অক্ষর-চরিত্র ও জ্ঞাপন-বাণিজ্য : এক অন্তহীন এপিটাফ। পর্ব ১০। অনন্ত জানা

‘তামাদি’ সময়ের প্রতিসুখ এবং শিল্পযাপন
সময় কীভাবে যায়!
সময় কোথায় যায়?
ভেবে অবাক হয়ে যান সুমন।
গতকালই রাধাকৃষ্ণ টেলার্সের মেঝেতে নতুন পাতা তালপাতার পাটিতে বসতে না বসতে গোপাল বাড়ুজ্যে তাঁর বহুকাল অব্যবহৃত সেলাই মেশিনের সামনে রক্ষিত নিজের রাজাসন, অর্থাৎ তেল চুকচুকে কাঠের টুলটায় বসতে গিয়ে আঁতকে ওঠার ভঙ্গিতে বললেন―‘অরে রে…শিল্পী, তোমার চুলেও যে পাক ধরে গেল! তাইলে আমাদের ঠেঁয়ে এইলব রস-কষ-সিঙারা-বুলবুলিহীন লোকেদের কী হবে?’
পাড়ার যাত্রায় গোপাল বাড়ুজ্যের জন্য মহামুনি দুর্বাসা জাতীয় চরিত্র একেবারে বাঁধা ছিল। সংলাপে প্রায়শই ‘অারে রে দুর্মতি’ কথাটা থাকত। সেখান থেকেই তাঁর মুেখ ‘আরে’টা ‘অরে’ হয়েছে!
সুমন গোপাল বাড়ুজ্যের বিরলকেশ মস্তকের দিকে চেয়ে হেসে ফেললেন, বললেন―‘সেকি দাদা, আপনি দিব্যি মাথায় টাক বানিয়ে সাবান, তেল, চিরুনি, গামছার খরচা বাঁচাচ্ছেন আর আমার একটু চুলও পাকতে পারবে না!’
―‘তোমার চুল পাকবে কেন! রবি ঠাকুর ঐ যে কী বলেছেন না―আমাদের পাকবে না চুল গো―মোদের পাকবে না চুল / আমাদের ঝরবে না ফুল গো―মোদের ঝরবে না ফুল। কিন্তু দেখো, চুল ঝরার বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি ; বলেছেন ফুল না-ঝরার কথা। বয়স হলেই বয়সটাকেই মাথা মুড়িয়ে ঘোল ঢেলে নদী পার করিয়ে দেবার কথা বলেছেন! কিন্তু মাথা মুড়োবার খরচ লাগবে না, তার মাথাভরা টাক! টাকের বেখরচা সুবিধার কথা কবি যেমন বলে গেছেন আর কি!’
গোপাল বাড়ুজ্যের কথা শুনে দোকানের জানালা দিয়ে বাইরের ঘনায়মান অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে এমন বসন্ত সন্ধ্যায় সুমনের অন্তরাত্মায় একটু কাঁপন ধরে গেল।
গোপাল বাড়ুজ্যে কথায় কথায় এমন রবি ঠাকুরকে টেনে আনেন। নিখুঁত ও প্রাসঙ্গিকভাবেই আনেন। তবু সুমন বললেন―‘গোপালদা রবি ঠাকুর কবিদের নিয়েই এমন কথা অনেকবার বলেছেন। কবি তো কবিদের পাকা চুলের কথা মানতেই চাননি। বরং রাজার পক্ক কেশে শুভ্র মল্লিকার মালা পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু শিল্পীদের নিয়ে… ’
―‘কবি আর শিল্পী কি আলাদা নাকি। রবি ঠাকুর তো শেষ বয়সে ছবি এঁকে এঁকে হন্যে হয়েছেন।’
গোপাল বাড়ুজ্যে নিয়ম মেনে ঠিক তাঁর ষাট বছর বয়োপূর্তির দিন থেকে মেশিন ছোঁয়া তথা সেলাই করা বন্ধ করেছেন। কিন্তু দু-বেলা নিয়ম করে রাধাকৃষ্ণ টেলার্সের দরজা খোলা হয়। এর মধ্যে তিনবার সুমনরা নতুন করে সাইনবোর্ড লিখেও দিয়েছেন। গোপাল বাড়ুজ্যে বলেছেন―‘অরে ভাই, এ তো আমার কাছে সিদ্ধপুরুষের সিদ্ধাসন!’
গোপাল বাড়ুজ্যের রবি ঠাকুরকে সুমন বেশ সমঝে চলেন। মানুষটির পড়শোনা অঢেল, রসবোধ তীব্র, নাড়ীজ্ঞান টনটনে। এই গঞ্জের ভজঘট জনসমাজে তিনি অনেকটা সেতারের ঝালার মতো। টান টান, দ্রুত, ছন্দিত―ধ্রুপদী সংগীতের শেষ অংশ―ধ্রুপদী প্রশান্তিতে ফিরে আসার সোপানের মতো।
এখনকার নতুন ভটভটির আওয়াজ কম, তবু দোকানের বারান্দার ধার ঘেঁষে বাইক রাখার শব্দে সুধাময়ের আগমন টের পাওয়া গেল।
সুধার চুলে অনেক আগেই পাক ধরেছে।
মায়ের চলে যাওয়া আর কলকাতা ছাড়ার মধ্যে এক বছরেরও ব্যবধান ছিল না। কিন্তু কলকাতা ছাড়ার পর দেখতে দেখতে দু-আড়াই দশক পেরিয়ে গেল!
এর মধ্যে সুমন কতবার গঞ্জ ছেড়ে গেলেন, কতবার ফিরে আসলেন।
একবার গিয়েছিলেন গিরিডিতে।
গিরিডির বাগানশোভিত পরিবেশ ভালো লেগেছিল সুমনের।
ততদিনে জমানো পয়সা যেটুকু ছিল তার সঙ্গে দুটো ট্যুইশন করলে দিন চলে যেতে পারত।
কিন্তু করবেন কী সেখানে।
কেবল আকাশ মাটি বাতাস উদ্ভিদের শ্বাসে মানুষ বাঁচে না। মনে পড়েছিল, রাজর্ষি উপন্যাসে বিল্বনের কথা। বিল্বন রাজা গোবিন্দমাণিক্যকে বলেছিলেন―‘বনে কেবল একটা উদ্ভিদ পালন করিয়া তোলা যাইতে পারে। মানুষ মনুষ্যসমাজেই গঠিত হয়।’
এক মাসেই উশ্রীর জলধারার উচ্ছ্বসিত-উচ্ছ্রিত জলকণার উদ্ধত শীতলতা ফিকে হয়ে এল। গিরিডিতে যে বাঙালি- বাগানবাড়ির কেয়ার-টেকারকে ম্যানেজ করে তাদের পোড়ো বাগানঘরে উঠেছিলেন সুমন, সেই ভাঙাঘরের ফাটাফুটা দেয়ালে দেখা দেওয়া বহুবিধ প্রাকৃত-চিত্রের গাঠনিক অনুসন্ধানের উত্তেজনাও অচিরে তিরোহিত হলো। শহর পার হয়ে রাস্তার ধারে ধারে গড়িয়ে থাকা আগ্নেয় শিলার মাঝে ‘সৃষ্টির এপিটাফ’-এর মতো রূপের বা বিমূর্ততার সন্ধানে এল আলস্য।
সময় নিয়ে ভারি গেরোয় পড়ে গেলেন সুমন।
ওদিকে যতীশ আর শিবেন গত দেড় দশকে অনেক স্বনির্ভর হয়েছে, তবু তাদের জন্য উদ্বেগ অনুভব করলেন সুমন।
গোপাল বাড়ুজ্যের রাধাকৃষ্ণ টেলার্সের শীতলপাটি তাঁকে টানতে লাগল। সুধাময়দের বারবাড়ির আড্ডাঘরটি, গঞ্জের দক্ষিণ সীমানা ছাড়িয়ে পরিত্যক্ত চিনিকলের জঙ্গল-সমাকীর্ণ দুর্ভেদ্য বাগানে দুই বন্ধুর ছুটির দ্বিপ্রাহরিক যাপন তাঁকে অস্থির করছিল। কে জানে তাঁর বিরহে বাদলা মুন্সি পাঁইটের মাত্রা বাড়িয়ে দিল কী-না!
তাঁর অনুপস্থিতিতে সালেমের চিন্তাকাতর ক্লিষ্টতার অলক্ষ-আঘাতও টের পাচ্ছিলেন সুমন।
কিন্তু যেদিন রাতে ভাঙাঘরের অন্ধকারে হানা দিল সেই মেয়েটি। প্রথম বেপাড়ায় দেয়াল লিখতে গিয়ে যে মুগ্ধা-হরিণীটির দেখা পেয়েছিলেন―সেই মেয়েটি ; যে-মেয়েটিদের বাড়ির প্রাকারেই সেদিন লিখছিলেন সুমনরা। নেহাৎই ভোটের দেয়াললিখন। সে ছিল যেন সেই মেয়েটি―যে মেয়ে সুজাতার মতো নৈরঞ্জনা নদীতীরে তপস্যাক্লিষ্ট গৌতমকে পরমান্ন পরিবেশনের করার মতো প্রায় মধ্যরাতে তিনবার জল-মিষ্টি-চা পরিবেশন করেছিল, ―আয়তচোখে তাকিয়েছিল তাঁর দিকে। সেই মেয়েটি। পরে সেকালের তরিকা-অনুযায়ী ঐ বাড়ির সামনে দু-চার চক্কর দিলেই দিব্যি একটা প্রেমের জন্ম হতেই পারত।
কিন্তু সেদিন কিছুই হয়নি।
অথচ কীভাবে মেয়েটি তাঁর মধ্যেই রয়ে গেছে―গিরিডির হতক্লান্ত একাকী তুমুল অন্ধকারে সুমন তা টের পেলেন।
মেয়েটির হাতে জলের গ্লাস, আর তারই একটু দূরে ঠোঁটের কোণে স্বভাবসিদ্ধ ব্যঙ্গের হাসি ফুটিয়ে দাঁড়িয়েছিল অনিন্দিতা।―
পরদিনই ঝোলা গুটিয়ে সুমন ফিরে এসেছিলেন গঞ্জে।
এমন কতবার হয়েছে।
শিমুলডাঙায় সালেমের মাটির ঘরের স্টুডিওতে গিয়ে মাসের পর মাস থেকেছেন, ছবি এঁকেছেন।
মধুপুরের কাছাকাছি গ্রামে আর দেওঘর শহরের উপকণ্ঠের পাহাড়-টিলায় ঘুরে ঘুরে প্রায় বছর কাবার করে দিয়েছেন।
কিন্তু পরিশেষে ফিরে এসেছেন তাঁর আশ্রয়ী গঞ্জে তাঁর টিনের চালার বারান্দায়।
প্রথমে মনে হয়েছিল―কলকাতা তাঁকে ত্যাজ্য করেছে। তিনিও কলকাতাকে।
কিন্তু পরে টের পেয়েছেন কলকাতাকে কোমর বেঁধে ত্যাগ করা যায় না।
সম্ভবত দূরে আছেন বলে ক্রমেই কলকাতার সঙ্গে বোঝাপড়াটা সমানে সমানে হয়ে এসেছে। এখনও তিনি আর সুধাময় অবরে-সবরে কলকাতায় যান। ক্রমেই একুশ শতক এসে পড়ায় এবং ফোন হাতের মুঠোয় থাকায় সুধার এখন আর কলকাতায় না-গেলেও চলে, সিড়িকোড্ডের মাঝারি মাপের মুদিখানার যাবতীয় মাল এখন ‘কলকাতার দরে’ সদরেই পাওয়া যায়। ফোন করলেই ভ্যানোয় চেপে মাল এসে যায়। লালাদের দোকানেই এখন কত জিনিস, ‘পাইকারি ও খুচরা’র কতো আয়োজন!
তবু সুধা কলকাতায় যায় বন্ধুর সঙ্গে। সুমনকে নিয়ে সর্বদাই ভয়, টানাপড়েন―এই বুঝি উধাও হলো বন্ধু!
হারানোর ভয় আছে বলেই এমন বন্ধুত্ব টিকে আছে।
চিরকাল বলে কিছু নেই। জীবনের কোনো প্রকল্পই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে না, আবার অভাবনীয় প্রাপ্তি মাঝে মাঝে অবাক করে দেয়। সুমন এটা জানেন, তাঁর ধারণা সুধাময়ও এটা জানে। দুজনের এই জানাটাই অনাটকীয় যত্নে তাঁদের বন্ধুত্বকে এগিয়ে রাখে। সিড়িকোড্ডে কিংবা সংলগ্ন দশটা গ্রামের হাওয়ায় সুধাময়ের ভালোমানুষীর সৌরভ আছে। ইচ্ছা করলেই মুদিখানাকে অনেক বড়ো করতে পারে সে, কিন্তু করে না। বলে―‘আমার এ-জম্মের পক্ষে বেশি হয়ে যাবে। এই ঠিক আছে।’
গোপাল বাড়ুজ্যের দোকানের আড্ডাধারীরা অনেকে সুমনকে নিজের ঘর বানাবার পরামর্শ দেন। তাদের কেউ কেউ কয়েক শতক বাস্তুজমি কম পয়সায় দিতেও চান, কিন্তু সুমন ঘাড় পাতেন না। গোপাল বাড়ুজ্যের শালাবাবু বীরেন ভট্্চাজের বাগানের বাস্তুঘর তিনি ছাড়েননি। আলাদা সম্পত্তি করার দিকে কোনো আকর্ষণ অনুভব করেননি।―নিরর্থক উদ্যমে নিজেকে পীড়িত করেননি। বীরেন ভটচাজের বাড়ি, বাড়ির আওতা-ঘেরা গাছপালার ছায়া-আলো, উইমেকাগুলোর পাশে সদ্য-রংয়ের পরত চড়ানো সাইনবোর্ডর বিশ্রামরত অবয়ব, আর বাদল মুন্সির হাতে বাঁশের তৈরি খাটো টুলে বসে যতীশ-শিবেনদের সঙ্গে কর্মালাপ―এর বেশি আর কিছু এই গঞ্জের পড়ে-পাওয়া জীবনের কাছে তাঁর কাম্য থাকতে পারে―তা কখনও ভাবেননি সুমন।
সুতরাং তিনি নিজে তো বটেই, সুধার সঙ্গেও কলকাতায় বার বার গেছেন―বই, আঁকার সরঞ্জাম এসেছে। কত বিচিত্র বই তিনি পেয়েছেন, কলকাতায় থাকলে আর্টস্টির দেমাকে সেসব বই কখনও পড়তেন না।
আড়াই দশকের তামাদি সময়ের ইতিবৃত্তান্ত সুমনের কাছে প্রত্যহের সরণি বেয়ে রোমহর্ষক পরিযাপনের অনাস্বাদিতপূর্ব উপভোগের িভন্নমাত্রিক পার্বণ উদ্্যাপনের আনন্দ বয়ে এনেছে!
‘রাস্তার শিল্পী’ তো সুমন আগেই ছিলেন। ছাত্র সংগঠনের হয়ে এবং দলের পক্ষে ভোটের দেয়াল লেখার কাজ করায় সেই কলেজে থাকতেই তিনি এই অভিধা লাভ করেছিলেন। সে তো তাঁর জীবনের একটা পর্বই হয়ে আছে। আর আজ যখন সত্যি সত্যিই সাইনবোর্ড লিখিয়ে, হরফকারী এবং রাস্তার শিল্পী হয়েছেন, তখনও এতকিছু জানার আর করার ছিল তাঁর― তাই-ই কি তিনি জানতেন?
সাইনবোর্ডেরই কতকিছু, প্রায় সাতকাহন!
সাইনবোর্ডের পরিকল্পনা, রঙের পরত চড়িয়ে জমি তৈরি, অক্ষর বা হরফ নির্বাচন―ইত্যাকার আলোচনায় আমেদাবাদের জালালুদ্দিনের কথা বার বারই এসে যায়। সুমন তখনও জালালুদ্দিন কামারুদ্দিন বা ভিনদেশীয় নগরশিল্পীদের, যাঁরা ঘর, স্টুডিও, গ্যালারি, সংগ্রহশালা বা বা মিউজিয়ামের বাইরে পথ-ঘাট-প্রাকার-প্রাচীর-উন্মুক্ত ও প্রকাশ্যস্থানের জন্য ছবি আঁকেন এবং ছবি লেখেন, ―তাঁদের সকলের জীবনকাহিনী সুমন অবগত ছিলেন না বটে, কিন্তু যতীশ-শিবেন, শিবুরাম, তিপু নস্করের মতো গ্রাম-শহর-গঞ্জের অবজ্ঞাত হরফ-শিল্পীদের কথা তিনি জানতেন, জানতেন পিন্টু বাহারের মতো সাইনবোর্ড লিখিয়েদের কথাও। সেসব থেকে সুমন নিজে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, যতীশ-শিবেন-বাদল মুন্সিকে শিক্ষা দিয়েছেন। সংগৃহীত বইগুলো পড়ে বাংলা করে তাদের শুনিয়েছেন―যাতে তাদের হাতের সঙ্গে সঙ্গে মনটাও সক্রিয় হয়ে ওঠে। কে না-জানে যে, হাত ছবি লেখে―আর মন ছবি আঁকে।
পরবর্তী এক দশকের মধ্যে সুমনকেও কৌলিন্যহীন, অথচ শ্রম ও মেধাসাধ্য এই শিল্পের পরম্পরাগত কুলুজি থেকে শুরু করে এর প্রয়োগগত উপযোগিতা এবং প্রকর্ষণগত সফলতা বিষয়ে খোঁজখবর করতে হয়েছিল। আর পেশাগত কারণেই আমাদের শহর-গ্রামে ছড়িয়ে থাকা সাইনবোর্ড ও হরফ-লিখিয়েদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন তো বটেই―েসই সঙ্গে সাইনবোর্ড, দেওয়াললিপি, পোস্টার ও লিখন-প্রয়োজনের বৈচিত্র্যগত অনেক রহস্য, স্বভাববৈশিষ্ট্যের ধারানুশীলনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহক-উপভোক্তাদের পরিতুষ্টির দিকটিকেও সুমন সনিষ্ঠ আগ্রহে বুঝতে চেয়েছিলেন।
পরবর্তী এক দশকের মধ্যে পেশাগত কারণেই জালালুদ্দিনের মতো আমাদের শহর-গ্রামে ছড়িয়ে থাকা সাইনবোর্ড ও হরফ-লিখিয়েদের সম্পর্কে এবং সাইনবোর্ড, দেওয়াললিপি, পোস্টার ও লিখন-প্রয়োজনের বৈচিত্র্যের অনেক রহস্য ও স্বভাববৈশিষ্ট্য তাঁকে জেনে ও বুঝে নিতে হয়েছিল।
(ক্রমশ)