্রশিল্পের নন্দনবোধের নিগূঢ় নিহিতার্থকে ইঙ্গিতে-ভঙ্গিতে দ্রষ্টাদের চকিত করে। একইভাবে বহু দেয়াললিপি লিপি ও চিত্রের সংমিশ্রণে চিত্রশালার মর্জিমহলে প্রবেশাধিকার পায় এবং শিল্পবোধের বুদ্ধিদীপ্ত উপভোগের মাত্রা সৃজন করে। যথাস্থানে আমরা এ-প্রসঙ্গে বিশদ হবো।
সুতরাং সাইনবোর্ড-লিখিয়েদের ‘নিজস্ব শিল্পধারা’ বলতে নিশ্চয়ই জাতিগত, সংস্কৃতিগত এবং কৌমগত শিকড়ের কথা বোঝানো হয়েছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে সাইনেজ, সাইনবোর্ড কিংবা যে-কোনো ধরনের জ্ঞাপনীর একটা পরম্পরা আছে। সমস্ত ধরনের জ্ঞাপনী তার ঐতিহ্যের অনুবর্তিতার কাছে দায়বদ্ধ—এটা যেমন সত্য, তেমনি বিপরীত দিক থেকে একথাও সত্য যে জ্ঞাপনীর ভাষা-ভাষ্য, আকরণ-প্রকরণ, আকার-প্রকার, উপস্থাপন-প্রদর্শনের দিকগুলিকে অনুসরণ করলে পুরোপুরি অনুক্রমিক না-হলেও সেই পারম্পর্যের কিছুটা হদিশ পাওয়া সম্ভব।
অবশ্য ‘নিজস্ব শিল্পধারা’ বলতে কী বোঝায় সেটা অনুধাবন করতে সুমনের আরও কিছুটা সময় লেগেছিল। চারপাশের গ্রামগঞ্জে ঘুরে, শিক্ষার্থীজীবনে শান্তিনিকেতনে গিয়ে মাটির দেয়ালে কিছুটা কোমর-বেঁধে করা চিত্র ও ভাস্কর্য তাকে টেনেছিল, কিন্তু অকাদেমিক অবসাদের জন্যই হয়তো তার মর্ম অনুধাবনের কথা মনে হয়নি। আসলে একটি সমাজের জীবনধারা, পূর্বাধিকার, ঐতিহ্য বা িনছক পরম্পরা, তার প্রথা, বিশ্বাস, বেঁচে থাকার মূল প্রত্যয়গুলিকে এবং তার প্রজন্মান্তরের ম্যাজিকসমূহ অন্তর্লোকে উদ্ভাসিত না-হলে কোনো শিল্পজিজ্ঞাসুর পক্ষে এইসব সমাজলগ্ন ‘নিজস্ব শিল্পধারা’-কে হৃদয়-সংবেদ্যরূপে গ্রহণ করা মুস্কিল। সুমনেরও সময় লেগেছিল। কিন্তু সে-আরও পরের কথা—যখন সুধাময়ের প্রণোদনায় সালেম ওস্তাগরদের শিমুলডাঙা গ্রামে গিয়ে পুরোনো ভালো-লাগার সঙ্গে মিশেছিল শিকড়ের টান।
এই গঞ্জ এলাকায়, কাঁকুড়ে এঁটেল মাটির দেশে অর্ধ-দশকের বেশি সময় কাটিয়ে দেবার পরেও, সুধাময়ের মেঠো ও আদিম-পুরাণকল্প সঙ্গ সত্ত্বেও—অন্তত নব্বইয়ের দশকের শুরুর সময় পর্যন্ত শিল্পী আর শিল্পের পারস্পরিক সম্বন্ধ এবং তার সামাজিক-রসনিষ্পত্তি বিষয়ে সুমনের ধন্ধ কাটেনি। তার জন্য প্রস্তুতিহীন অত্যন্ত স্বাভাবিক দৈনন্দিনতার অবকাশ প্রয়োজন হয়েছিল।
বরং কলেজীয় শিল্পকলার পরিসরের জারক রসে জীর্ণ সুমন এখানে এসে ঘটনাচক্রে সাইনবোর্ড লেখার মতো একটা আপাত কেঠো-কাজে জড়িয়ে গিয়ে প্রথমে কিছুটা বিভ্রান্ত ছিলেন—কিন্তু ‘উইমেকা’-বৃত্তান্ত তাঁর চোখ খুলে দিয়েছিল। এই সময় একদিন বিকেলের শেষ আলোয় স্টেশনের পাশে রেল গুদামের লাল রংয়ের ইটের পয়েন্টিং করা দেওয়ালে গত ভোটের সময় সাদা রং দিয়ে লেখা এই অদ্ভুত ছড়াটা নজরে এল সুমনের :
এতদিন ত মাথা খুঁড়েও কুঁয়ায় পেতে নাই ক জল
ইঠিন-সিঠিন রইত পড়ে শুখা জলের কল
ইখন কল পেইছ, সেঁচ পেইছ, ইন্দারায় অঢেল জল
করল যারা, বন্ধু তারা—ভোট দিবি রে চল। (মণ্ডল : ১৯৬৪/পরিবর্তিত ও পুনর্নির্মিত)
বিবর্ণ হয়ে আসা ছড়াটার ভাষার বিষয়ের মধ্যে, রংয়ের দিন-হীন আয়োজনের মধ্যে, হস্তাক্ষরের অসমানতার সাহসী ব্যবহার দেখে মল্লভূম-ঘেঁষা রাঢ়ের গঞ্জ-গ্রামের গন্ধ পেয়েছিলেন সুমন। নব্বই দশকের শুরুতে এই ছড়াটিকে অর্থনৈতিক ইতিহাসের এক ধরনের সামাজিকীকরণের প্রয়োজনীয় সংবাদ বলে মনে হয়েছিল সুমনের!
সাইনের, সাইনবোর্ডের বৈচিত্র্যের, বিভিন্নতার বা প্রকারের তো সীমা নেই। সাইনবোর্ড লেখার হদ্দ-হদিশ নিয়ে খোঁজখবর করতে গিয়ে সুমন দেখলেন যে, লিখিত বর্ণ ব্যবহারের আগেই মানুষ চিহ্ন বা সাইন ব্যবহার করতে শুরু করেছিল,
গুহাচিত্রকে তেমনই ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবপ্রকাশক ভাষ্য বা জ্ঞাপন বলে মনে করা যেতে পারে। বিশেষ কিছু জ্ঞাপনের জন্যও একদা এসব চিত্রভাষ্য সৃজিত হয়েছিল। গুহাচিত্র থেকে ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীর ডেস্কের ওপরে ছুরি দিয়ে কেটে নিজের নাম খোদাই করা, কিংবা গাছের গায়ে নিজের নাম লিখে ‘… … এখানে ছিল’ লিখে রাখা ইত্যাদি এই ভৌত পরিবেশের ওপর নিজের ছাপ ফেলার জন্য চিরকালীন অনুপ্রেরণাসঞ্জাত। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় যখন লেখেন—‘এই সময় অর্জুনবর্মার দৃষ্টি পড়িল গুহামুখের একটি প্রস্তরফলকে…। অসমতল প্রস্তরফলকের গাত্রে প্রাচীন কর্ণাটী লিপিতে কয়েকটি আঁকাবাঁকা শব্দ খোদিত রহিয়াছে। অপটু হস্তে পাষাণ কাটিয়া কেহ এই শব্দগুলি খোদিত করিয়াছিল। বহুকালের রৌদ্রবৃষ্টির প্রকোপে অস্পষ্ট হইয়া গিয়াছে, তবু যত্ন করিলে পাঠোদ্ধার করা যায়—‘দেবদাসী তনুশ্রী গৌড়নিবাসী শিল্পী মীনকেতুকে কামনা করিয়াছিল’ (তুঙ্গভদ্রার তীরে) ; তখন লিপিশিল্পের শুষ্ক ইতিহাস জীবনচাঞ্চল্যে জেগে ওঠে।
যেমন পম্পেইয়ের বিপণি-জ্ঞাপনের বাহুল্য, বিপণির সখ্য পেরিয়ে প্রেমের ঘোষণা, আসঙ্গের বিলাসবিবশের স্বীকৃতি, গ্ল্যাডিয়েটর গেমের দর্পিত-আহ্বান, রাজনৈতিক বিবৃতি পথদৃশ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। একেবারে আধুনিক যুগে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালের বহুপ্রিয় জ্ঞাপন ‘কিলরয় এখানে ছিলেন’-এর কথা স্বতন্ত্র। তিনি আমেরিকা জুড়ে সর্বত্র ছিলেন: একটি বড়ো নাকের লোকের আদল, ছোটো ছোটো কুতকুতে চোখ একটি দেয়াল ডিঙিয়ে উঁকি দিচ্ছিল, যার সঙ্গে একটিমাত্র বাক্য লেখা হতো। তখন কিলরয়কে প্রায় সর্বত্র পাওয়া যেত—বাথরুমে, ইস্কুলের দেয়ালে, সেতুর গায়ে, ক্যাফেটেরিয়ায় এবং শিপইয়ার্ডের জাহাজের বহিঃদেয়ালে। কিন্তু তার উদ্দেশ্যমূলকতা অন্যত্র স্বতন্ত্র আলোচনার বিষয়। উত্তরকালে কবে যে এই ধরনের বিশেষভাবে জ্ঞাপিত ভাষ্যের সারল্য বিজ্ঞাপনের রূপ নিয়ে মুনাফার কালিমাকলুষের সঙ্গে বিজড়িত ও বিজারিত হয়ে গেল―সে ইতিহাসের দিনক্ষণের হিসেব পাওয়া কঠিন!
সেই কোন প্রাচীনকালে রোমে ও গ্রীসে দোকানের সামনে ও সাধারণ্যে অনুষ্ঠিতব্য কোনো উৎসবাদির কার্যক্রম ঘোষণার জন্য সাইনবোর্ড ব্যবহার করা হতো। রোমান সাইনবোর্ডগুলি সাধারণত পাথর বা পোড়ামাটি থেকে তৈরি হতো। সুপ্রাচীন শিলালিপি, তাম্রশাসন বা সৌধলিপিগুলির একাংশকে সাইনবোর্ডের অগ্র-জ্ঞাপক বলা যেতে পারে। শুধু বর্ণ তো নয়, জ্ঞাপন-মাধ্যমে ব্যবহৃত চিত্রগুলিও এক্ষেত্রে বিবেচ্য। প্রাচীনকালে রোমে বা গ্রীসে বিপণিলগ্ন সাইনবোর্ডে উদ্দিষ্ট দ্রব্যাদির জন্য চিহ্নগুলি সেই দ্রব্যাদির অঙ্কিত মিনিয়েচারের প্রতীক বোঝাত। সাইন বা চিহ্নের সেইসব স্বত্ব-ব্যবহারের রীতি এখনও বজায় আছে―জুতোর দোকানের সাইনবোর্ডে লেখার সঙ্গে জুতো বা চটির ছবি, আইসক্রিমের সঙ্গে ক্যাণ্ডি বা আইসক্রিম-পটের ছবি, আমূলের সাইনবোর্ডে দুধের গেলাস হাতে বার্বি-সদৃশ খোকা-খুকিদের চিত্র।―সব ক্ষেত্রেই―অতিরিক্ত উদাহরণ নিষ্প্রয়োজন। সুতরাং বাণিজ্যিক চিহ্নের দ্বারা দ্রষ্টার দৃষ্টি-আকর্ষণ, আগ্রহসৃষ্টি, সাইন-প্রলোভনের প্ররোচনা প্রদান করাটা অনেক প্রাচীন ব্যাপার, হয়তো ব্যক্তিগত সম্পত্তির উদ্ভবের সময় থেকেই !
অবশ্য পুরোনো দিনের প্রাচ্যে, বিশেষভাবে ভারতবর্ষে বিষয়টা ঈষৎ ভিন্ন-প্রকারের ছিল। এখানে সাধারণভাবে সমাজটাই ছিল পেশা বা বৃত্তিভিত্তিক। মানুষের বসবাস, গোষ্ঠীজীবন, জনবিন্যাস, অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ, তার স্থান-পরিচয়―বহুলাংশে বৃত্তির সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল (কুমোরপাড়া, কুমারটুলি, কাঁসারিপাড়া, ছুতারপাড়া, গোয়ালাপাড়া, বাগদিপাড়া, নুড়িপাড়া, তাঁতিপাড়া, ডোমটোলা, কলসকাঠি, কলসা, কামারহাটি, শাঁখারিটোলা, কাহারপাড়া,, লোহাপট্টি, কারালা ইত্যাদি ইত্যাদি। সম্ভবত প্রতিটি বৃত্তির সঙ্গে আইডেন্টিটিক্যাল এক বা একাধিক স্থাননাম পাওয়া যাবে)। বিশেষভাবে প্রাচ্যের বাজার-হাটে কিংবা ব্যবসাকেন্দ্রগুলিতে ব্যবসায়িক স্থান-নির্বাচনে পণ্যের নাম ও প্রকৃতি গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। সে-ক্ষেত্রে হয় বৃত্তির নামে চিহ্নিত নির্দিষ্ট এলাকায় ( যে-স্থানগুলি পট্টি, মহল্লা, পণ্যের নামের সঙ্গে বাজার বা পাড়া শব্দটি জুড়ে পরিচিত ছিল সোনাপট্টি, কালোয়ারপট্টি, চাউলপট্টি ইত্যাদি নামে) সুনির্দিষ্ট পণ্যগুলি পাওয়া যেতো। একটি বাজারের মধ্যেই এমন এলাকা বিভাজন থাকত। সেখানে ক্রেতারা বিক্রেতাদের নামের সঙ্গে পরিচিত থাকতেন বলে পরিচয়জ্ঞাপক সাইনবোর্ডের প্রয়োজন হতো না। প্রাচ্যের নকশা-করা রেশমবস্ত্র, গহনা, হস্তশিল্পজাত দ্রব্যাদি, সুগন্ধী-দ্রব্য, মশলাপাতির পাইকারি বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা পরস্পরের পরিচিত হওয়ায় সাইনবোর্ড ছাড়াই ক্রেতারা সরাসরি বিক্রেতার কাছে পৌঁছতে পারতেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রত্যেক ক্রেতার নিজস্ব মহাজন বা পাইকারি বিক্রেতা থাকতেন, তাদের মোকামেই তাঁরা নগদ-বাকি-খরিদ করতেন। [ইন দি সিটিজ অব দি ইস্ট অল ট্রেডার্স আর ট্রেডস্ আর কনফাইণ্ড টু সারটেইন স্ট্রিটস্, অর টু সারটেইন রোস্ ইন দি ভেরিয়াস বাজারস্… [দি পারচেজারস্্ নোস দি রো টু গো টু ; সি-স অ্যাট এ গ্ল্যান্স হোয়াট ইচ শপ কনটেনস্ ; অ্যান্ড ইফ হি বি অ্যান হ্যাবিচ্যু, উইল নো দি ফেস অব ইচ পারটিকুলার শপকিপার, সো দ্যাট আন্ডার দিজ সারকামট্যান্সেস, সাইনবোর্ডস্ উড বি অব নো ইউজ। (লারউড ও হট্টেন / ? হটেন : ১৮৬৬] অর্থাৎ সোজা কথায় প্রাচ্য-সমাজে তখন চেনা বামুনের পৈতে লাগত না, পণ্যবিপণন অথবা পরিচয় জ্ঞাপনের জন্য সাইনবোর্ডের কার্যকারিতাও ছিল না।
(ক্রমশ)
…………………………………..
(রচনার সঙ্গের ডিজাইনগুলি শিল্পীর দ্বারা অঙ্কিত বা পুনরঙ্কিত, ই-সূত্র থেকে সংগৃহীত ও সম্পাদিত এবং বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে গৃহীত। রচনার শেষে একটি বিস্তারিত সূত্র পরিচয়ে তা উল্লেখিত হবে)