অক্ষর-চরিত্র ও জ্ঞাপন-বাণিজ্য : এক অন্তহীন এপিটাফ। পর্ব ২১। অনন্ত জানা
সুমন শুধু শিবেন-যতীশদের নিশাকালের পোস্টারচর্চায় যোগই দিলেন না, পোস্টার রচনায় তাঁর নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞাতায় অর্জিত সুলুকসন্ধানও দিলেন তাদের। হাতেকলমে করেও দেখালেন―কীভাবে চিত্রকরদের মতো ছবির বিষয়-নির্বাচনের দায়িত্ব বা স্বাধীনতা পোস্টার রচয়িতার হাতে থাকে না, তাই বিষয়ের উপস্থাপনে পোস্টার-রচয়িতাকে অভ্যন্তরীণ কাঠামোর ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হয় এবং সেটি নিজের আয়ত্তে রাখার মুন্সিয়ানা অর্জন করতে হয়। ডিজাইনার হিসেবেও পোস্টার রচয়িতাকে বড়ো দায়িত্ব পালন করতে হয়। স্বভাবতই বিষয়-অনুযায়ী বাইরে থেকে যতটা দেখা যায় সেই বহিরঙ্গ-নকশার ধরনটিকে শুধু নয়, অভ্যন্তরীণ নকশার ধরনটিকেও নির্বাচন করেন পোস্টার শিল্পী। সুমন শিবেনদের দেখান―লেখার বয়ানের বাইরেও নকশা নির্বাচনের সময় পোস্টার শিল্পীকে কেমনভাবে বিষয়ের সঙ্গে, টার্গেট দ্রষ্টাদের সঙ্গে (যে যে দেখছে কাদের সকলের জন্য নয়, পোস্টারের বিষয়টি যে যে দ্রষ্টাকে পোস্টার-শিল্পী তার গ্রাহকের স্বার্থে পোস্টারটি দেখাতে, পড়াতে, পোস্টারের অভ্যন্তরীণ উদ্দেশ্যের দিকে আকর্ষণ করতে চান) মানানসই নকশা গ্রহণ করতে হয়।
যেমন মণিরামপুর ফিল্মক্লাবের বাৎসরিক উৎসবের পোস্টারে ট্রলিসহ ক্যামেরা ছায়া-আলোময় নকশার বিন্যাস গ্রহণ করে তিনি। একইভাবে চিত্রকলা প্রদর্শনীর পোস্টারের প্রায় অর্ধেক অংশ জুড়ে তিনি অলংকৃত আলপনা ব্যবহার করেন। মণিডাঙার সারা বাংলা সাংস্কৃতিক উৎসবের পোস্টারে আবার নানাকার রঙের টুকরো দিয়ে নৌবাহনের মোটিফ দেওয়া হলো ঊর্ধাংশে, সেই রঙের প্রবাহ বেয়েই যেন সংস্কৃতির জ্বয়ধ্বজা তার পরিসর ছড়িয়ে দিল দুপাশে। এই ধরনের পোস্টার আগে কখনও এই গ্রামঘেরা গঞ্জ-অঞ্চলে দেখা যায়নি। পোস্টারগুলো গোটা এলাকার সংস্কৃতি কর্মী, চিত্রকলা চর্চাকারী এবং চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে সাড়া ফেলে দিল। সংগঠকেরা বুঝলেন এবং স্বীকারও করলেন যে নিছক পোস্টার হলেও আগেকার বছরগুলোর তুলনায় এগুলি নতুন ধরনের সংবেদন সৃষ্টি করেছে। সুমনের মনে হলো এটা তো ঠিকই যে, আলফোনেস মুচা পোস্টার নির্মাণের আগেই অভিনেত্রী হিসেবে সারা বার্নহার্ড খ্যাতি পেয়েছিলেন। এমন-কী আমরা বলেছি যে, প্যারিস রেনেসাঁস থিয়েটারে ‘গিসমোন্ডা’ও দর্শকপ্রিয় হয়েছিল বলেই খ্রীসমাসের বিরতির পরও এই নাটকের অভিনয় জারি রাখতে চেয়েছিলেন থিয়েটার কর্তৃপক্ষ, আর সে-কারণেই পোস্টার তৈরির জন্য মুচা ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আঁকা পোস্টার কী এমন করেছিল যে, সারা আর তাঁর অভিনীত নাটকের সঙ্গে মুচার পোস্টার সমার্থক হতে পেরেছিল!



চিত্রকলায় রঙের ওপর রঙের পরত চাপিয়ে ওপরের অভীষ্ট রঙটি ফুটিয়ে তুলতে হয়। কিন্তু কাগজের ওপরে লেখা পোস্টারে সে-সুযোগ নেই। সুতরাং পোস্টার রচয়িতার পক্ষে রঙের বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করাটাই বিধেয়।
সুমন শিবেনদের সঙ্গে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক ইস্যুভিত্তিক পোস্টারেও রঙের ব্যবহারে সাহস দেখালেন। প্রথমত যে-কোনো ইস্যুভিত্তিক পোস্টারের সঙ্গে তিনি দু-চারটি করে বামপন্থী রাজনীতির ভিত্তিমূলক পোস্টার লেখার ব্যবস্থা করলেন। যেমন অমুক দাবিতে ‘ব্রিগেড চলো’-র সঙ্গে ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ ধরনের পোস্টার।

রাজনীতির আদর্শগত পোস্টার ‘ভুখা মানুষ ধরো বই, ওটা হাতিয়ার।’ রঙের ব্যবহার এমন হলো যাতে পোস্টারগুলির দিকে অনিচ্ছুক দ্রষ্টাও নজর দিতে বাধ্য হলেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে রাজনৈতিক পোস্টারের ফারাক প্রায় মুছে দিলেন সুমনরা!
পোস্টারের রঙের কাজ করতে গিয়ে সুমনের মনে হলো সাইনবোর্ড আর পোস্টারের উপাদানগত ফারাক থাকলেও আকরণগত আত্মীয়তা প্রবল। বার বারই এটা দেখতে হয় যে, সাইনবোর্ডের জমির রঙের ঔজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তুলবার জন্য রঙের একাধিক পরতের ব্যবহার আবশ্যিক। প্রথমে সাদা রঙের প্রাইমার বা সাদা কালার। তারপর পছন্দসই (বিষয়বস্তু বা অলংকরণের সঙ্গে মানানসই) রঙ দু-পরত দিয়ে জমি তৈরি হয়। তারপর কোনো রিভার্স কালারের কাজ থাকলে সেখানে যার ওপর রিভার্স সেই কালার দিয়ে নকশার চারপাশের উদ্দিষ্ট এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়। ফলে কিছু জায়গায় রঙের একটি অতিরিক্ত পরত লাগাতে হয়। জালালুদ্দিন কামারুদ্দিন এক সাক্ষাৎকারে জানান যে, তিনিও তিন পরত রঙ চড়ান, তাতে ‘বিলকুল ফিনিশিং ওয়ালা কালার’ পাওয়া যায়। ‘একেক পরত রঙ শুকোতে একটা করে গোটা দিন লাগে।’

কাগজের পোস্টারে এইভাবে রঙ চড়িয়ে জমি তৈরির সুযোগ নেই। পোস্টারের মিডিয়াম হিসেবে ক্যানভাস বা শক্তিশালী মোটা মিশ্রিত কাপড় ব্যবহার করতে পারলে অন্য কথা। বিশেষ জায়গায় প্রদর্শনের জন্য ব্যাবহৃত বাণিজ্যিক পোস্টার ছাড়া প্রচুর সংখ্যায় পুনরুৎপাদিত পোস্টারের ক্ষেত্রে ক্যানভাস ব্যবহার করা অপ্রয়োজনীয় ও অসম্ভব। কাগজের পোস্টারে জমিতে একবার, ডিজাইনের স্বার্থে বড়োজোর দু-বার রঙের ব্যবহার করা হয়। তবু পোস্টার রচয়িতাকে রঙের বন্টনের ব্যাপারে খুবই পরিকল্পনা করে এগোতে হয়। রেখার গঠন, বিষয়ের অভ্যন্তরীণ অর্থ, সমগ্র পোস্টারটিতে দেয় প্রজ্ঞাপিত বার্তা―ইত্যাদিকে মনে রেখেই রঙের প্রকল্প তৈরি করতে হয়। একটি সাইনবোর্ডকে কখনও কখনও নিছক প্রজ্ঞাপন বা পরিচয়জ্ঞাপক ফলক হলেও চলে।
কাউফার যা বলেন সুমন তাকে নিজের মতো করে উপলব্ধি করেন। নিছক উপযোগিতা বা সাইনবোর্ডের মতো পরিচয়জ়্াপন ছাড়া একটি পোস্টারকে অবশ্যই অনন্য হতে হবে, এবং রঙ হলো এই অনন্যতা ‘অর্জনের সবচেয়ে উপযুক্ত উপায়গুলির মধ্যে একটি। এই ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা পোস্টার-শিল্পীকে একটি নির্দিষ্ট রঙ-স্কিমে স্থির হতে বাধা দেয় ; প্রকৃতপক্ষে, প্রতিটি নতুন পোস্টারের জন্য একটি নতুন নির্বাচন করা তার জন্য প্রায় অপরিহার্য করে তোলে। ভাগ্যক্রমে, রঙের বিস্তৃত পরিসর এবং বিপুল সংখ্যক সংমিশ্রণ একজন অভিজ্ঞ পোস্টার-ডিজাইনারকে এই কাজটি সম্ভব করে তোলে।’

সচেতনভাবে এই কাজ করতে করতে গিয়ে সুমন দেখলেন সাইনবোর্ড আঁকিয়ের তুলনায় পোস্টার শিল্পী রঙ বা নকশা―দুই েক্ষত্রেই কিছুটা বেশি স্বাধীনতা পান, কিন্তু দুটি কাজের মধ্যে যাতায়াতে একজন সচেতন শিল্পীর কোনো অসুবিধা হয় না। সুমন দেখলেন―রাত্রে পোস্টার আর সকালে সাইনবোর্ড লেখার কাজ তাঁদের ক্ষেত্রে প্রায় একই রকম আনন্দে পর্যবসিত হয়। সকালে উঠে লিখতে গিয়ে বেশ টের পাওয়া গেল যে, পোস্টার রচনার ক্ষেত্রে স্বাধীনতার বোধ যেন সাইনবোর্ডের পরিকল্পনা, নকশা ও রঙের বিন্যাসে নিজেদের অলক্ষেই সঞ্চারিত হচ্ছে!

জালালুদ্দিন মতো অভিজ্ঞ লিখিয়েদের ক্ষেত্রে হরফ-ভিত্তিক সাইনবোর্ডে রঙ দিয়ে হরফ বসানোর আগে পেন্সিল দিয়ে নকশার মুসাবিদা করে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। চন্দনগাছির শান্তি পেইন্টার কিংবা সুমনের কলকাতা পাড়ার মৃন্ময় নন্দীও পেন্সিলে নকশা করার ধার ধারতেন না। শুধু মোটা সুতো হালকা ব্লু-পাউডারে চুবিয়ে দু-দিকে টান টান করে ধরে মাঝখানে আঙুলের সাহায্যে একটা টংকার দিলে যে অস্থায়ী দাগ দেখা যেতো বোর্ডের জমির ওপর তার মাপেই সমান মাপের হরফ স্থাপনা করে চলেন শিল্পী। হরফের মাপ অনুযায়ী এভাবে যত খুশি দাগ দিয়ে নেওয়াটাই দস্তুর। শান্তি পেন্টারকে দেখা যেতো লিখনীয় অক্ষরের সংখ্যা গুণে মোট লেখার জায়গার মাপের মধ্যে তাকে বন্টন করতে, আ-কার, এ-কার, ই-কার, ঈ-কার ইত্যাদি হরফের জন্যও জায়গার বরাদ্দ রাখতেন শান্তি বাহার। কাজের ফাঁকে শান্তিবাবু শুধুই বই পড়তেন, আর একটা সাদা নোটপ্যাডে নানা ধরনের হরফের সাট তৈরি, নানাবিধ নকশা, আলপনার রেখাঙ্কিত চেহারা ইত্যাদি মকশো করতেন। পরে সাইনবোর্ডে সেসব নকশার কিছু কিছু প্রয়োগ করতেন। পিন্টু কিন্তু পেন্সিল দিয়ে অক্ষরের একটা অস্পষ্ট ছাঁদ করে নিয়ে তবে রঙ দিয়ে হরফটিকে স্পষ্ট করে লিখত। জালালুদ্দিন শুধু অক্ষরের ছাঁদ-অনুযায়ী সেগুলি সমান আছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রেখে দ্রুত সাইনবোর্ড লিখে চলেন। প্রণবদা তো জীবনের কোনোকিছুই পূর্বনির্ধারিত নকশা-অনুযায়ী করতেন না (বছরে চারবার মাথা কামিয়ে ফেলা, ব্যবসার ধরন কিংবা খরিদ্দারের দেওয়া বয়ান পছন্দ হলে তবে অর্ডার নেওয়া, হরফের ছাঁদ-অনুযায়ী অর্থ দাবি করা, ধর্মীয় বিষয় ও মোটিফকে এড়িয়ে চলা, মাঝে মাঝেই দোকান-টোকান বন্ধ করে আলখাল্লা গায়ে উধাও হয়ে যাওয়া, জয়দেব-কেঁদুলি বা পাথরচাপড়িতে প্রতি বছর উদিত হওয়া ইত্যাদি সাধারণ গেরস্থর থেকে প্রণবদাকে আলাদা করেছিল, প্রণবদা নিজের মর্জিতে চলতেন, নিজের শর্তে কাজ করতেন)। সাইনবোর্ড লেখা তো কোন ছাড়। বিষয় আর বয়ান তার রচনায় নকশা ও রঙ নির্ধারণ করত। প্রণবদার সাইনবোর্ড লেখার ঘরটির পূর্ব থেকে পশ্চিমে দেয়ালের দিকে ঘুরে তাকালে সাদা ও শ্বেতকল্প নানান মিশ্রণের রঙের যুগপৎ ব্যবহার লক্ষ্য করা যাবে। প্রণবদার মতে সকাল থেকে সূর্যের গমন পথে বেলা-অনুযায়ী রোদের রঙের, গভীরতার তাপবিকিরণের পরিবর্তন ও মাত্রাভেদ বিচার করে দিনের আলোর সবচেয়ে বেশি বিচ্ছুরণ পাওয়ার জন্য এমন রঙ করা প্রয়োজন। ঘরটির সিলিংয়ের রঙ ছিল নীলাভ সাদা। চারপাশের বাড়িঘর, ফুটপাথের গায়ে একটা নাম-না-জানা উঝুম গাছের এলোমেলো ডালপালা, নাতিপ্রশস্ত রাস্তা দু-ধারেই ঝুলন্ত অপরিকল্পিত বোর্ড আর হোর্ডিংয়ের জড়াজড়ির মধ্যে এমন পরিকল্পনার কোনো বাস্তবতা ছিল কী-না তা নিয়ে এতদিন পরেও সুমন নিশ্চিত নন। কিন্তু আশ্চর্যের কথা―প্রণবদা এতটা ভেবেছিলেন! আসলে প্রণবদা বিশ্বাস করতেন সাইনবোর্ড হোক, কি পোস্টার, কি চিত্রকলা সব ক্ষেত্রেই তিনি ব্যবহারিক বিশেষজ্ঞ না হলেও নিঃসন্দেহে তিনিই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য নান্দনিক শক্তি।
স্থানীয় ও সুস্পষ্ট বিষয়ের অনিবার্যতা চিত্রশিল্প ও চারুশিল্পের মতো সর্বকালীন আবেদনে পৌঁছানো পোস্টারের ক্ষেত্রে কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। সেটা ঐ মুখ্য নান্দনিক শক্তির অধিকারী কৃতী শিল্পী, শিল্পগ্রাহী এবং উপভোক্তারা দেশে দেশে কালে কালে প্রমাণ করে দিয়েছেন। তাছাড়া পোস্টার সর্বকালীন হয়ে উঠতে পারে কী-না সে নিয়ে বিশুদ্ধ নন্দনবাদীরা, শিল্প নিয়ে আনন্দের কারবারিরা যতই সংশয় প্রকাশ করুন না কেন, পোস্টার যে চিত্রকলা তো বটেই, এমন-কী দেয়াললিপির থেকেও অনেক বেশি বহনযোগ্য এবং সর্বজনীন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এমন প্রমাণ সব দেশেই সুপ্রচুর।

পোস্টার আর সাইনবোর্ডের এই নিকটাত্মীয়তা কতটা তা নিজেরাই পরীক্ষা করে দেখলেন সুমনরা। এক মধ্যরাতে বীরেন ভট্্চাযের আধাপাকা বাগান-ঘরে জন্ম নিল স্ক্রোলের মতো দেখতে দেয়াল লিপির মতো দীর্ঘ পোস্টার।
কাগজের সঙ্গে কাগজ রেখে (আঠা দিয়ে না সেঁটে) বড়ো আকারের পোস্টার লেখা। প্রত্যেকটি খণ্ডে ক্রমপর্যায়িক নম্বর দেওয়া, তারপর সেই অনুযায়ী দেয়ালে লাগানো। সবটা লাগানো হলে একটা বড়ো ওয়ালিংয়ের মতো দেখতে লাগে। ওয়ালিংয়ের তুলনায় স্থায়িত্ব কম হলেও লেখা হয় খুব তাড়াতাড়ি। কাগজের বুকে ইচ্ছামতো গ্রাফিক ডিজাইনের মতো নকশায় পরিবর্তন ও বৈচিত্র্য আনা যায়, ছোটোখাটো স্কেচের ব্যবহার করারও সুবিধা থাকে। রঙসহ সব সরঞ্জাম টানাটানির হাঙ্গামাও অনেক কম। একই ওয়ালিং, প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবার পরও বহুদিন বিবর্ণ হয়েও লোকের দৃষ্টিকে পীড়িত করে। পোস্টারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনান্তে তা সহজেই সরিয়ে নিয়ে সেখানে নতুন পোস্টার লাগানো যায়।
(ক্রমশ)
…………………….
(রচনার সঙ্গের ডিজাইনগুলি শিল্পীর দ্বারা অঙ্কিত বা পুনরঙ্কিত, আন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত ও সম্পাদিত এবং বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে গৃহীত। রচনার শেষে একটি বিস্তারিত সূত্র পরিচয়ে তা উল্লেখিত হবে)
