সৌভাগ্যশলাকা। ধারাবাহিক উপন্যাস। পর্ব ১০। লিখছেন অলোক সান্যাল

ফাঁদ কাটল ইঁদুরে
………………………………….
গুহার ভেতরে ঠাণ্ডা তার দাঁত নখ বের করেছে। সারা রাত হালকা গরম পোশাক ভেদ করে আঁচড়ে কামড়ে গিয়েছে। ভুল ভেবেছিল। তাদের এখানে কেবলমাত্র বন্দী করে রাখা হয়নি, জীবন্ত কবর দিয়ে গেছে সামিরা। গতকাল সন্ধের পর থেকে না খাবার, না এক ফোঁটা জল পেয়েছে তারা। সন্ধে পেরিয়ে রাত, রাতের শেষে আবার দিনের শুরু। ছাদের লম্বাটে গর্ত দিয়ে কোণাকুণি এসে পড়ছে আলো। মৃদু, তবুও বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সম্বল। কিছুক্ষণ পর সূর্য পাহাড়ের মাথায় পৌঁছালে এটুকুও আর পাওয়া যাবে না। তাদের ভবিষ্যতের মতো ঘন অন্ধকারে ভরে উঠবে চারপাশ। বেশ কিছুটা জায়গা নিয়ে উপবৃত্তাকারে ছড়িয়ে থাকা সেই আলোর দিকে অবসন্ন চোখে চেয়ে আছে এলিন। এমার মাথা তার কোলে। ঘুমোচ্ছে মেয়েটা। ক্লান্ত শরীর মন আর কত ধকলই-বা নিতে পারে। ঘুমোক। বিশ্রাম নিলে জীবনের মেয়াদ সামান্য হলেও বাড়বে। তবে বেশিক্ষণ নয়। এভাবে বড়োজোর আর দিন দুয়েক। শরীরের জল শেষ হওয়ার অপেক্ষা। কয়েদখানার দেয়ালে জিভ ছুঁইয়ে দেখেছে এলিন। সামিরার মনের মতোই শীতল তার শরীর। গুহার ভেতরে উষ্ণতার ছিঁটেফোঁটা নেই। থাকলে পাথরের ঘামে যৎসামান্য তেষ্টা মেটানো যেত। লোহার গারদ পরীক্ষা করেও দেখেছে। তালাটা পুরোনো, তবে শক্তি হারায়নি। তাদের মুক্তির মাঝে কঠোর প্রহরীর মতো অবিচল। এখন, এই পার্বত্যগুহায়, মৃত্যুর অপেক্ষা করা ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই। আলো থেকে চোখ সরিয়ে ঘুমন্ত বোনের মুখে রাখল এলিন। একটা ঝিমঝিমে অনুভূতি টের পাচ্ছে। ভারী হয়ে আসছে চোখের পাতা। ঠেলে সরিয়ে রাখা দায়। আচমকা মৃদু শব্দটা এলিনের কানে এল। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্নায়ু ক্লান্তি উপেক্ষা করে সজাগ হয়ে উঠল নিমেষে।
‘ইঁদুর?’
হতে পারে। পাহাড়ের পেটের মধ্যে এই ঠাণ্ডায় যদিও তার দেখা পাওয়া দুষ্কর, তবে কোনোক্রমে তার নাগাল পেলে সামান্য হলেও লড়াইয়ের রসদ জুটে যাবে। মাংস মেটাবে খিদে, রক্ত তেষ্টা৷ কিন্তু এমা? সে কখনই এমন ব্রেকফাস্টে রাজি হবে না। ভাবনার মাঝেই এলিনের অনুমান বদলে গেল। না, ইঁদুর নয়৷ এখানে ইঁদুর থাকলে কাল রাতেই তাদের সঙ্গে আলাপের সুযোগ পেত। ডান দিকের সুড়ঙ্গ ধরে কেউ আসছে। এমাকে আলতো ঠেলা দিয়ে জাগিয়ে তুলল এলিন। ঠোঁটের ওপর আঙুল তুলে শব্দহীন থাকার ইশারা করল। তারপর যাবতীয় মনযোগ কেন্দ্রীভূত করল সুড়ঙ্গ পথের মুখে। আলতো, সাবধানী পায়ে হেঁটে আসছে কেউ। শূন্য সুড়ঙ্গ সেই অস্পষ্ট শব্দ অজান্তে পৌঁছে দিচ্ছে গুহার পেটে।
‘খাবার এবং জল নিয়ে আসছে কেউ?’
মগজের ভেতর পাক খেয়ে ওঠা প্রশ্নটা পত্রপাঠ বাতিল করল এলিন। তেমন হলে এত মেপে পা ফেলার প্রয়োজন ছিল না। তাছাড়া হাতে ফ্লাশ লাইটও থাকত নিশ্চয়ই। অন্য কেউ, এমন কেউ যে বিপদের গন্ধ শুঁকে পা ফেলছে। সামিরার দলের কেউ নয়। অর্থাৎ একটা সুযোগ হতে পারে। এমাকে ইশারায় উঠে দাঁড়াতে বলল এলিন।
‘আমার পাশে, দেয়ালে মিশে দাঁড়া।’
‘আমাদের জন্য খাবার, জল নিয়ে আসছে মনে হয়।’
‘নাও হতে পারে।’
সংক্ষিপ্ত জবাব দিল এলিন। এখন ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় নয়। ছাদ গলে পড়া আলোয় গুহা অস্পষ্ট হলেও দৃষ্টিগোচর। তবে এই কয়েদখানার ভেতর অন্ধকার এখনো জয়ী। এলিন নিজেকে সেই কালো চাদরে মুড়ে দাঁড়িয়ে রইল। দৃষ্টি সতর্ক। শব্দটা আরও কিছুটা এগিয়ে, প্রায় সুড়ঙ্গের মুখে এসে থেমে গেল।
‘দাঁড়িয়ে পড়েছে!’
যেটুকু সংশয় ছিল, কেটে গেল। যে এসেছে, নিশ্চিতভাবে সেও এলিনদের মতো এই অজানা পৃথিবীতে প্রথম পা রেখেছে। তাই এত সাবধানতা। কিন্তু সামিরার দলের কেউ না হলে এই পথের হদিস পেল কীভাবে? আর কোনোভাবে পেলেও, এই পথ নিল কেন? প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার আগেই স্পষ্ট উচ্চারণে কেউ প্রথমে তার নাম ধরে ডাকল।
‘এলিন…’
তারপর বোনের।
‘এমা… তোমরা কি এখানে আছ?’
বুকের ভেতর আশা জমাট হলো আরও। তাদেরই খোঁজে এসেছে! কে হতে পারে? সেন্ট-মরিসে কোনো সাহায্যকারী বন্ধুর মুখ মনে করতে পারল না এলিন। ডেভিস? কিন্তু সেই-বা কীভাবে জানবে তারা এখানে? চোখাচোখি হতে এমা ভুরু উঁচু করল। অর্থাৎ কে তাদের উদ্ধার করতে সিংহের গুহায় মুখ ঢুকিয়েছে, জানা নেই। উপস্থিতি জানান দিতে ইতস্তত করছিল এলিন, তার মধ্যেই দ্বিতীয়বার সাবধানী কণ্ঠস্বর শোনা গেল,
‘এমা… এলিন… কেউ কি আছে এখানে?’
লোকটা যেই হোক, এখনো দেখা দেয়নি। সুড়ঙ্গের অন্ধকার মুখে দাঁড়িয়ে আছে। এও নিশ্চিত, সে সামিরার গুপ্ত সংঘের কোনো সদস্য নয়। হলে এই গুহার দুই বন্দী সম্পর্কে এত সন্দেহ থাকত না। এলিন অন্ধকারের আড়াল ছেড়ে গারদের সামনে এসে দাঁড়াল। সামান্য আলো চুঁইয়ে আসছে তার পা পর্যন্ত।
‘আমরা এখানে।’
তার প্রায় ফিসফিস করে বলা কথাগুলো শূন্য গুহায় আলাদা প্রাণ পেল। শব্দটা আবার শুনতে পেল এলিন। লোকটা এগিয়ে আসছে।
পকেট থেকে চাবি বের করল লোকটা। এক হাতে ঝোলা ব্যাগ। ব্যাগ সামলিয়ে তালার মুখ খুঁজতে সামান্য সময় নিল। এত কাছ থেকেও চেনা যাচ্ছে না! আলোর অল্পতা। তার ওপরে মাথায় ফেদোরা টুপি। স্কার্ফ দিয়ে গলা মুখ পেঁচিয়ে রাখা। দরজা খুলে, কোনোরকম প্রশ্নের সুযোগ দিল না অজ্ঞাত সাহায্যকারী। হাতের ব্যাগটা এলিনের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘তোমরা ঠিক আছ? হাঁটতে পারবে তো?’
‘পারব। আপনি…’
প্রশ্ন শেষ করার আগেই তাদের দিকে নির্দেশ ধেয়ে এল।
‘বাঁ দিকের শেষ সুড়ঙ্গটা। সোজা হেঁটে গেলে ফোর্ট সিণ্ডের ইউটিলিটি রুম পাবে। ডান দিকের দরজা দিয়ে বারুদ ঘর। কিছু পর্যটক জড়ো হয়েছে সেখানে। তোমাদের ভিড়ে মিশে যেতে হবে। ব্যাগে দুটো পোশাক, টুপি আছে। আর জল।’
বলে ক্ষণিকের জন্য থামল লোকটা। তারপর যোগ করল, ‘মনের সব শক্তি জড়ো করো এমা। এভাবে ইঁদুরের মতো পচে মরতে দেব না তোমাদের। আমি যাচ্ছি। পাহারাদার ছুঁচোদের একটা এখন ঘুমোচ্ছে। সঙ্গীটি বারুদ ঘরে ভিড় ঠেলতে ব্যস্ত। সে চলে এলে আমাদের মুশকিলে পড়তে হবে। চটপট।’
বলেই সাহায্যকারী দ্রুত পায়ে বাঁ দিকের সুড়ঙ্গপথে হারিয়ে গেল। কিছুক্ষণ হতবাক দাঁড়িয়ে রইল দুই ভাইবোন। লোকটা কে? কথা বলার ধরন দেখে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে সাহায্যকারী অপরিচিত কেউ নয়, বরং বেশ ঘনিষ্ঠভাবেই চেনেন তাদের। কণ্ঠস্বর চেনা চেনা ঠেকছে, কিন্তু পরিচিত কোনো মুখের সঙ্গে মেলাতে পারছে না। নিজেকে এমনভাবে আড়াল করে রেখেছিলেন, যে এই প্রায়ান্ধকার পরিবেশে যাচাই করার উপায়ও ছিল না। প্রশ্ন করার সুযোগও দেননি ভদ্রলোক। চিনতে না পারলেও পোর্ট অফ ফ্যালমাথে বিপদ বার্তা পৌঁছে দেওয়া, এবং এমার কাছে তাকে নিয়ে গিয়ে হাজির করার নেপথ্যে থাকা মানুষটি যে তিনিই, বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। অজ্ঞাত শুভাকাঙ্ক্ষীর কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলল এলিন। তাদের হাতে সময় সত্যিই খুব কম। কেউ চলে এলে আবার ইঁদুর কলে আটকে পড়তে হবে। সে ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করে বোনকে দিল।
‘একবারে নয় এমা। ধীরে।’
বললেও বোতলের অর্ধেক নেমে এমা থামল।
‘এটা পড়ে নে। টুপিটা মাথায় চাপিয়ে নিস।’
এলিন অবশ্য মেপে জল খেল। গত কুড়ি ঘণ্টা শরীর এক ফোঁটা জল পায়নি। হঠাৎ বেশি পেলে ক্লান্তি শরীরে জাঁকিয়ে বসতে পারে। বিপদ এখনো কাটেনি। তালাটা খুলেছে মাত্র। এখনো তারা তারা সামিরার নজরের মধ্যেই রয়েছে। এই চক্রব্যূহ থেকে পুরোপুরি না বের হওয়া পর্যন্ত শরীরকে দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে। দ্বিতীয় পোশাকটা বের করে গলিয়ে নিল এলিন। ব্যাগটা ফেলল না। কাঁধে থাকলে ট্যুরিস্ট হিসেবে বেশি মানাবে।
এই সুড়ঙ্গপথে আলোর ব্যবস্থা আছে। মিটার খানেক অন্তর একটা করে ইলেকট্রিক বাল্ব। কমজোরি। তাদের দুর্বল ঘোলাটে আলো কিছুটা এগিয়েই ধুঁকছে। তবু মন্দের ভালো। দেখা যাচ্ছে অন্তত। দ্রুত পা ফেলতে চাইছিল এলিন। এমার জন্য তাল কাটছে।
‘আর পারছি না ব্রাদার। পায়ে জোর নেই।’
এলিন এক পা পিছিয়ে এমার সামনে দাঁড়াল।
‘ডোন্ট ওরি ডিয়ার, হোয়াইল এলিন ইজ হিয়ার। উঠে পড়৷ ছোটো বেলার মতো।’
এলিনের অস্পষ্ট হাসিমুখ দেখতে পাচ্ছে এমা। এই পরিস্থিতিতেও স্নায়ুর ওপরে কী অসম্ভব নিয়ন্ত্রণ! তবুও পেছন ফিরে দাঁড়িয়ে থাকা শরীরটাও যে তারই মতো ক্লান্ত।
‘পারবি না। তুই এগিয়ে যা। আমি…’
‘আমার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ করিস না এমা। এখনো আল্পসের চুড়োয় ওঠার মতো দম আছে। তাড়াতাড়ি উঠে পড়। ওদিকে ট্যুরিস্টদের ভিড় পাতলা হয়ে গেলে আবার আমরা ইঁদুর কলে আটকা পড়ব।’
যাবে না। তাকে ফেলে ছেলেটা নড়বে না। দু হাত দিয়ে ভাইয়ের গলা জড়িয়ে ধরল এমা। আলতো ঝাঁকুনি দিয়ে তাকে সুবিধাজনক পজিশনে নিয়ে নিল এলিন।
‘পা দুটো পেঁচিয়ে নে।’
বলে ফুসফুসে যতটা সম্ভব বাতাস ভরে নিল। ফায়ারম্যান’স ক্যারি। দম ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লম্বা পা ফেলে এগিয়ে যেতে শুরু করল এলিন।
ইউটিলিটি এরিয়া থেকে ডান দিকের দরজা দিয়ে অ্যামিউনেশন রুম। চারটে ৯০ এম এম অ্যান্টিট্যাংক গান, কয়েকটা ৮১ এম এম মর্টার এবং খান তিনেক মেশিন গান রয়েছে। তাই দেখতে ভিড় করেছে জনা পঁচিশের একটা দল। বারুদ ঘরে ঢুকেই ধাক্কা খেল এলিন। সকলেরই মাথায় টুপি। পরনে একরঙা ফুলস্লিভ টি-শার্ট। গোলাপি। পিঠে একটা সাদা বৃত্তের মাঝে সামান্য গাঢ় গোলাপি রঙেই লেখা- আল মাল টিয়েম্পো, বুয়েনা কারা। আবহাওয়া যখন প্রতিকূল, হাসি মুখ তুলে ধর। বিখ্যাত স্প্যানিশ কোট। এবং ইতিবাচকও বটে। উত্তেজনায় এতক্ষণ নিজের দিকে তাকানোর কথা মনে ছিল না এলিনের। সুড়ঙ্গ, সুড়ঙ্গ পেরিয়ে ইউটিলিটি রুম। সেখান থেকে এই বারুদঘর। এমাকে নিয়ে হার্ডলগুলো নিরাপদে পার হওয়াই একমাত্র লক্ষ্য ছিল। এখন, এই ভিড়ের মাঝে নিজেকেও গোলাপি পোশাকে দেখতে পেয়ে উৎকট মনে হচ্ছে।
‘কোনো মানে হয়!’
তার স্বগোতক্তি দেখে হাত আঁকড়ে থাকা অবস্থাতেই চাপা হেসে উঠল এমা।
‘রং কিন্তু দিব্যি মানিয়েছে ব্রাদার৷’
মুহুর্তের মস্করা শেষ হতেই দ্রুত এলিনের ইন্দ্রিয়গুলো সচল হয়ে উঠল। নজর বুলিয়ে নিল চারপাশে। একজন গাইড। ভিড়টা তাকে ঘিরে বিরক্তি এবং প্রশ্ন একসঙ্গে উগড়ে দিচ্ছে। অবশিষ্ট জলটুকু এমাকে খাওয়ার সময় দিল এলিন। তারপর ভিড়ে মিশে গেল দুজনায়।
বারুদ ঘর থেকে ঠিক কোন পথ নিতে হবে, কীভাবে এই ফোর্ট সিণ্ডে এবং সামিরার নজরসীমা পার হবে, কিছুই জানা ছিল না। শুধু একটা কথা বুঝতে পেরেছিল, গোলাপি পোশাকের পর্যটকের দলটাই তাদের নিরাপদে বের করে নিয়ে যাবে। তাদের উদ্ধারকারী যেই হোক, মনে মনে তার পরিকল্পনা এবং প্রয়োগের তারিফ করল এলিন। ধুরন্দর বটে। কোথায় এতটুকু ফাঁক রাখেননি! ঝুঁকি যা ছিল, শুধু বারুদ ঘর পৌঁছানো পর্যন্ত। লোকটা দু’জন পাহারাদারের কথা বলেছিল। একজনকে সে নিজেই ঘুম পাড়িয়েছে। নিশ্চিত। ভয় ছিল ভিড় খুঁজে পাওয়ার আগেই না জুড়িদার এসে পড়ে। তেমন কিছু ঘটেনি। হয়তো লোকটা সেই ব্যবস্থা করতেই হাওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সে কোথায়? ভিড়ের সঙ্গে তারাও ফোর্টের পার্কিং লটে অপেক্ষামান বাসে উঠে পড়েছিল। ছোটো বাস। জায়গা আঁটোসাটো। একেবারে পেছনে দুটো সিট দখল করে পাশাপাশি বসে আছে দুই ভাই বোন। ঘষা কাচের জানালা দিয়ে এলিনের চোখ খুঁজে পেতে চাইছে মাথায় টুপি, গলায় স্কার্ফওয়ালা সেই লোকটাকে। যার সাহায্য ছাড়া এই দূর্গের পেটের মধ্যে এক কোণায় ইঁদুরের মতো পচে মরতে হতো ভাইবোনকে। খুঁজলেও সেই শুভানুধ্যায়ীকে আলাদা করে চিনতে পারল না এলিন।
(ক্রমশ)